আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো দক্ষিণ কোরিয়া কৃষি কাজের ভিসা সম্পর্কে । আপনারা
যারা কৃষি কাজ করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চান তারা আমার এই লেখা থেকে উপকৃত হইবেন আশা
করি। আপনাদের জানাই যে নাগরিক সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি বেশি বেতন দেওয়ার দিক থেকে প্রথম
সারিতে আছেন দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক প্রতি বছর বোয়েসেলের মাধ্যমে পাড়ি
জমায় দক্ষিণ কোরিয়া । আবার কোরিয়াতে বাংলাদেশি শ্রমিক এর সংখ্যা কম হলেও কর্মনিষ্ঠা, সততা ও
নিয়ম কানুন মেনে চলার কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকরা জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান এ আছেন দক্ষিণ
কোরিয়াতে । আর এই জন্যই কোরিয়াতে দিন দিন বাংলাদেশি শ্রমিক বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনার জন্য বন্ধ
থাকলেও এখন আবার নতুন করে চালু হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। তাই আপনারা যারা কৃষি কাজ নিয়ে দক্ষিণ
কোরিয়া যেতে চাচ্ছেন তারা আমার এই দক্ষিণ কোরিয়া কৃষি কাজের ভিসা লেখাটির মাধ্যমে জেনে নিন
যে কিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া কৃষি কাজে যাবেন। নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হল । চলুন তাহলে
আমরা জেনে নেই কিভাবে যাওয়া যায় –
দক্ষিণ কোরিয়া কৃষি কাজের ভিসা
দক্ষিণ কোরিয়া কৃষি কাজের ভিসা: আপনারা যারা কৃষি কাজের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চান তারা
লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে সব কিছু বিস্তারত ভাবে জানতে পারবেন। আপনাদের জানাই যে
দক্ষিণ কোরিয়া সরকার কৃষি ও মৎসখাতে মৌসুমি শ্রমিক হিসেবে ২০০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক নিবে বলে
জানান বোয়েসেলের বিজ্ঞপ্তিতে । আর এই চাকরির মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ পাঁচ মাস। আরা আপনাকে দৈনিক
কজ করতে হবে আট ঘণ্টা করে। আর আপনি সাপ্তাহিক ছুটি পাবেন এক দিন। কিন্ত আপনি যদি এই কাজে
যেতে চান তাহলে আপনাকে কিছু জিনিস জানতে হবে তাহল , আপনার ভিসার ধরণ হবে- ই – ৮।
আপনাকে সুঠাম দেহের অধিকারী ও কঠোর পরিশ্রমি হতে হবে। আপনার বয়স হতে হবে ৩০ থেকে ৪৫
বছর এর মধ্যে । আর এক্ষেত্রে চাকমা, মারমা , গারো, সাঁওতাল ও অন্যান্য ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠির প্রার্থীরা
অগ্রাধিকার পাবেন। কিন্তু তার জন্য প্রশাসকের মাধ্যমে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠির সনদ দাখিল করতে হবে। আর
আপনাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতার সনদ দাখিল করতে হবে। আর
আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ থকতে হবে নিম্নে এক বছর।
আবেদনের যোগ্যতা
আপনি যাওয়ার পরে নিয়োগকর্তার চাহিদা অনুযায়ী আপনাকে ওভারটাইম এর সুযোগ দেওয়া হবে। আর
এই ভিসায় যাওয়ার জন্য আপনাকে কৃষি ও মৎস চাষের দুই বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থকতে হবে। আর এই
ভিসায় আপনারা পুরুষ এবং নারী উভয়ে আবেদন করতে পারবেন। আর একটি কথা আপনারা যারা
মাদকাসক্ত তাদের অযোগ্য বলে গণ্য করা হবে। আপনার একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে ।
আর একটি কথা দক্ষিন কোরিয়ার বিমান ভাড়া কর্মীর নিজের বহন করতে হবে। আপনাকে বোয়েসেলের
সার্ভিস চার্জ হিসেবে ১৫ হাজার টাকা , ভ্যাট, ট্যাক্স , ভিসা , স্মার্টকার্ড , কল্যাণ তহবিল, বিমা , ডেটাবেজ
রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য ফ্রি বাবদ ১৪ হাজার ৮৯০ টাকাসহ মোট ২৯ হাজার ৮৯০ টাকা দিতে হবে। আর
নির্বাচিত প্রার্থীর জামানত হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। তারপরে বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হলে
নিয়োগকর্তার মাধ্যমে সিসিভিআই / ভিসা সংক্রান্ত কার্যাদির জন্য প্রমাণাদি প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয়
কগজপত্র বোয়েসেল গ্রহণ করবে।
দক্ষিণ কোরিয়া কৃষি কাজের বেতন কত?
দক্ষিণ কোরিয়া কৃষি কাজের বেতন কত?: বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বোয়েসেলের মাধ্যমে কৃষি কাজে
লোক নিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। তাই আপনারা যারা ২০২৩ সালে বোয়েসেলের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে
চান তারা যাওয়ার আগে বেতন সম্পর্কে জানতে চান আজকে তাদের জন্য এই লেখার মাধ্যমে জানাবো
দক্ষিণ কোরিয়া কৃষি কাজে কি রকম বেতন দিবে। তাই আপনারা জানতে চাইলে লেখা টি মনোযোগ
সহকারে পড়ুন। আসুন আমরা জেনে নেই দক্ষিন কোরিয়া কৃষি কাজের বেতন। দক্ষিণ কোরিয়া বর্তমানে
কৃষি খাতে যে শ্রমিক নিচ্ছে তাদের বেতন ধরবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা । তাই আপনারা যারা কৃষি কাজে
দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চান তারা যেতে পারেন । কারণ দক্ষিণ কোরিয়া আপনাকে ভালো একটি স্কেলে বেতন
দিচ্ছে তাই। আশা করি আপনারা দক্ষিণ কোরিয়া কৃষি কাজের বেতন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
শেষ কথা
আজকের লেখায় আপনাদের সাথে দক্ষিণ কোরিয়া কৃষি কাজের ভিসা নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা
করি আপনারা যারা কৃষি কাজে যাবেন তারা আমার এই লেখার মাধ্যমে উপকৃত হইবেন। এটি একটি তথ্য
মূলক লেখা । আর আপনাদের এছাড়াও যদি আরও কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে
পারেন। আমরা তার উত্তর দিয়ে আপনাকে জানিয়ে দিবো। কারন আপনারা যারা আমার সাইট ভিজিট
করেন তারা জানেন যে আমার এই সাইটে সব বিদেশি তথ্য দেওয়া হয় । তাই আপনারা যারা বিদেশি তথ্য
জানতে ইচ্ছুক তার আমার এই সাইট থেকে জানতে পারবেন। আপনাদের সাথে নিম্নে কিছু লেখার লিংক
শেয়ার করলাম । প্রয়োজন মনে করলে পড়তে পারেন। আশা করি কাজে লাগবে। আজকে আমার এই
দক্ষিণ কোরিয়া কৃষি কাজের ভিসা লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য
আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আর ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন
এই কামনায় এখানেই শেষ করছি লেখাটি।