আজকে আপনাদের সাথে আমরা আলোচনা করবো দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা ও যেতে কত টাকা লাগে এই
বিষয় টি নিয়ে। আপনারা যারা দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা নিয়ে যেতে চান তারা আমাদের সাথেই থাকুন। দক্ষিণ
কোরিয়া বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত এবং সুবিধাজনক একটি দেশ। এই দেশটিকে সবচেয়ে স্থিতিশীল হিসেবে
বিবেচনা করা হয় এবং অর্থনীতিরও অনেক মর্যাদা রয়েছে বাজারে। এই কারণে আপনারা অনেকেই
বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চান । তাই আপনারা এই লেখা টি পড়লে দাক্ষণ কোরিয়া ভিসা ,
যেতে কত টাকা লাগে এবং যাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে সব কিছু জনতে পারবেন আশা করি। আপনারা যারা
জানতে চান তারা অবশ্যই আমার এই দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা ও যেতে কত টাকা লাগে লেখা টি প্রথম
থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে একবার হলেও পড়ুন। নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হল।
জানতে চাইলে পড়তে থাকুন-
দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা
আপনারা যারা দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চান তাদের অবশ্যই যাওয়ার আগে কোরিয়া ভিসা সম্পর্কে জনতে
হবে। তাই আপনাদের ভিসা সম্পর্কে জানানোর জন্য আমার এই লেখা টি। আপনার লেখা টি পড়লে ভিসা
সম্পর্কে সব কিছু জনতে পারবে আর একটু হলেও উপকৃত হইবেন আপনারা আশা করি । আমারা সাধারণ
ভাবে জানি যে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ধরণের ভিসা হয়ে থাকে ঠিক তেমনি দক্ষিণ কোরিয়াও একই । আমরা
কেউ কাজের ভিসা নিয়ে গিয়ে থাকি আবার কেউ বিজনেস ভিসা নিয়ে আবার কেউ ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে
আবার কেউ বা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে গিয়ে থাকি। তাই আপনাদের আগে ডিসিসন নিতে হবে যে আপনি
কোন ধরণের ভিসা নিয়ে কোরিয়া যাবেন, তার উপর নিরর্ভর করবে যে আপনার যেতে কি কি লাগবে ও কত
টাকা লাগবে এবং যাওয়ার জন্য কি যোগ্যতা লাগবে । তাছাড়া আপনারা জানেন যে বিশ্বের টেকনোলজি
ইনোভেশন সেক্টরের প্রথম সারিতে অবস্থান করে দক্ষিণ কোরিয়া । তাই এই দেশের শিল্প খাত উন্নত অনেক
এবং শিল্প খাত গুলোতে প্রচুর কাজের লোকের চাহিদা আছে। তাই আপনারা যারা দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চান
তারা এই সকল মাধ্যম গুলো ধারা অতি সহজে যেতে পারবেন। আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন যে কি
ভাবে ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন।
দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্প খাতে ( ইপি এস ) বা এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিষ্টেমের
আওতায় সরকারি ভাবে কয়েক হাজার মানুষ দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। বায়োসেলের মাধ্যমে সরকারি ভাবে
ট্রেনিং প্রধান করে তারপরে সরকারি ভাবে দক্ষিণ কোরিয়াতে কাজের ভিসায় পাঠানো হয়। এছাড়াও
আপনাদের সাথে আরো একটি কথা বলি রাখি যে আপনি কোন ভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাবেন তার উপর
নির্ভর করবে আপনার কত টাকা লাগবে। আপনি যদি সরকারি ভাবে যান তাহলে আপনার এক রকম খরচ
আবার আপনি যদি এজেন্সির মাধ্যমে যান তাহলে আরেক রকমের খরচ হবে। তাই আপনাকে আগে
ডিসিসন নিতে হবে যে আপনি কোন মাধ্যমে যাবেন। এখন আপনি যদি সরকারি ভাবে কাজের উদ্দেশ্যে
যেতে চান তাহলে আপনার অনেক কম খরচ হবে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে । বায়োসেলের মাধ্যমে খুবই কম
খরচে বর্তমানে সরকারি ভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। বায়োসেলের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া লোক যেতে
সকল সার্ভিস চার্জ সহ খরচ হয় ৩৩ হাজার ৫২৪ টাকা মত । এর মধ্যে ২৩ হাজার ১৮৪ টাকা বায়োসেলের
সার্ভিস চার্জ ভ্যাট সহ, আপনার ভিসা ফি ৫০০০ হাজার ১০০ টাকা , ট্যাক্স বাবদ ৮০০ টাকা , স্মাট কার্ডের
ফি বাবদ ২৫০ টাকা , বিমা ফি বাবদ ৪৯০ টাকা । নিবন্ধন ফি ২০০ টাকা এবং জনকল্যাণ তহবিল ফি বাবদ
৩ হাজার ৫০০ টাকা । আপনি যদি সরকারি ভাবে যেতে চান তাহলে আপনার এই রকমি খরচ হতে পারে ।
আশা কারি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগবে।
দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার যোগ্যতা
এখন আমরা জানবো দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কি কি যোগ্যতা লগবে-
- শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি / সমমান
- বয়স সীমা ৩৫ বা ৪০ এই রকম হতে হবে
- পাসপোর্ট এর মেয়াদ নিম্নে ৬ মাস থাকতে হবে
- যাদের কালার ব্লাইন্ডনেস ও রঙ বোঝার ক্ষমতা সমস্যা নেই
- কোরিয়ার ভাষা পড়া ও লেখা বোঝার পারদর্শিতা থাকতে হবে
- এছাড়া যদি মাদকাসক্ত কোনো ব্যক্তিগণ অযোগ্য বলে গণ্য হবে
- যাদের কোনো বড় ধরণের অপরাধ নেই
- ই -৯ বা ই- ১০ ভিসায় কোরিয়ায় ৫ বছর বা তার চেয়ে সময় কোরিয়ায় বসবাস করে নাই এমন লোক
আপনি যদি দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চান তাহলে আপনাকে উপরোক্ত নিয়ম গুলো মেনে তারপরে দক্ষিণ
কোরিয়া যেতে হবে।
উপসংহার
সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আজকের মত এখানেই শেষ করছি আজকের দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা ও
যেতে কত টাকা লাগে লেখা টি । এটি সুন্দর একটি তথ্য মূলক লেখা । আশা কির আপনারা পড়লে উপকৃত
হইবেন। আপনাদের সাথে আরও কিছু লেখার লিংক শেয়ার করা হলো । প্রয়োজন মনে করলে পড়তে
পারেন। আশা করি কাজে লাগবে। ধন্যবাদ সবাইকে আজকে আমার এই দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা ও যেতে
কত টাকা লাগে লেখা টি পড়ার জন্য। আজকের মত আল্লাহ্ হাফেজ।