আয়ারল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা: আজকে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যে বিষয়টি পৃথিবীর সকল ছাত্র/ছাত্রীদের জানা প্রয়োজন । কারণ আমাদের লেখা পড়া করার জন্য যে বিষয়টি সবথেকে বেশি প্রয়োজন তা হলো আমাদের জন্য কোন কোন প্রতিষ্ঠান লেখা পড়া করার জন্য উপযোগী ও কোন দেশে লেখা পড়ার মান
ভালো। আর এই সকল বিষয় সকল যদি আমরা জানতে পারি তবে আমরা সহজেই সেখানে ভর্তি হয়ে আমাদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করা আমাদের জন্য সহজ। আর তার জন্যই আজকে আমি আয়ারল্যান্ডে
উচ্চশিক্ষা গ্রহণ বিষয়ে সকল কিছু বিস্তারিত আলোচনা করবো তার জন্য প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়তে থাকুন। আর জেনে নিন কিভাবে স্টুডেন্ট ভিসায় আপনি এই দেশটিতে লেখা পড়া করার জন্য আসতে পারেন।
আয়ারল্যান্ড পড়াশোনা / আয়ারল্যান্ড উচ্চশিক্ষা
আয়ারল্যান্ড পড়াশোনা / আয়ারল্যান্ড উচ্চশিক্ষা : সবথেকে ভালো যতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পৃথিবীতে রয়েছে তাদের মানের উপর ভিত্তি করে তাদেরকে একটি রেকিং করা হয়। আর এই দেশের কলেজ গুলো
দেখা গেছে বিশ্বের এই তালিকায় সবগুলোই প্রায় প্রথম ১০ টির মধ্যে। আর এই ক্যাটাগরি গুলো করা হয় সাধারণত শিক্ষার মান শিক্ষার ধরণ কলেজের সুযোগ সুবিধা সহ সকল বিষয় বিবেচনা করে। তাই খুব
সহজেই অনুমেয় এই দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান। তাই যদি কেউ মনে করে থাকেন উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য এই দেশটিতে আসতে চান তবে বলা যায় আপনার সিদ্ধান্তটি ভূল নয়। আপনি যদি এই দেশটি
থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি গ্রহণ করতে চান তবে আপনার ৩ থেকে ৪ বছর সময় লাগবে। আর আপনি যদি মস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হয়ে পড়াশুনা করতে চান তবে আপনার সময় লাগবে ১.৫ থেকে ২ বছর। আর যদি
কেউ উচ্চতর ডিগ্রি ডক্টরেট করতে চান তবে তার সময় লাগবে ৩ থেকে ৪ বছর সময়। যেহেতু এই দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সকল জায়গায় ইংরেজীতে তাই বিদেশী ছাত্র/ছাত্রীদের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নয়। তাই আমি
আপনাকে বলতে পারি আপনি যদি এই দেশে শিক্ষাগ্রহণ করতে আসেন তবে আপনার জন্য তা অনেক ভালো হবে।
আয়ারল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা
আয়ারল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা : আমরা অনেকেই জানিনা বিশ্বের এই উন্নত কলেজ গুলোতে আপনি খুব সহজেই নিজেকে অন্তভূক্ত করে নিতে পারেন। আপনি যদি কিছু প্রস্তুতি নেন তবে আপনিও সুযোগ পাবেন
বিশ্বের এই উন্নত কলেজে লেখা পড়া করার সুযোগ। আর তাই আপনাকে যা করতে হবে এই দেশে লেখা পড়া করার জন্য আর কিভাবে সেখানে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারবেন সেই সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো আজ এখানে আপনাদের সাথে।
আপনাকে যে বিষয় গুলো বা কাগজ পত্র গুলো থাকতে হবে তা হলো ঃ
১. বৈধ একটি পাসপোর্ট থাকতে হবে।
২. ইংরেজী ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেটে ( IELTS ) পরীক্ষায় ৬ পয়ন্ট থেকে উপরে থাকতে হবে। তবে বর্তমানে কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা অন্যান্য ইংরেজী শিক্ষার টেস্ট গ্রহণ করে থাকে । তবে
আপনি যে ভাবেই এই দেশটিতে শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য যেতে চান না কেন তবে আপনাকে ইংরেজী ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
৩. আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম সনদ এর ফটোকপি ।
৪. নির্দিষ্ট সাইজের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৫. আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল কাগজ পত্রের ফটোকপি।
৬. আপনার স্কুল বা কলেজ কর্তৃক নো – অবজেকশন সার্টিফিকেট।
৭. আপনার ব্যাংক সলভেন্সিং প্রমান করার জন্য ব্যাংক স্টেটমেট।
৮. স্কুল বা কলেজ কর্তৃক অফার লেটার।
৯. ইন্সুরেন্স ও মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট। সহ অন্যান্য কাগজ পত্র যদি এম্বাসি মনে করে তবে আরো কিছু কাগজ পত্র আপনার কাছে চাইতে পারে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী আপনাকে কাগজ পত্র সংগ্রহ করতে হবে ।
আয়ারল্যান্ডের স্কলারশিপ
আয়ারল্যান্ডের স্কলারশিপ : আপনারা অনেকেই জানেন এই দেশটিতে লেখা পড়া করার জন্য অন্যান্য দেশের তুলনায় টিউশন ফি অনেকটা বেশি তাই অনেকেই মনে করে থাকেন এই দেশটিতে লেখা পড়া করার
জন্য যাওয়া আমাদের জন্য অনেকটা শুধু স্বপ্নের বিষয়। কিন্তু অনেকেই জানেনা আপনি এই দেশটিতে যদি স্কলারশিপ পেয়ে যান তবে সম্পূর্ণ ফ্রি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ পেয়ে যেতে পারেন আবার
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা আপনাকে লিভিং কষ্ট পর্যন্ত অফার করে থাকে। তাই আজ এখানে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো এই দেশের স্কুল কলেজ গুলোতে কত প্রকার স্কলারশিপ প্রদান করা হয়ে আর তা কি পরিমাণে প্রদান করে থাকে।
আয়ারল্যান্ড সরকার দ্বারা প্রদান কৃত স্কলারশিপ
আয়ারল্যান্ড সরকার দ্বারা প্রদান কৃত স্কলারশিপ : বিদেশী ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য এই দেশের সরকার বিভিন্ন কাইটেরিয়া বিবেচনা করে স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। আর তাদের স্কলারশিপ ১০০ ভাগ পর্যন্ত হয়ে
থাকে। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কোন কোন সময় লিভিং কষ্ট পর্যন্ত দিয়ে থাকে। আর একজন বাংলাদেশ বা বিদেশী ছাত্র/ছাত্রী হিসেবে যে কেউ কলেজ থেকে অফার লেটার পাওয়ার পর এই প্রোগ্রামে
আবেদন করতে পারেন। আর এই প্রোগ্রামের আওতায় অনার্স ,মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি পর্যন্ত রয়েছে। আর এই আবেদন করতে হবে প্রতি বছর ২৬ মার্চ তারিখের মধ্যে কারণ এই সময়ের জন্য এই প্রোগ্রামটি নির্ধারিত।
আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন আইটি স্কলারশিপ
আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন আইটি স্কলারশিপ : এই প্রোগ্রামটিও অনেক ভালো একটি প্রোগ্রাম । যারা এই স্কলারশিপে আবেদন করবে তারা অনেক্ষেত্রে ১০০ ভাগ স্কলাশিপ পর্যন্ত পেয়ে যেতে পারেন। আর এই
আবেদন করার জন্য আপনাকে কলেজ কর্তৃক সকল শর্তাবলী পূরণ করতে হবে । আর এই আবেদন আপনি সম্পূর্ণ অনলাইনে করতে পারবেন। আর এই আবেদনের শেষ তারিখ থাকে প্রতিবছর মার্চ মাসের ২৬ তারিখ।
আয়ারল্যান্ড জিএমআইটি স্কলারশিপ
আয়ারল্যান্ড জিএমআইটি স্কলারশিপ : মূলত এই স্কলারশিপটি ১০০ শতভাগ ফ্রি নয় এখানে মূলত পর্শিয়াল স্কলাশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে। আর এই পরিমাণ ছাত্র/ছাত্রীর যোগ্যতা এবং প্রতিষ্ঠানের উপর
ভিত্তি করে নির্ধারণ হয়ে থাকে। আর সে ক্ষেত্রে দেখা যায় ৫০% থেকে ৭০% পর্যন্ত বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। আর এই প্রগ্রোমে আপনাকে আবেদন করতে মূলত আইলটিএস নূন্যতম ৬ থেকে উপরে স্কোর
থাকতে হবে। আর এই আবেদন করতে হবে প্রতিবছর নভেম্বর থেকে মার্চ এর মধ্যে এই বৃত্তি প্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে হবে ।
ন্যাশনাল কলেজ অফ আয়ারল্যান্ড স্কলারশিপ
মূলত এই বৃত্তিটিও ছাত্র/ছাত্রীদের পড়াশুনা করার ব্যায়ভারের একটি অংশ মাত্র প্রদান করা হয়ে থাকে। আর সেক্ষেত্রে দেখা যায় ১০ ভাগ থেকে শুরু করে খুব ভালো হলো ৫০ পর্যন্ত স্কলারশিপ পর্যন্ত তারা প্রদান করে থাকে। তবে এই বৃত্তিটি তার সকল যোগ্যতার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
এছাড়াও আরো কিছু ছোট ছোট স্কলারশিপ রয়েছে যে গুলো লেখা ছোট রাখার স্বার্থে এখানে আলোচনা না করে শুধু বড় যে স্কলারশিপ প্রদান করা হয় তা বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো। তাই উক্ত বিষয় সমূহ সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের কাছে লিখতে পারেন আমি আপনাদের বিস্তারিত জানিয়ে দিব।
আয়ারল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা এর শেষ নিবেদন
আয়ারল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা: পরিশেষে সবাইকে অনুরোধ করতে চাই আপনি যদি লেখা পড়া করতে বিদেশ যেতে চান তবে এই দেশটিতে লেখা পড়া করার জন্য আসতে পারেন । বিশেষ করে যারে আর্থিক
অবস্থা ভালো। তারদর জন্য এই দেশটি সকল দিক দিয়ে ভালো। কারণ সকল দিক বিচার বিশ্লেষন করলে দেখা যায় শুধু এই টিউশন ফি এই দেশটিতে বেশি আর সকল সুযোগ সুবিধা এই দেশটিতে বেশি রয়েছে। তাই
নিশ্চিন্তে চলে আসুন এই দেশটিতে লেখা পড়া করার জন্য। এছাড়াও আমাদের এই সাইটে আমাদের আরো অনেক সুন্দর সন্দুর লেখা য়েছে আপনি ইচ্ছে করলে সেই লেখা গুলো পড়তে পারেন আশাকরি অনেক
উপকারে আসবে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে আমার এই লেখাটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
একই বিষয়ে পড়তে পারেনঃ
- পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা
- অস্ট্রেলিয়া যেতে কত সময় লাগে
- সরকরিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায়
- অস্ট্রেলিয়া শ্রমিকের বেতন
- কাতারে কোন কাজের চাহিদা বেশি।
- সিংঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি।
- কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি।
- মালয়েশিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি
- সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার
- সুইজারল্যান্ড সংবিধান ও জনপ্রিয় স্থান
- সুইজারল্যান্ড ভাষা এবং প্রশাসন