সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি অস্ট্রেলিয়ার ভিসা বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ লেখায়। যে লেখাতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বিস্তারিত ভাবে। আশাকরি লেখাটা পড়লে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা
কয় ধরনের? অস্ট্রেলিয়ার এই ভিসা আমরা কিভাবে পেতে পারি? আর এই ভিসা কিভাবে প্রসেসিং করা হয়?
কোথায় তার জন্য আবেদন করতে হবে ? এই সকল বিষয়গুলো আমাদের অনেকের কাছে অজানা। আর
তাই আপনার অজানা বিষয় গুলো পড়লে আর কারো কাছে দ্বারস্থ হতে হবে না। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ
অস্ট্রেলিয়ার বিষয়ে জানার জন্য প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা লেখাটি
পড়তে থাকুন, এবং জেনেনিন সেই সকল বিষয়ে। আর এর সাথে আরো আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার
করব জরুরী সব ওয়েব সাইটের লিংক ও ঠিকানা যা দ্বারা আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।
আর তার জন্য প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন।
অস্ট্রেলিয়ার ভিসা
অস্ট্রেলিয়ার ভিসা- হলো সে দেশে যাওয়ার জন্য সেই দেশের সরকার কর্তৃক অনুমোদন পত্র। অর্থাৎ
আপনাকে সেই দেশে যাওয়ার জন্য, বা প্রবেশের জন্য সরকার কর্তৃক অনুমোদন দেওয়া হয় তার নামই
হলো ভিসা। বর্তমানে দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়ান সরকার বেশকিছু ক্যাটাগরিতে ভিসা প্রদান করে থাকে।
এবার আপনি যেই সকল ক্যাটাগরির যোগ্য একং যেই ক্যাটাগরিতে যেতে চান, সেই ক্যাটাগরির উপরে
ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আর তাদের সকল ক্যাটাগরির মধ্যে যে সকল বহুল প্রচলিত তা হচ্ছে-
- ভিজিটর ভিসা,
- টেম্পোরারি অ্যাক্টিভিটি ওয়ার্ক ভিসা,
- স্টুডেন্ট ভিসা,
- টেম্পোরারি রেসিডেন্স,
- মেডিকেল ট্রিটমেন্ট,
- পরিবার-সন্তান,
- বিজনেস ভিসা।
- পরিবার-সঙ্গী এবং সম্ভাব্য বিয়ে,
- পরিবার-অন্যান্য,
- রেসিডেন্ট রিটার্ন,
- ডিসেন্ট অনুসারে নাগরিকত্ব,
- ওয়ার্ক অ্যান্ড হলিডে ভিসা ,
- অস্ট্রেলিয়ান ঘোষণামূলক ভিসা।
অস্ট্রেলিয়া ভিসা আবেদন
অস্ট্রেলিয়া ভিসা আবেদন- আপনি যদি সকল বিষয়ে যোগ্য হয়ে থাকেন, এবং অনেক ক্ষেত্রে আপনি
যদি সে দেশের কোম্পানি, বা ব্যক্তির মাধ্যমে স্পন্সর সংগ্রহ করে থাকেন, তবুও যদি আপনি ভিসা না পেয়ে
থাকেন তবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া আপনার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই অস্ট্রেলিয়ার জন্য এই অনুমোধন পত্রটি
হচ্ছে অত্যাবশ্যক একটি বিষয়। আর তাই অনুমোধন পত্রটি নিতে আপনাকে এর জন্য কিভাবে আবেদন
করবেন?, এবং কিভাবে আবেদন করতে হয়? সে বিষয়টি এখানে বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রথমে
আপনাকে সেই দেশে কাজের অনুমতি পত্র, বা ভ্রমণ ভিসার অনুমতি পত্র সংগ্রহ করত হবে। এর পর সেই
কাগজ পত্র সহ আরো কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ সহ অস্ট্রেলিয়ার ভিএফএস অফিস ঢাকায় জমা দিতে
হবে। যদি তারা আপনার কাগজ পত্র চেক করে সঠিক পায় তবে আপনাকে ভিসা প্রদান করবে। আবেদন
করতে যে সকল কাগজপত্র লাগে তা হলো নিম্নোক্ত সমূহঃ
- একটি বৈধ পাসপোর্ট। তবে যদি আপনার পুরনো পাসপোর্ট থাকে তবে সেটিও সাথে জমা দিতে হবে।
- যেদিন আপনি আপনার পাসপোর্টটি জমা দিবেন সেদিন থেকে পাসপোর্টের মেয়াদ নূন্যতম ৬ মাসের মেয়াদ থাকতে হবে।
- বিমান যাত্রার টিকেট।
- ম্যাট-ফিনিস সহ সাদা পটভূমির বিপরীতে নেওয়া দুটি পাসপোর্ট-আকারের রঙিন ছবি।
- আপনি যে উদ্দেশ্য সেখানে যাচ্ছেন তা বিস্তারিত উল্লেখ করে একটি কভার লেটার।
- জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- আপনার ট্যাক্স সার্টিফিকেট।
- করোনার ভ্যাকসিন গ্রহনের সার্টিফিকেট।
তবে বিশেষ ক্ষেত্রে আরো কিছু কাগজ পত্র লাগে যেমন কেউ যদি চাকুরি জীবি বা ব্যবসায়ী অথবা
ছাত্র/ছাত্রী হয় তবে তাদেরকে আরো কিছু বাড়তি কাগজ পত্র জমা দিতে হয়। আপনার জন্য কোন ধরনের
কাগজ পত্র জমা দিতে হবে তা জানতে চান তবে আমাদের কমেন্স করে জানান আমি আপনাদের জানিয়ে
দিব আপনার কি কি কাগজ পত্র বাড়তি লাগবে।
অস্ট্রেলিয়া ভিসা কিভাবে পাওয়া যাবে
অস্ট্রেলিয়া ভিসা কিভাবে পাওয়া যাবে- আপনি এই ভিসা পাওয়া অনেক সহজ মনে করতে পারেন ।
আবার অনেক কঠিন মনে করতে পারেন। কারণ আপনার কাছে যদি প্রয়োজনীয় সকল কাগজ পত্র বৈধ
থাকে তবে আপনার জন্য ভিসা পাওয়া অনেক সহজ। আর আপনার কাছে যদি এই কাগজ পত্র না থাকে
,বা অবৈধ থাকে তবে আপনার জন্য ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন, বা অসম্ভব। তাই আপনার যদি সকল
কাগজ পত্র থেকে থাকে, এবং আপনি অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য কোন ধরনের স্পন্সর বা অনুমোধন
পেয়েছেন তখন সেই কাগজের সাথে আপরার যাওয়ার ধরনের উপর ও আপনার পেশার উপর ভিত্তি করে
উপরোক্ত উল্লেখিত কাগজ পত্রের সাথে ভিসার আবেদন পত্রটি ভিএফএস অফিসে জমা দিতে হবে। যদি
আপনার প্রয়োজনীয় সকল কাগজ পত্র সঠিক থাকে, এবং আপনার যাত্রার উদ্দেশ্য যদি তারা সঠিক মনে
করে থাকে তবে আপনাকে ভিসা প্রদান করবে। আপনি ইচ্ছে করলে নিজেই ঘরে বসে ইমি একাউন্ট খুলে
নিজে নিজেই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে তার লিংক শেয়ার
করেছি। আপনি ইচ্ছে করলে সেই লিংক অনুসরণ করে আপনার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়া ভিসা প্রসেসিং
অস্ট্রেলিয়া ভিসা প্রসেসিং-আপনি যদি কোনভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য স্পন্সর বা কাজের অনুমোতি
পত্র সংগ্রহ করতে পারেন তবে এর পর আসে ভিসা প্রসেসিং করার পালা। এবার আপনাকে যা করতে হবে
তা হলো আপনার স্পন্সর, বা কাজের অনুমোতি পত্রের সাথে আরো প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সংযুক্ত করে
এবার নির্দিষ্ট ফি সমূহ জমা দিয়ে আপনাকে ভিসার জন্য নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে হবে। এবার অফিস
আপনার সকল কাগজ পত্র সঠিক দেখলে, এবং আপনার বিদেশ যাওর উদ্দেশ্য সঠিক মনে করলে
আপনাকে ৪ থেকে ১৫ কর্মদিবসের ভিসা দিয়ে দিবে।
অস্ট্রেলিয়ার ভিসা এর শেষ উক্তি
পরিশেষে এ প্রত্যাশা রেখেই আজকের এই অস্ট্রেলিয়ার ভিসা লেখাটি শেষ করতে চাচ্ছি। আশাকরি
উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনার বিস্তর জ্ঞান লাভ হয়েছে, এবং এই বিষয়গুলোকে লক্ষ রেখে
আপনি আপনার ভিসা প্রাপ্তির জন্য সকল কার্যক্রম করবেন। অস্ট্রেলিয়ার বিষয়ে আমাদের আরও অনেক
গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু লেখা আছে। যে লেখাগুলোর লিংক আপনাদের সুবিধার জন্য আমি শেয়ার করে
দিলাম। আপনি ইচ্ছে করলে, বা প্রয়োজন মনে করলে লেখাগুলো পড়তে পারেন। আশা করি আপনাদের
উপকারে আসবে। এছাড়াও যদি আপনাদের আরো কোন ধরনের প্রশ্ন আমাদের কাছে থেকে থাকে, তবে
করতে পারেন। আমরা আপনাদের সেই প্রশ্নের উত্তর দিব , এবং যেকোনো ধরনের পরামর্শ আমরা
আপনাদের প্রদান করব। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ভিসা লেখা টি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য
অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
একই বিষয়ে পড়তে পারেনঃ
অস্ট্রেলিয়ার ১০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?
অস্ট্রেলিয়ার এক টাকা বাংলাদেশের কত?
অস্ট্রেলিয়া ক্লিনার ভিসা নতুন খবর
আজকের খবর অস্ট্রেলিয়া ভিজিট ভিসা ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট তথ্য অস্ট্রেলিয়া শ্রমিক ভিসার ২০২৩
অস্ট্রেলিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত?
আজকে অস্ট্রেলিয়ার টাকার মান কত?
অস্ট্রেলিয়া ইমিগ্রেশন ও ওয়েবসাইট