লন্ডন স্পাউস ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা- আপনি যদি লন্ডন যেতে চান তাহলে বলবো, এই লেখাটি
আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি আপনি ঠিক লেখা টি পড়তেছেন।
কারণে আজকে আমরা লন্ডন যাওয়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরবো। আর তা হচ্ছে একজন মানুষ
কিভাবে স্পাউস ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় সেখানে যেতে পারে। কারণ আমাদের অনেকেরই স্বামী-স্ত্রী
বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। কিন্তু তারা এই তথ্য না জানার কারণে তাদের স্পাউস সেই দেশে নিতে
পারতেছে না। তাই আজকে আপনি কিভাবে আপনার স্পাউসকে সহজেই সেখানে নিতে পারেন, এবং
আপনি কিভাবে ওয়ার্ক পারমিট পেতে পারেন সে বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আর এর
জন্য প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত লন্ডন স্পাউস ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লেখাটি পড়তে থাকুন।
স্পাউস ভিসা লন্ডন ২০২৩
স্পাউস ভিসা লন্ডন ২০২৩- বিশেষ করে যারা বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন বিষেশ কারে যাদের স্বামী বা স্ত্রী । তারা অনেকেই
জানেনা যে তাদের স্পাউস তারা খুব সহজেই এই দেশটিতে নিতে পারে। কিন্তু এর জন্য জানা প্রয়োজন পর্যাপ্ত তথ্য। তাই আজকে
আমি আপনাদেরকে এই অংশের লেখার মাধ্যমে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করব। যাতে করে আপনি খুব সহজেই সঠিক
উপায়ে আপনার স্পাউস কে সেই দেশে নিতে পারেন। আর এর জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হলো আপনি যদি সেই দেশে
নাগরিকত্ব পেয়ে থাকেন বা আপনার স্পাউকে নেয়ার জন্য অনুমোদন পেয়ে থাকেন তবে যে বিষয় গুলোতে আপনার যোগ্যতা
থাকতে হবে তা হলো নিম্নোক্ত।
লন্ডন স্পাউস ভিসা ক্যাটাগরি
যদি কেউ লন্ডনে বা যুক্তরাজ্যে তাদের স্পাউস কে আনতে চায় তবে সাধারণত চারটি ক্যাটাগরি রয়েছে। আর এই সকল ক্যাটাগরির
যেকোন একটিতে আপনাকে আবেদন করতে হবে। তবেই আপনি আপনার স্পাউস কে আনতে পারবেন। আর সেউ ভাগ গুলো হলো-
১. স্পাউস অফ এ সেটেল পার্সন।
২.স্পাউস অফ এ ব্রিটিশ সিটিজেন।
৩. স্পাউস অফ এ রিফিউজি।
৪. স্পাউস অফ প্রটেকশন ইন ইউকে
স্পাউস ভিসা লন্ডন ২০২৩যেতে কি কি কাগজ পত্র লাগবে
কেউ যদি এই দেশটিতে তাদের স্বামী-স্ত্রী বা ছেলে মেয়েদের আনতে চায় তবে তাদের দু-ধরনের যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। একটি
হচ্ছে যে ব্যাক্তি স্পন্সর করছে তার যোগ্যতা আর যারা সেখানে যাবে তাদের যোগ্যতা।
- বিবাহের সনদ পত্র বা কাবিন নামা।
- বৈধ পাসপোর্ট এর ফটোকপি তবে আপনার যদি পূর্বের পুরাতন পাসপোর্ট থাকে তবে তারও ফটোকপি সাথে জমা দিতে হবে।
- জন্মসনদ ও জাতীয় পরিচয় পত্র।
- ইংরেজী ভষা দক্ষতার সার্টিফিকেট।
- মেডিক্যাল রিপোর্ট।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- বিবাহের বৈধতা যাচাই করার জন্য বিবাহের ছবি,ভিডিও, বিভিন্ন ইমেল,গিফট ইত্যাদির প্রমান পত্র।
- ইউকে যে খানে আপনার স্পাউস নিবেন সেখানকার বাড়ীর চুক্তি পত্র অন্যান্য কাগজপত্র প্রয়োজন অনুযায়ী।
- যে স্পন্সর করছে তার ইনকাম ৬ মাসে ১৮৬০০ ইউকে ডলার হতে হবে।
লন্ডনে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩
লন্ডনে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩- আপনি যদি যুক্তরাজ্য যেতে চান তাহলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হচ্ছে আপনার জন্য সবচেয়ে
সহজ, এবং নিরাপদ উপায়। এর জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে আপনি শুধু সেই দেশে একটি ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ
করবেন, আর এই ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করাই হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন কাজ । তবে আপনাদের আমি আশাহত করতেছি না, আপনি
যদি একটু ধৈর্য সহকারে চেষ্টা চালিয়ে যান তবে খুব সহজেই ওয়ার্ক পারমিট পেতে পারেন। আর তার জন্য আপনাকে যে উপায়
অনুসরণ করতে হবে তা হচ্ছে আপনি নিয়মিত নিম্নোক্ত সাইটে ভিজিট করে, সেখানে চাকরির জন্য আবেদন করবেন। দেখবেন এক
সময় কোন এক কোম্পানী কর্তৃক আপনাকে কাজের জন্য চূড়ান্ত নিয়োগ করার জন্য নির্বাচন করেছে। আর তখন আপনি ওয়ার্ক
পারমিট পেয়ে গেছেন। সাধারনত দেখা যায় অনেকেই দালালদের চক্করে পড়ে অনেক টাকা পয়সা নষ্ট করে থাকে । তবে সব সময়
এই ধরনের প্রতারক চক্র থেকে সাবধান থাকবেন। আর যদি কোন কারণে আপনার নিকট আত্মীয় থাকে তবে সেটা ভিন্ন কথা।
নিচের লিংকটি শেয়ার করা হলো যেখান থেকে আপনার ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার জন্য নিজে নিজেই আবেদন করতে পারবেন।
লন্ডনের স্পাউস ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত ২০২৩
লন্ডনের স্পাউস ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত ২০২৩- যারা অনেক সময় বলেন লন্ডনের স্পাউস ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট
ভিসায় যেতে চাই কিন্তু এই ভিসার দাম কত? যদি আপনার এই ধরনের প্রশ্ন হয়ে থাকে তবে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন।
সাধারণত দেখা যায় আমরা এই ভিসা গুলো বিভিন্নভাবে সংগ্রহ করে থাকি। তবে কেউ অনেক সময় নিজে নিজেই চেষ্টা করে ভিসা
সংগ্রহ করে থাকে, আবার কেউ নিকটাত্মীয় দ্বারা সংগ্রহ করে থাকে। তাই এক্ষেত্রে আপনার ভিসার দাম স্পষ্টভাবে বলা অনেকটাই
কঠিন । তবে যদি আপনি জেনুইন ভাবে সেই দেশের এই ধরনের ভিসা নিয়ে যেতে চান তবে সে ক্ষেত্রে খুবই নগণ্য টাকা খরচ হবে।
কারণ সেখানে এ ধরনের ভিসার জন্য কোন দাম নেওয়া হয় না ।আপনার শুধু প্রসেসিং ফি বাবদ যতটুকু খরচ হবে ততটুকুই । আর
সেই পরিমাণ হচ্ছে –
১. কেয়ার ওয়ার্কার ভিসার জন্য -২৩২ পাউন্ড।
২. ভিজিট ভিসার খরচ হবে নিম্নোক্ত তবে এখানে বেশ কিছু ধরণ আছে যেমনঃ-
- স্বল্পমেয়াদী যার মেয়াদ থাকবে ৬ মাস – ১৩০০২ বাংলাদেশী টাকা।
- স্বল্প-দীর্ঘমেয়াদী অর্থাৎ সর্বোচ্চ ২ বছর মেয়াদী-৪৮৮৮৮ BDT।
- দীর্ঘমেয়াদী ৫ বছর মেয়াদী-৮৭১১৪ বাংলাদেশী টাকা।
- অতি দীর্ঘমেয়াদী যার মেয়াদ ১০ বছর হয়ে থাকে-১০৮৮২৭ BDT।
৩. স্টুডেন্ড ভিসার খরচ- এই ভিসা সাধারণত দুই ধরনের এবং খরচও দুই ধরনের যেমন
- সাধারণ স্টুডেন্ট ভিসার খরচ -৩৭৪৮০ টাকা।
- স্বল্পমেয়াদী স্টুডেন্ট ভিসার খরচ-১০৪৪৭ বাংলাদেশী টাকা।
৪. ব্যবসায়িক ভিসার খরচঃ সাধারণত কয়েক ধরনের এবং মেয়াদের উপর নির্ভর করে এই ভিসার দাম আর এর জন্য নিম্নোক্ত তালিকার মধ্যমে উপস্থাপন করা হলো-
লন্ডন স্পাউস ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এর শেষ উক্তি
উপরোক্ত লন্ডন স্পাউস ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লেখাটির শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানেই লেখাটি শেষ
করতে যাচ্ছি। আশা করি ওয়ার্ক পারমিট ও স্পাউস ভিসার ব্যাপারে আপনাদের পর্যাপ্ত জ্ঞানলাভ হয়েছে।এই সকল তথ্য উপাত্ত
গুলো আপনাকে এই ধরনের ভিসা পেতে অনেক সহায়তা করবে এ প্রত্যাশায় আজকে করছি। এছাড়াও আমাদের আরো
অনেকগুলো লেখা আছে, যে লেখাগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর লেখা তাই আপনি ইচ্ছে করলে লেখাগুলো পড়তে
পারেন। আশাকরি লেখাগুলো আপনার অনেক কাজে লাগবে। আর আপনাদের সুবিধার্থে এই লেখাগুলোর লিংক নিচে শেয়ার করা
হলো সেখান থেকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী পড়ে নিতে পারেন। লেখাটি ভালো লাগলে সবার সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।
যদি কোনো কারণে লিখাটি খারাপ লাগে তবে আমাদেরকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন কোন বিষয়টি আপনার খারাপ লেগেছে।
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত লন্ডন স্পাউস ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লেখাটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন সুস্থ
থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
আরো পড়তে পারেনঃ
যুক্তরাজ্য বা ইউকের জনসংখ্যা কত?
যুক্তরাজ্য বা ইউকের মুদ্রার নাম কি?
লন্ডন / ইউকে/যুক্তরাজ্য কেয়ার ওয়ার্কার জব ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি
লন্ডন/ইংল্যান্ড বা যুক্তরাজ্য কেয়ার ওয়ার্কার জব ভিসা আবেদন ২০২৩
কানাডায় নাগরিকত্বের প্রয়োজনীয়তা
কানাডায় নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় বা সিটিজেনশিপ
One comment
Pingback: গর্ভধারনের জন্য সহবাসের নিয়ম উপযুক্ত সময়