সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার – সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য অনেক ধরনের ভিসা চালু আছে। এ সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন
করে থাকেন কত ধরনের ভিসা চালু আছে? তাদের এ প্রশ্নের উত্তরে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। সৌদি
আরব মূলত কত ধরনের ভিসা চালু আছে? কোন কোন বিষয়ে তারা লোক নিয়োগ করে থাকে?। বিশেষ করে অনুন্নত দেশ
থেকে সৌদি আরবে যে সকল লোক যায় তারা কোন না কোন ভাবে কাজের উদ্দেশ্যে, এবং লেখাপড়ার উদ্দেশ্য গিয়ে
থাকেন। তাই এখানে আমি কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করেছি, যে বিষয়গুলো সাধারণত সচরাচর মানুষ সৌদি আরব গিয়ে
থাকেন। তাই কথা না বাড়িয়ে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হল। কোন কোন বিষয়ে সৌদি আরব যাওয়া যায়, এবং কত
ধরনের ভিসা সৌদি আরব সরকার চালু রেখেছেন?।
সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার
এজন্যই দেখা যায় তাহলে উপরোক্ত বিষয়গুলোর ওপর সরকার ভিসা প্রদান করে থাকে। এছাড়াও যে সকল কাজে সৌদি
আরব সরকার ভিসা প্রদান করে থাকে সে বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করব।
সৌদি আরব ভিসা দাম কত?
যে সকল দেশ থেকে কর্মী সৌদি আরব কাজের জন্য মানুষ যায় সেই সকল দেশের একটি শ্রেণী, অর্থাৎ আমি যদি আরেকটু
খোলাখুলি ভাবে বলি একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী বা দালাল প্রকৃতির মানুষ যারা গ্রাহকের কাছ থেকে অধিক পরিমাণ টাকা
হাতিয়ে নিয়ে থাকে । অনেক সময় দেখা যায় অনেক কোম্পানি কিছু কাজের ভিসা ফ্রী দিয়ে থাকেন । কিন্তু দালাল যারা
তারা মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয় । তবে যারা সৌদি আরব সরকার থেকে ভিসা উঠাতে মাত্র ২০০০ রিয়াল খরচ পড়ে।
তবে দালাল যারা তার বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে বিভিন্ন পরিমাণে টাকা নিয়ে থাকে। তাই মোটামুটি কাজের ধরন ও
কম্পানির সুবিধা বিচার বিশ্লেষণ করে ৩.৫ লাভ খেবে ৪.৫ টাকা নিয়ে থাকেন।
সৌদি আরব সুপার মার্কেট ভিসা
হজ্ব মৌসুম থেকে শুরু করে বছরের প্রায় সকল মৌসুমেই এই দেশটিতে প্রচুর বিদেশি লোকের সমাগম হয়ে থাকে যার
ফলে এখান কার মার্কেট গুলো অনেক উন্নত। আর এখানকার মার্কেট গুলোতে প্রচুর লোকের সমাগম হয়ে থাকে। আর এর
ফলে অনেক বড় বড় মার্কেট এখানে গড়ে উঠেছে । যার ফলে তাদের মার্কেট গুলোতে কাজ করার জন্য বাহিরের
লোকদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। সৌদি আরব বিভিন্ন সময়ে সুপার মার্কেট গুলোতে যে সকল লোক লোক নিয়োগ করে থাকে
তাকে মার্কেট ভিসা বলে আর এই ভিসায় এখানে আসতে গড়ে ২.৫ লক্ষ থেকে ৩.৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে থাকে।
আমেল আইডি ভিসা দাম কত
সৌদি আরবের আমেল ভিসা হচ্ছে অনেক ভালো একটি ভিসা। অনেকেই এই ভিসা নিয়ে সৌদির গিয়ে থাকেন। আর তারা
সাধারণত কফিলের সাথে কথা বলে বাহিরে কাজ করে থাকে। এভাবে যদি কেউ বিদেশ যায় তবে এর যেমন একদিকে কিছু
সুবিধা রয়েছে, অন্যদিকে কিছু অসুবিধাও আছে । আমি সুবিধাগুলো আলোচনা করছি সুবিধাগুলো হল
- আপনি স্বাধীন হিসেবে কাজ করতে পারেন।
- কফিলের সাথে আলোচনা করে ব্যবসা করতে পারবেন।
- যে কোন কম্পানিতে অধিক বেতন পাবে।
- গাড়ীর ড্রাইভারী করতে পারবেন।
- নিজে গাড়ী ক্রয় করে ভাড়ায় চানাতে পারবেন।
- খাবার হোটেল দিতে পারবেন।
আর এই ধরনের ভিসার যে অসুবিধা গুলো আছে সেটাও একে বারে কম না। তাই যদি আপনি এই ভিসায় আসতে চান তবে
এর সুবিধা অসুবিধা কগুলো বিচার বিশ্লেণ করে তার পরে সিদ্ধান্ত নিবেন। অন্যথায় আপনি ভোগান্তির স্বীকার হতে হবে। এই
ভিসার প্রধান অসুবিধা সমূহ হলো নিম্নরুপ।
- প্রতি বছর আকামা রেনু করার জন্য ১০ থেকে ১২ হাজার রিয়াল গুনতে হবে।
- আপনার কফিলকে প্রতি মাসেই আপনার আয়ের একটি অংশ দিতে হবে।
- যদি কোন কারণে সমস্যায় পড়েন আর আপনার কফিল হাজির না হয় তবে মোটা অংকের জরিমানা গুনতে হবে।
- প্রথম অবস্থায় চাকুরি পেতে সমস্যা হয়।
- বিদেশ যাওয়ার সময় বেশি পরিমাণে টাকা খরচ হয়।
সৌদি আরব লেবার ভিসা
বিভিন্ন ধরনের ভারী কাজের জন্য সৌদি আরবে প্রচুর লেবার প্রয়োজন হয়। আর এ সমস্ত লেবার তারা অন্যান্য দেশ থেকে
নিয়োগ করে থাকে। যার ফলে প্রতিবছর এই কাজে অনেক সংখ্যক লোক কাজের সুযোগ পেয়ে থাকে। এই ধরনের কাজের
উপর যারা এখানে সেই সকল ভিসাকে লেবার ভিসা বলা হয়। কম্পানির সুযোগ সুবিধা বিচার বিশ্লেষন করে ৩ থেকে ৪ লক্ষ
টাকা তারা নিয়ে থাকে।
সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা
যেহেতু বিভিন্ন সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক লোকের সমাগম হয়ে থাকে। তাই এদেশের রাস্তাঘাট থেকে শুরু
করে বাড়িঘর হোটেল কলকারখানা সব জায়গায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজন হয়। যেহেতু পর্যটক শিল্পনগরী
সবগুলোরই সেখানে প্রচুর পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রয়োজন হয় । আর এর জন্য প্রতিবছর তারা এই কাজের উপরে ভিসা প্রদান
করে থাকে। আর এই কাজের উপযোগী যে ভিসা প্রদান করা হয় তাকে মূলত ক্লিনার ভিসা বলা হয়। আর এর জন্য
আপনাকে যে খরচ গুনতে হবে তাহলো কম্পানি ভেদে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা।
সৌদি আরব স্টুডেন্ট ভিসা
বিশেষ করে মুসলিমদের জন্য এদেশের লেখাপড়াটা হচ্ছে অনেক ভালমানের। কারণ যারা মুসলিম স্কলার হতে চান তাদের
জন্য সৌদি আরববের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে অন্যতম। আর তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মুসলিম ছাত্রছাত্রী এখানে
লেখাপড়া করার জন্য আসে। এর জন্য এদেশের সরকার প্রতিবছর একটি কোটা নির্ধারণ করে থাকেন। আর এই কোটার
আওতায় লেখাপড়া করার জন্য যে ভিসা প্রদান করা হয় তাকে মূলত স্টুডেন্ট ভিসা বলা হয়।
সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার এর শেষ উক্তি
আশা করি উপরোক্ত সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার লেখাটি আপনাদের সবার অনেক কাজে লাগবে । আমাদের
লেখাগুলো পড়লে বিদেশের ব্যাপারে আপনার মনে কোন ধরনের প্রশ্ন থাকবে না। আমাদের লেখাগুলো যদি পড়েন আপনি
সব ধরনের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। এছাড়াও এর বাহিরে যদি কোন প্রশ্ন আপনার মনের মধ্যে থেকে থাকে তবে কমেন্ট
সেকশনে আমাদের লিখতে পারেন। পরবর্তীতে আমরা আপনার লেখার উত্তর দিব। আমরা সবসময় তথ্যনির্ভর লেখার চেষ্টা
করি, সে ক্ষেত্রে যদি আপনার কোন ধরনের মতামত থাকে অবশ্যই মতামত প্রদান করবেন। ধন্যবাদ কষ্ট করে প্রথম থেকে
শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য।
3 comments
Pingback: মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে আজকের খবর
Pingback: ইতালি টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং খরচ ২০২৩
Pingback: ইতালিতে বৈধ হওয়ার উপায় ও কোন কাজের চাহিদা বেশি