হ্যালো বন্ধুরা , আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো ইউরোপ এর সার্বিয়া দেশ কেমন সম্পর্কে ।
আপনারা অনেকেই ইউরোপ এ যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন আবার অনেকেই গিয়েছেন। ইউরোপ মানেই
আপনাদের অনেকের স্বপ্নের দেশ। তেমনি ইউরোপ এর একটি দেশ হল সার্বিয়া । আর আজকে এই লেখার
মাধ্যমে আপনারা জানা অজানা তথ্য তুলে ধরবো এই লেখার মাধ্যমে। আপনি যদি সার্বিয়া সম্পকে জানতে
চান তাহলে পুরো লেখা টি পড়তে হবে। তাই আপনারা যারা সার্বিয়া যেতে চান তারা আমারা এই সার্বিয়া
দেশ কেমন লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন । নিম্নে সার্বিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত
ভাবে আলোচনা করা হল। তাই আপনারা যারা জানতে ইচ্ছুক তারা লেখাটির মাধ্যেমে জেনে নিন –
সার্বিয়া দেশ কেমন
সার্বিয়া দেশ কেমন: দক্ষিণ – পূর্ব ইউরোপ এর একটি স্থলবেষ্টিত দেশ হল সার্বিয়া । দেশ টি সরকারি ভাবে
প্রজাতন্ত্র হিসেবে পরিচিত সার্বিয়া। এটির অবস্থান হল প্যানোনীয়ান সমভূমির দক্ষিণাংশে ও বলকান
উপদ্বীপের মধ্য ভাগে অবস্থীত। আর দেশটির উত্তরে হাঙ্গিরি , পূর্বে রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া, দক্ষিণে
আলবেনিয়া ও মেসোডোনিয়া এবং পশ্চিমে মন্টিনেগ্রো , ক্রোয়েশিয়া , বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা অবস্থিত ।
আর দেশটির রাজধানীর নাম হল বেলগ্রেড। সার্বিয়া দেশটির আয়তন ৮৮ হাজার ৩৬১ বর্গ কিলোমিটার ।
আর যদি দেশটির জনসংখ্যা হিসেব বতে যাই তাহলে ২০১৮ সালের এক হিসেব অনুযায়ী ৮৭ লাখ ৬২
হাজারেরও বেশি। আর সার্বিয়ার অফিসিয়াল ভাষা হল সার্বিয়ান। আর দেশটির ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ
এই ভাষায় কথা বলেন। দেশটির প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি হাঙ্গারিয়ান , বসনিয়ান, ক্রোয়েশিয়ান
, আলবেনিয়ান, রোমানিয়ান, বুলগেরিয়ান ও রাশিয়ান ভাষায় কথা বলেন। আর সার্বিয়া প্রথম রাজ্য ‘রাস্কা’
প্রতিষ্ঠিত হয় ভাস্তিমিরভিচ রাজবংশ কর্তৃক নবম শতকে। তারপরে এটি নিমানভিচ রাজবংশের অধীনে
সার্বিয়া রাজতন্ত্র ও সাম্রাজ্যে প্রসারিত হয়। আধুনিক যুগে বিভিন্ন সময়ে সার্বিয়া বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিল।
তারমধ্যে স্বায়ত্বশাসিত রাজ্য ১৮১৭ থেকে ১৮৭৮ সাল পর্যন্ত স্বাধীন রাজ্য এবং ১৮৭৮ থেকে ১৯১৮ সার্ব ,
ক্রোট ও স্লোভেন দের রাজ্যের অংশ ,১৯১৮ থেকে ১৯৪১ নাৎসি অধিকৃত রাষ্ট্র , ১৯৪১ থেকে ১৯৪৪
ইয়ুগোস্লাভ যুক্তরাষ্ট্রের অধীনেস্থ একটি সমাজবাদী প্রজাতন্ত্র ১৯৪৫ থেকে ১৯৯২ গণতন্ত্রী ইয়ুগোস্লাভ
যুক্তরাষ্ট্রের অধীনস্থ একটি প্রজাতন্ত্র ১৯৯২ থেকে ২০০৩ সার্বিয়া ও মন্টেনেগ্রোর অংশ ২০০৩ থেকে ২০০৬
সার্বীয় প্রজাতন্ত্র ৫ এ জুন ২০০৬ সালে ঘোষিত।
সার্বিয়া দেশ সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য
আপনাদের আরো কিছু তথ্য জানাই যে, সংবিধান অনুযায়ী সার্বিয়া একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র, যেখানে
বসবাসকারীরা তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ধর্ম পালন করতে পারেন। কিন্তু দেশটির ৮৪ শতাংশ মানুষ খ্রিষ্টান ধর্ম
অবলম্বন করে । তাছাড়া রোমান ক্যাথলিকদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার 6 শতাংশ এবং মুসলিম ৩ শতাংশ।
এরপরও আরো অন্যান্য ধর্মাবলম্বী রয়েছে ৭ শতাংশ। তাছাড়া আপনাদের আরো জানাই যে, বিভিন্ন
কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনের জন্য সার্বিয়ার ভূমি খুব সমৃদ্ধ। দেশটির প্রায় ৫০ লাখ ৫৬ হাজার হেক্টর আবাদি
ভূমি রয়েছে। হিমায়িত ফল রপ্তানির জন্য বিশ্ব বাজারে সার্বিয়া বিখ্যাত। সার্বিয়ার একটি বড় অংশ জিডিপি
কৃষিজাত পণ্য থেকে আসে। অর্থনৈতিক দিক থেকে উচ্চ আয়ের দেশ সার্বিয়া । আর সার্বিয়াতে প্রচুর
পরিমাণে প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন, কয়লা , গ্যাস ও তেল মজুদ রয়েছে। কয়লা মজুদের দিক থেকে সার্বিয়া
পঞ্চম স্থানে আছেন। পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে সার্বিয়ার খুব একটা সুনাম না থাকলেও ২০১৭ সালের এক
হিসেবে দেখা যায় দেশটিতে এক পয়েন্ট পাঁচ মিলিয়ন পর্যটক ভ্রমণে এসেছে। বিশেষ করে দেশটির
রাজধানী শহর বেলগ্রেড এবং অন্যান্য শহর নোভি স্যাডে বেশির ভাগ পর্যটক ঘুরতে আসেন। এছাড়া
দেশটির বিখ্যাত মিউজিয়াম ফ্যাস্টিবল এবং পাহাড় , নদী জন্যেও মানুষ ঘুরতে আসে। আর আপনি যদি
সার্বিয়া শিক্ষার হার জানতে চান তাহলে বলা যায় যে শিক্ষার হার ৯৮ শতাংশ। আর আমরা যদি সার্বিয়ার জন
প্রিয় খেলার কথা বলি তাহলে তাদের জনপ্রিয় খেলা হল ফুটবল । দেশটির ১ লাখ ৪৬ হাজারেরও বেশি মানুষ
সার্বিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে রেজিষ্ট্রারকৃত ফুটবল প্লেয়ার। এছাড়াও জনপ্রিয় খেলার মধ্যে রয়েছে
বাস্কেটবল, ভলিবল,টেনিস, ওয়াটার পোলো ও হ্যান্ডবল।
উপসংহার
আপনারা যারা ইউরোপ এর সার্বিয়াতে যেতে চান তারা আমার এই লেখা থেকে সার্বিয়া দেশ সম্পর্কে জানতে
পারবেন। আপনি যে দেশে যাবেন যাওয়ার আগে সেই দেশ সম্পর্কে জেনে যাওয়া ভালো । তাই আগে দেশ
সম্পর্কে জানুন তারপরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিন। আর আপনাদের যদি আরও কোনো বিষয় জানার থাকে
তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা তার উত্তর দিয়ে আপনাকে জানিয়ে দিবো । নিম্নে আপনাদের সাথে
আরও কিছু লেখার লিংক শেয়ার করলাম । আপনারা প্রয়োজন মনে করলে পড়তে পারেন। আশা করি
কাজে লাগবে। ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এই সার্বিয়া দেশ কেমন লেখা টি এখানেই শেষ করছি ।
আল্লাহ্ হাফেজ।