হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আজকে আমরা কথা বলবো পর্তুগাল দেশ কেমন বিষয়
টি নিয়ে ।আপনারা যারা পর্তুগাল সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তারা অবশ্যই আমার এই লেখা টি পড়ুন। এই
লেখা থেকে আপনারা আরো জানতে পারবেন,পর্তুগাল দেশ সম্পর্কে আরও কিছু কথা, পর্তুগাল দেশ
কেমন,এবং সর্বাধিক ব্যবহৃত কথ্য ভাষা পর্তুগিজ। এ সকল বিষয় নিম্নে আলোচনা করা হল। তাই আপনারা
যারা পর্তুগাল সম্পর্কে জানতে চান। তারা আজকে আমার এই পর্তুগাল দেশ কেমন লেখা টি প্রথম থেকে
শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। নিম্নে পর্তুগাল সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
পর্তুগাল দেশ কেমন
পর্তুগাল দেশ কেমন: পর্তুগাল দক্ষিণ পশ্চিম ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। এটি আইবেরীয় উপদ্বীপের
পশ্চিমাংশে এবং স্পেনের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। আটলান্টিক মহাসাগরে দেশটির দীর্ঘ উপকূলে রয়েছে।
এছাড়াও দুইটি স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপপুঞ্জ পর্তুগালের নিয়ন্ত্রাধীন, এগুলি হল আসোরেস দ্বীপপুঞ্জ এবং মাদেইরা
দ্বীপপুঞ্জ,এই দুটিই আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত।লিসবন পর্তুগালের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। পর্তুগাল
মোটামুটি আয়তাকৃতির। এর উত্তরে ভূমি পর্বতময় ও সবুজে ছাওয়া, এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এবং
আবহাওয়া শীতল।এই অঞ্চলটি বিশেষ করে দৌউরু নদীর উপত্যকায় আঙ্গুর ক্ষেত এর জন্য বিখ্যাত।এখান
থেকে পর্তুগালের বিখ্যাত পোর্ট ওয়াইনের এর জন্য আঙ্গুর উৎপাদিত হয়। পর্তুগালের মধ্য ও দক্ষিণ ভাগ
উষ্ণতর এবং শুষ্কতর। সেখানে আঙ্গুর ছাড়াও গম ও অন্যান্য কৃষিদ্রব্য উৎপাদিত হয়। এখানে ওক,কর্ক ও
জলপাই গাছও জন্মে।এই দেশের একেবারে দক্ষিনে আলগার্ভে নামের অঞ্চলটি উষ্ণ গৃষ্ম কাল এবং মাইলের
পর মাইল জুড়ে বিস্তৃত রৌদ্রোজ্জ্বল বেলাভূমির জন্য পরিচিত। পর্তুগাল খ্রিস্টপূর্ব ২ য় শতাব্দীতে রোমান
সাম্রাজ্যের অংশে পরিণত হয়।দৌরু নদীর মোহনায় অবস্থিত প্রাক্তন রোমান বসতি পোর্তুস কাল থেকে
পর্তুগাল নামটি এসেছে।খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতকে রোমান শাসনের অবসানের পর ইউরোপের অভ্যন্তরভাগ
থেকে জার্মানি ও জাতির লোকেরা এসে পর্তুগাল শাসন করে। এরপর এলাকাটি স্পেনীয় রাজাদের অধীনে
আসে। ১২শ শতকে পর্তুগাল একটি স্বাধীন রাজ্যে পরিণত হয়।
পর্তুগাল দেশ সম্পর্কে আরও কিছু কথা
পর্তুগাল দেশ সম্পর্কে আরও কিছু কথা: ১৫শ শতকে পর্তুগাল ইউরোপের প্রধান সমুদ্রাভিযান কেন্দ্রে
পরিণত হয়। পরবর্তী প্রায় ১০০ বছর পর্তুগিজ নাবিকেরা বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়ে যান এবং বিশ্বের সমুদ্র বাণিজ্য
নিয়ন্ত্রণ করেন। এই নাবিকদের সহায়তায় পর্তুগাল ইউরোপের প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে একটি বৃহৎ সাম্রাজ্য গড়ে
তুলেন।এশিয়া, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকা তে তাদের উপনিবেশ ছিল ।বর্তমানে পর্তুগিজ ভাষা বিশ্বের
সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ভাষার একটি, যা তার অতীতের সাম্রাজ্যের পরিচয়বহ। ১৬শ শতকের শেষ নাগাদ
পর্তুগালের শক্তি ও সম্পদ নিঃশেষ হয়ে যায় এবং দেশ টি তার বেশিরভাগ এশীয় উপনিবেশ হারায়। পর্তুগাল
তার বৃহত্তম উপনিবেশ ব্রাজিলের উপর ১৯শ শতক পর্যন্ত এবং তার বিশাল আফ্রিকান সাম্রাজ্যের উপর
২০শ শতক পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখেন। পর্তুগালের অধীনে বিশ্বের এক বিশাল স্থলভাগ থাকলেও এটি
ইউরোপের সবচেয়ে অনুন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটি। ১৯১০ সাল পর্যন্ত পর্তুগালে রাজতন্ত্র প্রচলিত ছিল।
ওই বছরে পর্তুগালে প্রথম প্রজাতন্ত্রের আবির্ভাব ঘটে। এর পরবর্তী বছর গুলোতে ছিল খুব অশান্ত।১৯২৬
সালে কু- এর মাধ্যমে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং এতে পাঁচ দশক ধরে পর্তুগাল শাসন করেন।
১৯৬০ এর দশকে আফ্রিকাতে উপনিবেশ যুদ্ধের কারণে পর্তুগালের সম্পদ হ্রাস পায় এবং জাতীয় অর্থনীতি
দুর্বল হয়ে পড়ে।১৯৭৪ সালে পর্তুগালে একটি বিপ্লব ঘটে এবং একটি সামরিক সরকার ক্ষমতায় আসেন।
১৯৭৫ সালে পর্তুগাল তার সমস্ত আফ্রিকার উপনিবেশ কে স্বাধীনতা দিয়ে দেয়। ১৯৭৬ সালে প্রণীত নতুন
সংবিধানে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়। তখন থেকে পর্তুগাল ইউরোপের সাথে নতুন করে
সম্পর্ক স্থাপন করেছে এবং অর্থনীতির আধুনিকতায় জোর দিয়েছে। পর্তুগাল ১৯৮৬ সালে ইউরোপীয়
সম্প্রদায়ে যোগদান করেন এবং ১৯৯৯ সালে মুদ্রা হিসেবে ইউরো কে গ্রহন করেন। ১৯৯৯ সালেই পর্তুগাল
এশিয়াতে তার শেষ উপনিবেশ মাকাও-কে চীনের কাছে ফেরত দেয়।
সর্বাধিক ব্যবহৃত কথ্য ভাষা পর্তুগিজ
সর্বাধিক ব্যবহৃত কথ্য ভাষা পর্তুগিজ: পর্তুগিজ ভাষা বিশ্বের সর্বাধিক কথ্য ভাষা গুলোর মধ্যে অন্যতম
একটি ।পর্তুগালের স্থানীয় ১ কোটি মানুষ ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ সহ সর্বমোট ২৩ কোটি মানুষ পর্তুগিজ
ভাষায় কথা বলে। প্রকৃতপক্ষে ,পর্তুুগজ ৯ টি দেশের সরকারি ভাষা ও আন্তর্জাতিকভাবে সর্বাধিক ব্যবহারিত
ভাষার মধ্যে পর্তুুগিজের স্থান ৬ ষ্ঠ।
পর্তুগাল দেশ কেমন এর শেষ কথা
আজকের মত এখানেই শেষ করছি পর্তুগাল দেশ কেমন লেখা টি।এটি সুন্দর একটি তথ্যমূলক লেখা। এই
লেখা টি আপনাদের অনেকের উপকারে আসবে আশা করি। আপনাদের যদি আরো কোন বিষয়ে জানার
থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমরা তার উত্তর দিয়ে সে বিষয় টি আপনাকে জানিয়ে
দিবো। আমরা বিদেশের ব্যাপারে সব ধরনের তথ্য দিয়ে থাকি। তাই যারা বিদেশের ব্যাপারে তথ্য জানতে চান
তারা আমার এই লেখাগুলো থেকে জানতে পারবেন। আশা করি উপকৃত হইবেন। নিম্নে আপনাদের সাথে
আরো কিছু লেখার লিংক শেয়ার করা হল। প্রয়োজন মনে করলে পড়তে পারেন। আশা করি উপকারে
আসবে। ধন্যবাদ সবাইকে আজকে আমার এই পর্তুগাল দেশ কেমন লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত
মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
একই বিষয়ে পড়তে পারেনঃ
- অস্ট্রেলিয়া যেতে কত সময় লাগে
- সরকরিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায়
- অস্ট্রেলিয়া শ্রমিকের বেতন
- কাতারে কোন কাজের চাহিদা বেশি।
- সিংঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি।
- কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি।
- মালয়েশিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি
- সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার
- সুইজারল্যান্ড সংবিধান ও জনপ্রিয় স্থান
- সুইজারল্যান্ড ভাষা এবং প্রশাসন
- সুইজারল্যান্ড কোন মহাদেশে অবস্থত
- সুইজারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা
- সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ ভিসা
- সুইজারল্যান্ড নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়
- নিউজিল্যান্ড দেশের পরিচিতি ও জনসংখ্যা কত?
- নিউজিল্যান্ড ভিসা ও বেতন কত?
- নিউজিল্যান্ডের মুদ্রার নাম ও মান কত?
- পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও কোন কাজের চাহিদা বেশি
- নিউজিল্যান্ড নাগরিকত্ব ও স্থায়ী বসবাসের সুবিধা
- বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার নিয়ম ও আবেদন