আপনারা যারা দক্ষিণ কোরিয়া নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় খুজতেছেন আজকের এই লেখা টি তাদের
জন্য । করণ এই লেখার মাধ্যমে আপনারা নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় সম্পর্কে সব কিছু জনতে পারবেন ।
তাই আপনারা অবশ্যই একবার হলেও লেখা টি মোনোযোগ দিয়ে পড়ুন। দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বের সবচেয়ে
উন্নত এবং সুবিধাজনক একটি দেশে । এই দেশটি সবচেয়ে স্থিতিশীল হিসাবে বিবেচনা করা হয় । আর এটি
একটি অর্থনৈতি অনেক শক্তিশালী এবং খুব মর্যাদাপূর্ণ একটি বাজার আছে। আর এই কারণে অনেক
রাশিয়ান নাগরিক যারা একটি উন্নয়নশীল দেশে বসবাস করতে চায় তারা কোরিয়ান নাগরিকত্ব পাওয়ার
জন্য অনেক চেষ্টা করেন। তাছাড়া আমাদের দেশের অনেক বাঙালিরা দক্ষিণ কোরিয়া নাগরিকত্ব পাওয়ার
জন্য চেষ্টা করেণ। তাই আপনারা আজকের এই দক্ষিণ কোরিয়া নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় লেখা টি
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। বিস্তারিত ভাবে নিম্নে দেওয়া আছে-
দক্ষিণ কোরিয়া নাগরিকত্ব
দক্ষিণ কোরিয়া নাগরিকত্ব: কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের নাগরিকত্ব সংশোধিত ১৩ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালের
নাগরিকত্ব আইন দ্বারা পরিচালিত হয় । এটি জন্মের দ্বারা বংশ গত ভাবে এবং প্রাকৃতিকীকরণ দ্বারা প্রাপ্ত
করা যেতে পারে।
জন্মগত ভাবে: দক্ষিণ কোরিয়া জন্ম স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব দেওয়া হয় না । আপনি যদি কোরিয়া
প্রজাতন্ত্রে অজানা পিতামাতার কাছে জন্ম গ্রহণ করেনে তহলে জন্ম সূত্রে নাগরিকত্ব অর্জন করতে পারবেন
(মাটি আইন)। আবার যদি কোরিয়া প্রজাতন্ত্রে পাওয়া পরিত্যক্ত একটি শিশু কোরিয়ায় জন্ম গ্রহণ করেন
তাহলে জন্ম গ্রহণ কারী নাগরিকত্বের যোগ্য বলে স্বীকৃত ।
উৎপত্তি: একজন বাবা বা মা সন্তান জন্মের সময় কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের নগরিক হলে জন্মগত ভাবে শিশুটিও
নাগরিকত্ব পাবে। আবার যে শিশুর বাবা কোরিয়ান নাগরিক সে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোরিয়ান নগরিক হিসেবে
বিবেচিত হয় এমন কি শিশুটির বাবা যদি জন্মের আগে মারা যায় তাও শিশু টি নাগরিকত্ব পাবে।
নাগরিকত্ব প্রাকৃতিকীকরণের মাধ্যমে দুইটি প্রধান বিভাগে বিভক্ত যেমন- একটি হল স্বীকৃতি এবং অন্যটি
হল সাধারণ প্রাকৃতিকীকরণ।
স্বীকৃতি : স্বীকৃতিগত ভাবে নাগরিকত্ব পাওয়া যায় স্বীকৃতি আইন সাধারণ ভাবে প্রযোজ্য হয় যখন কোরিয়া
প্রজাতন্ত্রের একজন নাগরিকের সাথে জড়িত রক্তের বা বৈবাহিক সম্পর্ক থাকে। আবেদন কারী অপ্রাপ্তবয়স্ক
বা বিদেশী স্ত্রী কিনা তার উপর নির্ভর করে স্বীকৃতির মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন হয়ে
থাকে। আপনার স্বীকৃতি ভাবে নাগরিকত্ব পেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই তিন বছর ধরে কোরিয়ায় বসবাস
করতে হবে।
দক্ষিণ কোরিয়া নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়
দক্ষিণ কোরিয়া নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়: যারা দক্ষিণ কোরিয়া নগরিকত্ব পেতে চান তারা এই লেখার
মাধ্যমে জেনে নিন কিভাবে কোরিয়া নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। সাধারণ ভাবে দক্ষিণ কোরিয়া নাগরিকত্ব
পাওয়ার তিন টি উপায় রয়েছে যেমন, প্রথম টি হল জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব , দ্বিতীয় টি হল উৎপত্তি অনুসারে
নাগরিকত্ব এবং তৃতীয় টি হল প্রাকৃতিকীকরণের মাধ্যমে নাগরিকত্ব। এখন আপনারা যারা বংলাদেশ থেকে
গিয়ে নাগরিকত্ব পেতে চান তাদের অবশ্যই নিয়ম – কানুন মেনে নাগরিকত্ব পেতে হবে। নিম্নে
বিস্তারিতভাবে কিছু আলোচনা করা হল-
প্রাকৃতিকীকরণের কিছু বৈশিষ্ট্য
এখন বলা যায় যে যদি আপনার কোনও বিদেশি আত্মীয়র সাথে রক্তের সম্পর্ক বা দক্ষিণ কোরিয়াতে
আপনার কোনও পত্নী না থাকে তবে তার জন্য স্বাভাবিকরণের জন্য বিশেষ শর্তগুলি প্রয়োগ করা যেতে
পারে। একজন বিদেশি দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকত্ব তখনি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে যখন তিনি ঐ দেশে পাঁচ
বছর বা তার বেশি সময় ঐ দেশে থাকবেন। এছাড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হল আপনি যে দেশের নাগরিক
হতে চান সেই দেশের আইন মেনে চলতে হবে। অর্থ্যৎ আপনি যখন সেখানে বসবাস করবেন তখন সেখান
থাকা অবস্থায় আইন লঙ্ঘন করা যাবেনা ।
জন্মসূত্রে দক্ষিণ কোরিয়া নাগরিকত্ব
আপনারা জন্মগত স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব পেতে পারেন। যেমন-
- জন্মের সময় শিশুটির মা এবং বাবা ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ান।
- শিশুটির জন্ম দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে কিন্তু পিতা মাতা রাষ্ট্রহিন বা অজানা ।
- পিতা বা মাতা মারা যাওয়ার পূর্ব মূহতেও যদি দাক্ষিণ কোরিয়ান নগরিক হন ।
- কোনো শিশুকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেলে।
উপসংহার
আজকের মত এখানেই শেষ করছি দক্ষিণ কোরিয়া নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় লেখা টি। এটি সুন্দর
একটি তথ্য মূলক লেখা । লেখা টি পড়লে আপনাদের উপকারে আসতে পারে আশা করি। আমরা বিদেশের
ব্যাপারে সব সময় সব ধরণের তথ্য দিয়ে থাকি। আপনারা যারা জানতে ইচ্ছুক তারা আমার এই সইট থেকে
জানতে পারবেন আশা করি । এছাড়াও যদি আপনাদের আরও কোনো বিষয় জানার থাকে তাহলে কমেন্ট
করে জানাবেন। আমরা তার উত্তর দিয়ে আপনাকে জানিয়ে দিবো । নিম্নে আপনাদের সাথে কিছু লেখার
লিংক শেয়ার করলাম প্রয়োজন মনে করলে পড়তে পারেন। আশা করি কাজে লাগবে। ধন্যবাধ সবাইকে
আজকে আমার এই দক্ষিণ কোরিয়া নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় লেখা টি প্রথম থকে শেষ পর্যন্ত
মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।