আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আমরা কথা বলবো দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
নিয়ে। আপনারা যারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চান তারা এই লেখা টি অবশ্যই
একবার হলেও পড়েন। কারণ দক্ষিণ কোরিয়া সবারি অনেক পছন্দের একটি দেশ । আপনারা কাজ করার
জন্য সেখানে অনেকেই যেতে চান। তাই যারা দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চান তার দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্কে
জানতে আজকে আমার এই দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত
মনোযোগ সহকারে পড়ুন। নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হল । চলুন তহলে জেনে নেই-
দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা : দক্ষিণ কোরিয়া সারা বিশ্বেই একটি জনপ্রিয় দেশ বলে গণ্য । সব
দেশের সাথে সাথে বাংলাদেশের নাগরিকরাও দেশ টিতে ভ্রমন বা কাজ করার স্বপ্ন দেখে। বাংলাদেশ থেকে
নানা ধরনের কাজ নিয়ে ভ্রমন করে অনেক বাঙ্গালি নাগরিকরা। দেশটিতে কেউ যায় উচ্চ শিক্ষার কারণে ,
আবার কেউ যায় জীবিকার তাগিদে আবার এমন অনেক বাঙ্গালি আছে যে যারা যায় শুদু ভ্রমন করার জন্য
বা দক্ষিণ কোরিয়া বসবাসরত পরিবার এর সাথে সময় কাটানোর জন্য গিয়ে থাকেন। দক্ষিণ কোরিয়া অনেক
সুন্দর ও আকর্ষণীয় একটি দেশ। অনেকে এখানে কাজ করতে আগ্রহী হয়ে থাকে। তবে যে যেই উদ্দেশ্য
নিয়ে যাক না কেনো সবারি যাওয়ার আগে দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্কে জেনে যাওয়া উচিত। দক্ষিণ কোরিয়া
সরকার ২০২৩ সালে রেকর্ডসংখ্যাক ই – ৯ ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । ছোট এবং মাঝারি
শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। দেশটিতে
অনেক বংলাদেশি বোয়েসেলের মাধ্যেমে গিয়েছেন এবং সেখানে গিয়ে লাখ লাখ টাকা রেমিট্যান্স
পাঠাচ্ছেন বাংলাদেশে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়
দক্ষিণ কোরিয়া ১ লাখ ১০ হাজার ভিসার মাধ্যমে ৭৫ হাজার উৎপাদন শিল্পে , ১৪ হাজার কৃষি ও পশুসম্পদ
শিল্পে , ৭ হাজার মৎস্য শিল্পে , ৩ হাজার নির্মাণ কাজে ১ হাজার সেবা মূলক কাজে এবং বাকি ১ হাজার
চাহিদার কারণে নেওয়া হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রমোমন্ত্রী এ বিষয় বলেছেন , সরকার এ বছর ১ লাখ ১০
হাজার ই- ৯ ভিসা ইস্যু করবে। ই-৯ ভিসা ছোট এবং মাঝারি প্রতিষ্ঠান গুলোর জন্য নিয়োগ দেওয়া হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সভাপতিত্বে জরুরি বৈঠকে দেশের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য
শ্রম , অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রী নীতিমালা গুলো প্রস্তাব দেন বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। তিনি আরও বলেন ,
ছোট ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান গুলো শ্রমিক সস্কটে আছেন। গত বছরে ৭০ হাজার বিদেশি শ্রমিক কোরিয়া প্রবেশ
করেছেন। আর এ বছর তা বেড়ে ১ লাখ ১০ হাজার করা হবে। এতে ওয়ার্ক পারমিট চালু করার পর এক বছরে
সর্বোচ্চ শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হবে । প্রতিবেদনে দক্ষিণ কোরিয়া মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়
কোভিডের কারণে কিছু দিন সব বন্ধ ছিল । এখন আবার চালু হয়েছে, চলুন তাহলে আমরা জেনে নেই
কিভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করবো।
দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা আবেদন
দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা আবেদন: সব কার্যক্রম শেষ করে আপনার সকল পরীক্ষা শেষ হলে আপনাকে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে দূতাবাসে গিয়ে বয়েসেলের মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
আপনার কাগজ পত্র ঠিক থাকলে তারা আপনাকে ৬ সপ্তাহের মধ্যেই আপনার ভিসা কনফার্ম করবে। নিচে
দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য প্রচলিত মূল ভিসা গুলোর ক্যাটাগরি তালিকা দেওয়া হলো:
- ট্যুরিস্ট ভিসা দক্ষিণ কোরিয়া ভ্রমণের জন্য ট্যুরিস্ট ভিসা প্রদান করা হয়।
- ব্যবসায়িক ভিসা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় ভ্রমণের জন্য ব্যবসায়িক ভিসা প্রদান করা হয়। এই ভিসা দ্বারা পেশাদার বা ব্যবসায়িক কাজে অংশগ্রহণ করার অনুমতি পাওয়া যায়।
- স্টুডেন্ট ভিসা দক্ষিণ কোরিয়ায় পড়াশোনার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা প্রদান করা হয়। এই ভিসায় সেখানে গিয়ে পড়া-শোনা করা হয়।
- ওয়ার্কিং ভিসা দক্ষিণ কোরিয়ায় কাজ করার জন্য ওয়ার্কিং ভিসা প্রদান করা হয়। এই ভিসা দ্বারা বিশেষজ্ঞ পেশাদার কাজে অংশগ্রহণ করা অনুমতি পাওয়া যায়।
ভিসা আবেদনের জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে:
- প্রথমে, দক্ষিণ কোরিয়া ভাষায় অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যাওয়া যেতে হবে এবং আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করতে হবে।
- আবেদন ফর্মটি পূরণ করুন এবং সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করুন, যেমন পাসপোর্ট, ছবি, বিদ্যালয় ভর্তির জন্য প্রস্তুতি, প্রয়োজনে ব্যবসায়িক কাজের জন্য অনুমতি পত্র ইত্যাদি।
- ভিসা ফি পরিশোধ করুন।
- আবেদন সম্পূর্ণ হলে নিকটস্থ দক্ষিণ কোরিয়া কোন দূতাবাসে ভিসা আবেদন জমা দিন
শেষ কথা
পরিশেষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি আজকের দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লেখা
টি । এটি সুন্দর একটি তথ্য মূলক লেখা । আপনারা এই লেখা থেকে উপকৃত হইবেন আশা করি । আমরা
বিদেশের ব্যাপারে সব সময় সব ধরণের তথ্য দিয়ে থাকি । তাই আপনারা যারা বিদেশের ব্যাপারে জানতে
ইচ্ছুক তারা আমার এই সইট থেকে জনতে পারবেন আশা করি। এছাড়াও আপনাদের যদি আরও কোনো
বিষয় জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা তার উত্তর দিয়ে আপনাকে জানিয়ে
দিবো। নিম্নে আপনাদের সাথে কিছু লিংক শেয়ার করা হল । প্রয়োজন মনে করলে পড়তে পারেন। আশা
করি কাজে লাগবে। ধন্যবাদ সবাইকে আজকে আমার এই দক্ষিণ কোরিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লেখা টি
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য । ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আরো একই বিষয়ে পড়তেঃ
সরকারিভাবে জাপান যাওয়ার উপায়
জাপান স্টুডেন্ট ভিসা ফ্রম বাংলাদেশ
জাপানের এক টাকা বাংলাদেশের কত টাকা ?