সবাইকে স্বাগতম জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি সুন্দর একটি লেখা আমেরিকা স্টুডেন্ট ও কাজের ভিসায় ।
আপনারা জানেন পৃথিবীর শক্তিধর একটি দেশ আমেরিকা, যে দেশটি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ, এবং যে
দেশে যাওয়ার জন্য অনেকেই ইচ্ছা পোষণ করে থাকেন। সেই খানে কিভাবে কাজের ভিসা নিয়ে সহজে
যেতে পারবেন তা বিস্তারিত আলোচনা করবো এখানে। এছাড়াও এই দেশটিতে ছাত্র ভিসায় যদি আপনি
আসতে চান তবে কত টাকা খরচ হতে পারে তাও জানতে পারবেন বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত
সময় লাগে? এই সকল বিষয়গুলো নিয়ে আজকে আমরা এই লেখার মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আশা করি আপনি যদি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমেরিকা স্টুডেন্ট ও কাজের ভিসায় লেখায়
আমাদের সাথে থাকেন তাহলে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা পাবেন যা আপনার পরবর্তীতে
আমেরিকা যাওয়ার জন্য অনেক উপকারে আসবে।
আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩
আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩- আপনারা জেনে খুশি হবেন যে ২০২৩ সালে আমেরিকান সরকার
ঘোষণা দিয়েছেন সেই দেশটিতে তাদের চাহিদা অনুযায়ী বহুসংখ্যক বিদেশে শ্রমিক নিয়োগ করবে।আর এই
লোক গুলো নিবে তারা বিভিন্ন কাজের জন্য। আর তাই,যে সকল ভাই ও বোনেরা বিশেষ করে
বাংলাদেশী ও ভারতীয় মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত আছন তাদের জন্য এই সুযোগ অনেক বেশি কাজে দিবে। কারণ
আপনারা জানেন যাদের বিদেশে কাজের দক্ষতা আছে তাদের বেশি সুযোগ দিয়ে থাকেন। তাই যারা আমার
এই লেখাটি পড়ছেন তাদের জন্য হতে পারে এই লেখাটি আমেরিকা যাওয়ার মধ্যম। আল্লাহর রহমত নিয়ে
আপনি নিজে নিজেই চেষ্টা করলে খুব সহজেই যেতে পারবেন এই দেশটিতে। যেহেতু বর্তমানে অনেক
গুলো কম্পানি তাদের কাজের জন্য কোনধরনের IELTS স্কোর ছাড়াই লোক নিয়োগ করছে তাই এই
সুযোগটি অনেকেই নিতে পারেন। আর এর জন্য আপনাদের যা করতে হবে । তাহলো আপনাদের
ভালোমানের একটি সিভি তৈরী করতে হবে। আর একটি কভার লেটার তৈরী করতে হবে। ( যদি সিভি ও
কভার লেটার লেখার বিষয়ে প্রয়োজন হয় তবে কমেন্স করুন আমি সহযোগীতা করব) এবার আপনি ঘরে
বসেই আপনার হাতে থাকো মোবাই অথবা ঘরে থাকা কম্পিউটার দিয়ে সরাসারি আবেদন করতে পারবেন।
আর আপনাদের সুবিধার জন্য সেই লিংকটি লেখার নিচে শেয়ার করা হলো যাতে করে আপনি সেখানে গিয়ে
নিজের আবেদনটি জমা দিতে পারেন।
স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে?
আমি আজকে এই লেখার মাধ্যমে ছাত্র/ছাত্রী কিভাবে ছাত্র ভিসায় খুব সহজ উপায়ে আমেরিকা যেতে
পারে সে বিষয়ে আজকে আমি এখানে বিস্তারিত আলোচনা করবো। কারণ অনেকেই মনে করে থাকে
উন্নত এই দেশটিতে পড়া লেখা করার জন্য আসলে অনেক বেশি টাকা খরচ হয় যার ফলে অনেকেই
আসতে চায়না। কিন্তু যতটা শুনা যায় তত টাকা খরচ হয় না। আজকের পর থেকে আপনি জানতে
পারবেন। মোট কত টাকা আপনার লাগতে পারে। আশাকরি আজকের পর থেকে আর আপনার এই ধরনের
প্রশ্ন থাকবেনা। আর এই খরচ গুলোকে আমি দুটো ভাগে ভাগ করে আপনাদের সাথে উপস্থাপন করবো
যাতে করে আপনাদের বুঝার সুবিধা হয়।
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার আগে খরচ
যখন আপনি মনে মনে ইচ্ছা প্রকাশ করবেন যে আপনি এই দেশটিতে লেখা পড়া করার জন্য যাবেন তখন
থেকেই আপনাকে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে হবে। এতে করে আপনাকে অধিক টাকা যেমন খরচ
করতে হবে না। তেমনি অন্যদিকে আপনার সময় অনেক বেচেঁ যাবে। কারণ আপনাকে বেশ কিছু বিষয়
বিবেচনা করেই এখানে যাওয়ার জন্য সবকিছু জোগাড় করতে হবে। যাক এবার ভিসা পাওয়ার আগে যে খরচ
গুলো আপনাকে করতে হবে তাহলো-
- আপনাকে IELTS পরিক্ষা দিতে লাগবে ২০০০০ টাকা।
- কলেজের আবেদন ফর্ম ক্রয় করতে হবে যদি দুটো কলেজের কিনেন তবে ২৮০০০ টাকা থেকে ৩০০০০ টাকার মত লাগবে।( এখানে বলে রাখা ভালো আপনি যদি একাধিক কলেজে আবেদন করেন তবে অফার লেটার পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- এম্বাসি এ্যাপয়েন্টমেন্ট খরচ -১৪০০০।
- সেভিস ফি-২৫০ ডলার।
- আপনার যাবতীয় কাগজ পত্র ঠিক করতে লাগবে- ৫০০০ টাকার মত।
আমেরিকার ভিসা পাওয়ার পরে একজন ছাত্রের যে পরিমানে খরচ হয়
আপনি যদি এই দেশটিতে যাওয়ার জন্য ভিসা পেয়ে যান তবে আপনাকে চূড়ান্ত ভাবে সেখানে যাওয়ার জন্য
বেশ কিছু টাকা বিভিন্ন পারপাসে খরচ করতে হয়। আর তাই আজকে আমি এখানে প্রতিটি খাত অনুযায়ী
ব্যখা করবো যাতে করে আনাদের বুঝতে সুবিধা হয়। আর তাহলো নিম্নরূপ-
- মেডেক্যাল ফি বাবদ খরচ হবে-৭০০০ থেকে ১১০০০ হাজার বাংলা টাকা।
- বিমানের টিকেট ক্রয় করতে লাগেব-৮০০০০ টাকা থেকে ১০০০০০ টাকা লাগবে।
- ইন্সুরেন্স ফি জমা দিতে হবে-৩৫০০০ হাজার থেকে ৪৫০০০ বিডিটি।
- টিউশন ফি জমা দিতে হবে( যদি লাগে)- ১০০০০ থেকে ২০০০০ ডলার এটা মূলত নির্ভর করবে আপনার কলেজের উপরে।
- থাকা খাওয়া বাবদ খরচ হবে ( প্রয়োজন হলে)- ২০০ থেকে ৩০০ USD এর মত।
তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন এই খরচ গুলো কম বা বেশি হতে পারে। কারণ আপনারা জানেন এই
খরচ গুলো বেশির ভাগ করতে হবে আপনাকে ডলারের মাধ্যমে । আর বর্তমানে ডলারের দাম খুব বেশি
হয়ে যাচ্ছে, যার ফলে এই খরচ কিছুটা কম বেশি হতে পারে। তবে আপনাদের সুবিধার জন্য এক তথ্য
জানিয়ে রাখি আর তাহলো নিচে কমেন্স বক্সে যেকোন সময় কমেন্স করে আমাদের কাছ থেকে জেনে
নিতে পারবেন বর্তমানে অর্থাৎ আপনি যখন আমার এই লেখাটি পড়ছেন। তাই লেখুন যেকোন সময়
আমাদের কাছ থেকে।
আমেরিকায় স্টুডেন্ট ভিসার ধরণ
যদি আপনি এই দেশটিতে লেখা পড়ার করার জন্য যেতে চান তবে তিন ধরনের ভিসা সার্বিস চালু রয়েছে।
আপনি সাধারণত এই ক্যাটাগরিতে সেখানে পড়ার জন্য যেতে পারবেন। আর সে গুলো হলো-
- ব্যাচেলর প্রোগ্রাম।
- মাস্টার্স ও।
- পিএইচডি প্রোগ্রাম।
আমেরেকা স্টুডেন্ট এফ-১ ভিসা প্রসেসিং সিস্টেম-
আমরা অনেকেই জানিনা আমেরিকা লেখা পড়া করার জন্য যে ভিসায় যাওয়া হয় সেই ভিসা পাওয়ার জন্য
কি কি প্রসেসিং এর মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হয় । আর এই সকল তথ্য না জানার কারনে অনেক সময়
দেখা যায় এক শ্রেনীর দালাল চক্র বা অসাধু এজেন্সি আমাদের সাথে প্রতারণা করার সুযোগ পেয়ে যায় ।
কিন্তু আমরা যদি এই বিষয় গুলো জানি তাহলে এই ধরনের প্রতারণা করার আর সুযোগ পাবেনা। কারণ
প্রতিটা স্টেপ আমাদের জানা থাকবে। নিচে ভিসা প্রসেসিং ধাপ গুলো বর্ণনা করা হলো-
- SEVIS fee and I-20 form collection আপনাকে প্রথমে ফি জমাদিয়ে এই ফর্মটি সংগ্রহ করতে হবে।
- এর পর আপনাকে ভিসার জন্য ফি জমা দিয়ে ফিসা আবেদন ফর্ম নিতে হবে।
- এর পর আপনাকে ভিসা পাওয়ার জন্য ইন্টারভিউ দিতে হবে।
আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া
যদি কারো ইন্টার নেট সম্পর্কে ধারণা থাকে, তবে খুব সহজেই এই ভিসার জন্য আবেদ করতে পারবে। আর
এর জন্য আপনাকে কোন প্রকার লোকের সাহায্যর প্রয়োজন হবে না। আপনার বাড়িতে যদি কম্পিউটার ও
ইন্টারনেট সংযোগ থাকে খুব খুব সহজেই আমার দেয়া নিচের লিংক অনুসরণ করে আপনি
আপনার আবেদন জমা দিবেন। তবে আপনি যে তথ্য গুলো দিবেন তা যেন জেনুইন হয় । কোন ভাবেই
কোন ধরনের ভুল তথ্য প্রদান কর যাবেনা । কারণ এই তথ্য গুলোর উপরেই আপনাকে যাচাই বাছাই সহ
আপনার ইন্টারভিউ নেয়া হবে। এবাল নিচের লিংকটি অনুসরণ করে এখানে দেয়া নির্দেশ অনুযায়ী আপনার
ভিসা আবেদন ফরটি পূরণ করুন।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত সময় লাগে?
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত সময় লাগে?- সাধারণত অনেকেই জানতে চান বাংলাদেশ
থেকে আমেরিকা যেতে কত সময় লাগে? তাদের উদ্দেশ্য বলতে চাই আপনি যদি ঢাকা বা চট্রগ্রাম থেকে
আমেরিকা যেতে চান তবে বেশ কয়েকটি মাধ্যম আছে সেখানে যাওয়ার তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো
সমুদ্র পথে আর আকাশ পথে উল্লেখ যোগ্য যেহেতু এই দু-পথে বেশি আসা যাওয়া হয় তাই আমি অন্য
পথের কথা এখানে উল্লেখ করবোনা। এবার সমুদ্র পথের কথা বলি এই পথে সাধারণত পণ্যে পরিবহন করা
হয় তাই বেশির ভাগ মানুষ বিমান পথ ব্যবহার করে থাকে। তােই দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের বিমান সার্বিস
চালু রয়েছে বাংলাদেশ ও আমেরিকার মধ্যে । এবার আপনি যদি ভালো মানের বিমানে অর্থাৎ ননস্টপ
সার্বিসে যেতে চান তবে এক রকমের সময় লাগবে। আর বিরতি নিয়ে যে বিমান গুলো যায় সেটাতে যেতে
চান তাহলো আরেক রকম সময় লাগবে। তবে আরো বেশ কিছু বিষয় নির্ভর করে এই সময়ের জন্য তার
মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো-
- আবহাওয়া।
- বিমানের চালক।
- বিমানের কন্ডিশন।
- যাত্রার ধরন।
- বিমানের গতি। ইত্যাদি।
তবে সব বিষয় গুলো যদি ঠিক থাকে তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখায় যায় যে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা
যেতে ১৬ ঘন্ট থেকে শুরু করে ৪২ ঘন্টা প্রায় সময় লাগে। তবে এই সময় কিছুটা কম বেশি হতে পারে।
মূলত আমরা এই বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি কয়েটি বিমানর ফ্লােইট সিডিউল দেখে। আপনাদের বুঝার
সুবিধার জন্য নিচে কয়েকটি বিমানের সময় সূচির ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করা হলো।
আমেরিকা স্টুডেন্ট ও কাজের ভিসায় লেখার শেষ বক্তব্য
পরিশেষে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করতে চাচ্ছি আমেরিকা স্টুডেন্ট ও কাজের ভিসায়
লেখাটি। আশা করি উপরোক্ত লেখাটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে, এবং এর তথ্যগুলো
আপনাদেরকে আরও সহায়তা করবে এই দেশটিতে যাওয়ার বিষয়ে। যদি এই সুন্দর লেখাটি আপনার ভালো
লাগে তবে সবার সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র বিষয়ে আমাদের অনেকগুলো
গুরুত্বপূর্ণ লেখা আছে, আপনি ইচ্ছে করলে লেখাগুলো পড়তে পারেন। আশা করি লেখা গুলো আপনাদের
কাজে লাগবে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য্য সহকারে আমেরিকা স্টুডেন্ট ও কাজের ভিসায় লিখাটি
পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখাঃ
আমেরিকা ভিজিট ভিসা প্রেসিসিং ধাপ সমহ
আমেরিকা ভিজিট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
আমেরিকা ভিজিট ভিসা পেতে কি কি কাগজ পত্র বা ডকুমেন্ট লাগে
আমেরিকা ভিজিট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা