সুইজারল্যান্ড ভাষা এবং প্রশাসন

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আজকে আমরা কথা বলবো সুইজারল্যান্ড ভাষা এবং প্রশাসন

 বিষয় টি নিয়ে।একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি লেখা। আপনারা যারা সুইজারল্যান্ড যেতে চান তাদের অবশ্যই সুজারল্যান্ড ভাষা সম্পর্কে

জানা প্রয়োজন তাইযারা জানতে চান তারা অবশ্যই পড়ুন। আমার এই লেখা থাকে আপনারা আরও জানতে পারবেন সুজারল্যান্ড এর

প্রশাসন ওসুজারল্যান্ড নাগরিকের মাসিক আয়।এই সকল বিষয় নিম্নে আলোচনা করা হল। আপনারা যদি ভাষা সম্পর্কে জানতে

ইচ্ছুক হনতাহলে অবশ্যই আজকে আমার এই সুইজারল্যান্ড ভাষা এবং প্রশাসন লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ

সহকারে পড়ুন। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

সুইজারল্যান্ড ভাষা

সুইজারল্যান্ড ভাষা

সুইজারল্যান্ড ভাষা:সুইজারল্যান্ড এর সরকারি নাম সুইস কনফেডারেশন। সুইজারল্যান্ড পশ্চিম ইউরোপ এর মধ্যভাগে অবস্থিত।

এর উত্তরে জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া  ও লিশটেনস্টাইন, দক্ষিণ এবং পশ্চিমে ফ্রান্স অবস্থিত।সুইজারল্যান্ডের একটি বড় অংশ জুড়ে আপ্লস

পর্বতমালা অবস্থিত।সুইজারল্যান্ড মধ্যে ইউরোপে অবস্থিত হলেও দেশ টি ইউরোপ ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত না। সুইজারল্যান্ড এর

প্রশাসনিক রাজধানী হল বার্ন।সুইজারল্যান্ড সরকারি ভাবে মোট চার টি ভাষা রয়েছে যেমন- জার্মান, ইতালি, ফরাসি ও রোমান্স ।

রোমান হলো সুইজারল্যান্ড এর সবচেয়ে বড় ক্যান্টন গ্রাউবান্ডে এর আঞ্চলিক ভাষা। সবচেয়ে জনবহুল ক্যান্টনমেন্ট জুরিখের

প্রচলিত ভাষা জার্মান এবং জেনেভার কথ্য ভাষা হল ফরাসি। সাম্প্রতিক এক জরিপে জানা যায় সুইজারল্যান্ডের ৬৪ শতাংশ লোক

জার্মান ভাষায় কথা বলে। তবে ফ্রেন্ড ইতালিয়ান এবং রোমান্স ভাষাকে অতিক্রম করে সুইজারল্যান্ডে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার দিন দিন

বেড়েই চলেছে।

সুজারল্যান্ড এর প্রশাসন

সুইজারল্যান্ড এর প্রশাসন: সুইজারল্যান্ড প্রশাসনিক বিভাগ গুলো কে বলা হয় ক্যান্টন। এই দেশে মোট ২৬ টি ক্যান্টন রয়েছে।

যার সবগুলোই অতীতের স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল।এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বাধীন রাষ্ট্রগুলো একত্রিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় সুইজারল্যান্ড গড়ে

তুলেছে। ২৬ ছোট ছোট দেশ মিলে গঠিত হয়েছে সুইজারল্যান্ড।সুইস সরকারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল প্রতিবছর জানুয়ারির ১ তারিখে

দেশটির রাষ্ট্রপতি পরিবর্তন করে থাকেন।ছয় বছরের জন্য গঠিত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা পালাক্রমে এক বছর করে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব

পালন করেন।হাবসবার্গ রাজবংশের শাসন থেকে বাঁচতে ১২৯১ সালে এ অঞ্চলের ২৬ টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্র বা ক্যান্টন একত্রিত হয়ে গড়ে

তোলে কনডেরেশিয়ো হেলভেটিকা।সুইস কনফেডারেশন এর নামে পরিচিত ২৬ টি মধ্যে ৬ টি হল হাফক্যান্টন। কিন্তু সেগুলো ফুল

ক্যান্টন এর মতোই কাজ করে। এসব রাজ্যের অধীনে প্রায় ৩০০০ পৌরশহর আছে।সুইজারল্যান্ড এর বর্তমান কার্যকর সংবিধান গ্রহণ

করা হয়েছে ১৮৪৮ সালে ।এখানকার সব নাগরিকরা রাষ্ট্রীয় সকল কাজে সরাসরি অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়। সে কারণে দেশটির

সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত ধীর গতিতে চলে।মৈত্রীতন্ত্র এবং গণতন্ত্রের এমন অনুপম মিল আর পৃথিবীর অন্য কোন দেশে দেখা

যায় না ।এই বৈশিষ্ট্যকে দেশটির সফলতার অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হয়।সুইজারল্যান্ড খুব শান্তিপ্রিয় একটি দেশ।বিভন্ন দ্বন্দ্ব-

সংঘাতে সুইজারল্যান্ড বরাবর নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছেন।যদিও বিশ্বযুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে মিত্রশক্তি এবং অক্ষশক্তি কোন

পক্ষই সুইজারল্যান্ডের সর্বভৌমত্বে প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেনি। বিশ্বের সর্বোচ্চ জীবনযাত্রার মানের বিচারে সুইজারল্যান্ড সব

সময়ই শীর্ষ তিন এর মধ্যে থাকে।

সুইজারল্যান্ড নাগরিকের মাসিক আয়

সুইজারল্যান্ডে নাগরিকের মাসিক আয়: সুইজারল্যান্ডের মানুষের গড় মাসিক বেতন প্রায় ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা। সেই সাথে

এখানে বেকারত্বের হার খুবই কম। উন্নত জীবন আর অধিক বেতনের আশায় বহু বিদেশি নাগরিক এদেশে বসবাস করেন।

সুজারল্যান্ড এর বাসিন্দাদের চার ভাগের এক ভাগ মানুষই হলো বহিরাগত। এসব প্রবাসীদের মধ্যে জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি ও পর্তুগালের

লোক সবচেয়ে বেশি।সুইজারল্যান্ডের বেশি পরিশ্রমী পেশার মধ্যে শিক্ষাগত পেশা একটি। এ দেশের শিক্ষকরা প্রতি বছর প্রায় ৮৫

লাখ টাকা বেতন পায় এবং বছরে প্রায় ১২ সপ্তাহ ছুটি কাটান। সুজারল্যান্ড এর নাগরিকদের শতভাগ শিক্ষিত উচ্চশিক্ষায় এ দেশ

অনেক এগিয়ে। জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেশি হলেও এখানকার নাগরিকরা নামেমাত্র মূল্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী অর্জন করতে

পারেন। রসিকতা করে সুইজারল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বলা হয় নোবেল প্রাইজ এর মেশিন। কারণ সুইস বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১১৩ জন নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন। যাদের অধিকাংশই হলেন বিজ্ঞানী। উন্নত জীবন আর অসাধারণ

প্রাকৃতিক পরিবেশে বসবাস করেন এই দেশের নাগরিকরা।

সুইজারল্যান্ড ভাষা এর শেষ উক্তি

সবশেষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি আজকের এই সুজারল্যান্ড ভাষা এবং প্রশাসন লেখা টি।এটি সুন্দর একটি

তথ্যমূলক লেখা। আশা করি আপনাদের অনেকের উপকারে আসবে। এছাড়াও আপনাদের যদি আরো কোন বিষয়ে জানার থাকে

তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমরা তার উত্তর দিয়ে সেই বিষয় টি আপনাকে জানিয়ে দেবো। আমরা সব সময় বিদেশের

ব্যাপারে সব ধরনের তথ্য দিয়ে থাকি। তাই যারা বিদেশের ব্যাপারে তথ্য জানতে ইচ্ছুক তারা অবশ্যই আমার এই সাইট থেকে জানতে

পারবেন। নিম্নে আপনাদের সাথে আরও কিছু লেখার লিংক শেয়ার করা হল ।প্রয়োজন মনে করলে পড়তে পারেন। আশা করি কাজে

লাগবে। ধন্যবাদ সবাইকে আজকে আমার এই সুইজারল্যান্ড ভাষা এবং প্রশাসন লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনযোগ

সহকারে পড়ার জন্য। ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

একই জাতীয় আরো লেখা :

About 24 Favor

Check Also

কাতারে কর্মী নিয়োগ

কাতার চাকরি এর জন্য কর্মী নিয়োগ

কাতার  চাকরি এর জন্য কর্মী নিয়োগ : আজকে আরো একটি সু-খবর নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *