সুইজারল্যান্ড কোন মহাদেশে অবস্থিত

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আমরা কথা বলবো সুইজারল্যান্ড কোন মহাদেশ

অবস্থিত  বিষয় টি নিয়ে।এটি আপনাদের জন্য একটি জ্ঞান মূলক লেখা। তাই আপনারা যারা জানতে ইচ্ছুক তারা অবশ্যই আমার এই

লেখা টি পড়ুন। আপনারা এই লেখা থেকে আরও জানতে পারবেন সুইজারল্যান্ড কিসের জন্য বিখ্যাত ও সুইজারল্যান্ডের অর্থনীতি। এ

সকল বিষয় নিম্নে আলোচনা করা হল। আপনারা যারা সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তারা অবশ্যই আজকে আমার এই

সুইজারল্যান্ড কোন মহাদেশ অবস্থিত লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনযোগ সহকারে পড়ুন। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা

হলো।

সুইজারল্যান্ড কোন মহাদেশে অবস্থিত

সুইজারল্যান্ড কোন মহাদেশে অবস্থিত

সুইজারল্যান্ড কোন মহাদেশ অবস্থিত : সুইস বা সুইজারল্যান্ড ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত একটি স্থলবন্দি দেশ। সুইজারল্যান্ডের

দক্ষিনে ইতালি,পশ্চিমে ফ্রান্স, উত্তরে জার্মানি এবং পূর্বে অস্ট্রিয়া ও লিচটেনস্টেইন ।আপ্লস পর্বতমালা ও প্রশস্ত হ্রদ সুইজারল্যান্ডকে

অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রুপে-রূপান্তরিত করেছে। বিশ্বের পর্যটকদের জন্য এটি অন্যতম আকর্ষণীয় একটি দেশ।সুইজারল্যান্ড

অর্থ সুইস জাতিগোষ্ঠীর দেশ।৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম সুইস নামে পরিচিতি পায় ।সুইস জাতিগোষ্ঠীর লোকজন যে ভূমিতে বসবাস করে

সেটিই হল সুইজারল্যান্ড।সুইজারল্যান্ডের আয়তন ৪১,২৮৫ বর্গকিলোমিটার বা ১৫,৯৪০ বর্গমাইল। তারমধ্যে জলীয় ভাগের পরিমাণ

৪.২%।২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের হিসাব মতে জনসংখ্যা ৮২,১১,৭০০ এবং প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যা ১৯৮ জন।আয়তন বিবেচনায়

সুইজারল্যান্ড পৃথিবীর ১৩৫-তম বৃহত্তম দেশ কিন্তু জনসংখ্যার বিবেচনায় ৯৬-তম।জনসংখ্যার ঘনত্ব বিবেচনায় এটি পৃথিবীর ৬৫-

তম জনবহুল দেশ। সরকারিভাবে সুইজারল্যান্ডের অধিবাসীরা সুইস নামে পরিচিত। জার্মান,রোমান্স ও ফ্রেঞ্চ এখানকার সরকারি

ভাষা। রাজধানীর নাম বার্ন এবং বৃহত্তম শহর হলো জুরিখ। এখানে রয়েছে ১৫০০ এর বেশি হ্রদ।এক হ্রদ হতে ১০ মাইল গেলে নতুন

আরেক হ্রদের দেখা মেলে। তাই সুজারল্যান্ড এর ৬০% জলবিদ্যুৎ। রেলপথের দৈর্ঘ্য হল ৩,১০০ মাইল।রেলপথের দৈর্ঘ্য বিবেচনায়

জাপানের পরেই সুইজারল্যান্ডের স্থান। শুধু গাড়ি নয় বাই সাইকেল চালাতে হলেও ইন্সুরেন্স স্টিকার লাগাতে হয়।প্রতি ১০০০

অধিবাসীর জন্য রয়েছে ৫.৮ টি হাসপাতালের বেড। গুন গতমান বিবেচনায় সুইজারল্যান্ডের ঘড়ি বিশ্ব খ্যাত। ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে

সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে রেডক্রসের সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়।সুইজারল্যান্ডের মোট জনগনের ৬% এর বয়স ৬৫ বছরের

বেশি।পুরুষের গড় বিয়ের বয়স ৩১.৮ বছর এবং মেয়েদের ২৯.৫ বছর।বিবাহ -বিচ্ছেদের হার ৪৩%।কর্মে নিয়োজিতদের মধ্যে ৮৫%

পুরুষ ও ৪১% মহিলা।নারী এবং পুরুষের মধ্যে বেতন  বৈষম্য ১৭%।বিয়ের পর অনেক মহিলা শিশুওদর যত্ন করার জন্য চাকরি ছেড়ে

দেয়।

সুইজারল্যান্ড কিসের জন্য বিখ্যাত

সুইজারল্যান্ড কিসের জন্য বিখ্যাত: সুইজারল্যান্ড ইউরোপ মহাদেশ অবস্থিত। সুইজারল্যান্ড ইউরোপ মহাদেশের এক বিখ্যাত

দেশ, পাহাড় নদী আর নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সুইজারল্যান্ড এর মূল আকর্ষণ। জীবনযাত্রার মানের বিচারে শীর্ষ দেশ গুলোর

মধ্যে সুইজারল্যান্ড অন্যতম।সুইজারল্যান্ডের সরকারি নাম সুইস কনফেডারেশন। সুইজারল্যান্ড পশ্চিম ইউরোপের মধ্যভাগে

অবস্থিত।প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও সুইজারল্যান্ডের ঘড়ি ,ট্রেন এবং চকলেট এবং পনিরের জন্য সুইজারল্যান্ড বিশ্ব বিখ্যাত। চকলেট

সুইজারল্যান্ডের প্রথম রপ্তানি পণ্য। ২০১২ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ১২ টি চকলেট কোম্পানি ১,৭২,৩৭৬ টন চকলেট উৎপাদন করেছিল।

ভক্সওয়াগন ও অডি সুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত গাড়ি- প্রস্তুত কোম্পানি।দেশটিতে কোন নিয়মিত সেনাবাহিনী নেই। রাজনৈতিক অবস্থা

অত্যন্ত সুদৃঢ় ।প্রতিবছর ১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি পরিবর্তিত হয়। ছয় বছরের জন্য গঠিত মন্ত্রী পরিষদের একজন পালাক্রমে এক বছরের

জন্য রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন ।সুইজারল্যান্ড এর মোট ২৬ টি ক্যান্টন রয়েছে। ঐতিহাসিক কনফেডারেশন এর সময় এরা

প্রতিটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল। যাদের পৃথক সীমানা ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় ছিল। বর্তমানে এর সবগুলো সুইজারল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত।

সুইজারল্যান্ড ৭০% পর্বতে আবৃত্ত। এখানে ৩০০০ মিটার উঁচু ২০৮ টি পর্বত রয়েছে। তার মধ্যে ২৪ টির উচ্চতা ৪০০০ মিটার এর

অধিক।সুইস- ইতালিয়ান সীমান্তে অবস্থিত ৪৬৩৪ মিটার উঁচু মাউন্ট রোসা দেশের সর্বোচ্চ পর্বত।

সুইজারল্যান্ডের অর্থনীতি

সুইজারল্যান্ডের অর্থনীতি: সুইজারল্যান্ডের অর্থনীতি পৃথিবীর অন্যতম স্থিতিশীল অর্থনৈতিক দীর্ঘমেয়াদি মুদ্রা নিরাপত্তা ও

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হচ্ছে দেশটির অর্থনৈতিক নীতির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য।যেটা সুজারল্যান্ড কে বৈদেশিক বিনিয়োগের

ক্ষেত্রে একটি আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিচিত করে তুলেছে। শিল্প ও বানিজ্য সুইজারল্যান্ড অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি বিশ্বের

সর্বোচ্চ মাথাপিছু আয়ের দেশগুলোর মধ্যে সুইজারল্যান্ড অন্যতম। সুইজারল্যান্ড বেকারত্বের হার অনেক কম। এছাড়া দেশটির

সেবাখাত ক্রমে অর্থনীতির একটি বড় অংশ হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে।সুইস ব্যাংক গুলো কালো টাকার নিরাপত্তা সংরক্ষণের জন্য

বিখ্যাত।

সুইজারল্যান্ড কোন মহাদেশে অবস্থিত এর শেষ কথা

সবশেষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি আজকের সুইজারল্যান্ড কোন মহাদেশে অবস্থিত  লেখা টি ।এটি সুন্দর একটি

তথ্যমূলক লেখা। আশা করি উপরোক্ত তথ্য গুলো আপনাদের উপকারের আসবে ।এছাড়াও ‍যদি আপনাদের যদি আরো কোন বিষয়ে

জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমরা তার উত্তর দিয়ে সেই বিষয় টি আপনাকে জানিয়ে দেবো। আমরা

বিদেশের ব্যাপারে সব সময় সব ধরণের তথ্য দিয়ে থাকি। তাই যারা বিদেশের ব্যাপারে তথ্য জানতে আগ্রহী তারা আমার এই সাইট

থেকে সব ধরনের তথ্য পেয়ে যাবেন। নিম্নে আরও কিছু লেখা লিংক আপনাদের সাথে শেয়ার করা হল। প্রয়োজন মনে করলে পড়তে

পারেন। আশা করি কাজে লাগবে। ধন্যবাদ সবাইকে আজকে আমার এই সুইজারল্যান্ড কোন মহাদেশ অবস্থিত লেখা টি প্রথম

থেকে শেষ পর্যন্ত মনযোগ সহকারে পড়ার জন্য। ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

একই জাতীয় আরো লেখা :

About 24 Favor

Check Also

কাতারে কর্মী নিয়োগ

কাতার চাকরি এর জন্য কর্মী নিয়োগ

কাতার  চাকরি এর জন্য কর্মী নিয়োগ : আজকে আরো একটি সু-খবর নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *