পাইলস রোগীর এর খাবার তালিকা – কোষ্ঠকাঠিন্য বা পাইলস যাদের হয় তারাই একমাত্র বলতে পারে এর কত যন্ত্রনা?
আর যাদের হয়েছে তারা প্রতিনিয়ত ভোগ করতেছে এর যন্ত্রণা। তবে যদি খাবার দাবারে আমরা একটু সচেতন হই তবে এই
রোগ হওয়া সত্বেও এর যন্ত্রণা থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব। বিশেষ করে আমাদের অনেক মা বোন আছে যারা এই রোগ
ভোগ করতেছেন, লজ্জার খাতিরে তারা বলতে চায় না। তাই আসুন আজকে এই রোগ হলে কি কি খেতে হবে? সে বিষয়টি
নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। যাতে করে যাদের পাইলস হয়েছে তারা যেন ভালো থাকতে পারে। আর সহজেই যেন
তাদের রোগটি নিরাময় হয়, তারা যেন কষ্ট থেকে মুক্তি পায় । আর এই সমস্ত বিষয় জানতে হলে পাইলস রোগীর এর
খাবার তালিকা লেখাটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত পড়তে হবে । তাহলে জেনে নিতে পারবেন।
পাইলস রোগীর এর খাবার তালিকা
এমন অনেক খাবার আছে, যে খাবারগুলো খেলে পাইলসের রোগ যাদের আছে তাদের পায়খানা করতে সহজ হয়।
পায়খানার রাস্তায় সহজে ব্যথা হয় না। মল খুব সহজেই ত্যাগ করতে পারে, আর তাই এই রোগ হলে এ সকল খাবার গ্রহণ
করা আমাদের জন্য আবশ্যক। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো আমরা পাইলস হলে খেতে হবে? নিচে
বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
গোটা শস্য জাতীয় খাবার গ্রহণ এর মাধ্যমে পাইলস এর ব্যাথা নিরাময়
বিশেষ করে যাদের পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন বা পায়খানা করতে অনেক কষ্ট্য হয় সহজে পায়খানা হতে চায়না তাদের
জন্য এই জাতীয় খাবার গ্রহণ খুবই প্রয়োজন। কারণ এই জাতীয় খাবার গ্রহণ করলে পায়খানা বা মল ত্যাগ করতে সহজ
হয়। এই সকল খাবারের মধ্যে রয়েছে বাদামী চাল, ওটমিল,চালের পাস্তা ইত্যাদি।
সবজি বা সবুজ পাতার তরকারি খাবার গ্রহনের মাধ্যমে পাইলস নিরাময়
এই জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পুষ্টি যা আমাদের খাদ্য হজমে সহায়তা করে
থাকে। আর এই রোগ নিরাময় করার জন্য অন্যতম শর্ত হলো পায়খানা নরম করা বা হজম শক্তি বৃদ্ধি করা। আর এই
ধরনের সবজির মধ্যে অন্যতম হলো ব্রোকলি , গাজর, বাঁধাকপি ,ফুলকপি ,শসা,টমেটো, মিষ্টি লাউ ইত্যাদি উল্লেখ যোগ্য।
ফল জাতীয় খাবার গ্রহণের মাধ্যমে পাইলসের সমাধান
এই রোগটি যাদের হয়েছে তাদের জন্য এই যে কোন ফল জাতীয় খাবার প্রতিদিন খাওয়া খুবই প্রয়োজন। যদি কেহ নিয়ম
করে খাওয়ার পর ফল খায় তবে তার পায়খানা নরম হয় যাতে করে পায়খানা করতে সহজ হয়। আর তার হজম শক্তিও
অনেক গুনে বেড়ে যায়।
দানা জাতীয় বা ডাল জাতীয় খাবার গ্রহণ করা
এই জাতীয় খাবার গ্রহনের ফলে পায়খানা করা অনেক সহজ হয়। যার ফলে দেখা যায় পায়খানা করার সময় খুব সহজেই
পায়খানা করা যায় ।এতে করে পায়খানার রাস্তায় ব্যাথার অনুভূব হয়না। তাই নিয়ম করে প্রতিদিন ডাল জাতীয় খাবার গ্রহন
করুন ।
পনি বেশি পরিমানে পান করতে হবেে
এই দ্রব্যটি যদিও খাবার হিসেবে গ্রহণ করা হয়না তবুও এটা পরিপাকতন্ত্রে খাদ্য দ্রব্য হজমে সহায়তা করে থাকে। তাই খাবার
খাওয়ার সাথে বা আগে পরে পরিমাণ মত পানি পান করা দরকার এতে করে খাবার খুব সহজেই হজম হয়ে যায়।
পাইলস রোগীর এর খাবার তালিকা এর শেষ উপদেশ
পরিশেষে বলতে পারি আপনারা যারা এই পাইলস রোগীর এর খাবার তালিকা লেখাটি পড়েছেন, তারা যদি উপরোক্ত
তালিকা অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করলেন একদিকে যেমন আপনি পাইলস এর কষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন অন্যদিকে এই
খাবারগুলো এ সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করবে। আর আপনার সমস্যাটা যদি প্রকট আকার ধারণ করে থাকে তবে
অবশ্যই ভালো একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। কারণ এই রোগ থেকে আপনার বড় ধরনের রোগ হতে পারে। তাই
আমরা যেন সেই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সম্মুখীন না হই, তার জন্য নিজেদের আরো বেশি সচেতন হতে হবে । সবাই
ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন, লেখাটি ভালো লাগলে সবার সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল। ধন্যবাদ আপনাকে প্রথম থেকে
শেষ পর্যন্ত লিখাটি পড়ার জন্য।