আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আজকে আমরা কথা বলবো সুইজারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে। আশা করি সকলেই ভাল
আছেন। আপনারা অনেকেই কাজ করার জন্য সুইজারল্যান্ড যেতে চান কিন্তু কিভাবে ভিসা করবেন এবং কি কি সমস্যা রয়েছে,
এগুলো জানতে চাইলে আজকের এই লেখা টি অবশ্যই পড়ুন। বাংলাদেশের অনেকেই সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে জানেন, কারন এই দেশ
টি ব্যাংক সিস্টেমের জন্য বিখ্যাত। এই লেখা থেকে আপনারা আরো জানতে পারবেন, সুইজারল্যান্ডে স্থায়ী বসবাসের উপায়। তাই
নিম্নে এ সকল আলোচনা করা হলো। আপনারা যারা সুজারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সর্ম্পকে জানতে ইচ্ছুক তারা আজকে
আমার এই লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
সুইজারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
সুইজারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা: ইউরোপ মহাদেশের অন্যতম সেরা এবং ভালো উন্নত দেশ হল সুইজারল্যান্ড।এই দেশের
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতোই মনোরম যে আপনি যদি এক বার দেখেন তাহলে এখানে বসবাস করতে মন চাইবে।আর একটি মজার বিষয়
হলো যে, এ দেশের টাকার মান কখনো কমে না।এই কারণে বিশ্বের সব বড় বড় বিজনেসম্যান এবং টাকাওয়ালারা এদেশের ব্যাংকে
টাকা জমা রাখা পছন্দ করে। সুজারল্যান্ড আপনি সরাসরি কাজের ভিসা পাবেন না। এখানে আপনাকে প্রথমে হোম পারমিট ভিসা
নিতে হবে।এছাড়াও আপনি যদি ভিসা নিতে চান তাহলে কয়েক টি উপায় আছে। প্রথমে আপনাকে অনলাইন থেকে সুজারল্যান্ড এর
জব ওয়েবসাইটগুলো তে গিয়ে জব ম্যানেজ করতে হবে। এরপর আপনি সুইজারল্যান্ড এর ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এছাড়া বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমেও যেতে পারবেন।আবার আপনার যদি কোন আত্মীয়-স্বজন সুইজারল্যান্ড বসবাস
করে তাহলে তার মাধ্যমে যেতে পারবেন। যদি আপনাকে সে সহযোগিতা করে।এই সকল উপায়ে আপনি সুইজারল্যান্ড যেতে পারেন।
আবার আর একটি বিষয় হলো,সুইজারল্যান্ড উন্নত দেশ হওয়ার কারণে এ দেশের ভিসা খরচ অনেক বেশি। আপনি যদি সরকারি ভাবে
সুইজারল্যান্ড যাওয়ার জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনার খরচ হবে ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মত ।আর যদি আপনি দালাল বা
এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে।আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায়
সুজারলান্ড যান তাহলে বেতন পেতে পারেন ২৯০০ ইউরো এর মত। আর যদি ভাল কোন কাজের দক্ষতা নিয়ে কোন কোম্পানির
চাকরিতে নিয়োগ প্রাপ্ত হন তাহলে প্রায় ৪ হাজার ইউরোর মত প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন।
সুইজারল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করার উপায়
সুইজারল্যান্ড স্থায়ীভাবে বসবাস করার উপায়: সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার জন্য, আপনাকে অবশ্যই এই দুটি ধাপ অনুসরণ করতে
হবে- একটি কাজের ভিসায় আর নয়তো আর একটি হল স্টাডি ভিসা তার পর একটি পরিবারের ভিসার জন্য আবেদন করুন যা
উপযুক্ত বাসস্থান পারমিট প্রাপ্তি জন্য একটি সুইস স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়া যায়।প্রকৃতপক্ষে ২০১৫ সাল থেকে সুইজারল্যান্ড
এর কাজের ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে উঠেছে। যাইহোক আপনি যদি বি লেভেলের ভিসার জন্য আবেদন করেন এবং চার টি
অফিশিয়াল ভাষার মধ্যে কোনটায় না পারেন । তাহলে আপনাকে অবশ্যই অন্তত একটি ভাষা কোর্সের নথিভুক্তির প্রমাণ দিতে হবে ।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য সুইজারল্যান্ডে চাকরি পাওয়া সহজ যাদের পারমিট পাওয়ার সর্বোত্তম সুযোগ রয়েছে তাদের
মধ্যে রয়েছে ম্যানেজার, বিশেষজ্ঞ এবং অন্যান্য উচ্চ যোগ্য ব্যাক্তি । আবেদনকারী অফিসিয়াল ভাষা গুলির মধ্যে একটি ইতালীয়,
জার্মান এবং ফ্রেঞ্চ জানার প্রয়োজন হতে পারে ।সে অনুযায়ী সুইজারল্যান্ড ইউরোপ ইউনিয়ন এবং মুক্ত বাণিজ্য সমিতির সাথে
চলাচলের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেছে।তাই সেসব দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই সুইজারল্যান্ড প্রবেশ করতে পারে এবং সেখানে তিন
মাস পর্যন্ত থাকতে পারে। যাইহোক একজন ইউরোপ/ইএফটিএ নাগরিক এক জন নন-ইউরোপ/ইএফটিএ এর চেয়ে অতি সহজে
একটি কাজ এবং বসবাসের অনুমতি পেতে পারেন।একজন নাগরিক ইউরোপ/ ইএফটিএ এর সদস্য পরপর ৫ বছর সুইজারল্যান্ডে
থাকার পর একটি স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতে পারেন ।আর সুইস সি পারমিট এর জন্য আবেদন করার আগে একজন নন-
ইউরোপ/ ইএফটিএ নাগরিকদের কমপক্ষে ১০ বছর বি পারমিট নিয়ে সুইজারল্যান্ডে বসবাস করতে হবে।তার পরে স্থায়ী বসবাসের
অনুমতি পেতে পারেন।তাই এক জন ইউরোপীয় সদস্য যতটা কম সময়ে বসবাস করার অনুমতি পায় ।তার চেয়ে একজন নন
ইউরোপ নাগরিক এর ডাবল সময় লেগে যায়।
সুইজারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এর শেষ উক্তি
পরিশেষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি আজকের সুইজারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লেখা টি।এটি সুন্দর একটি
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যমূলক লেখা। আশা করি এই লেখা টি থেকে আপনারা অনেকেই উপকৃত হইবেন। আপনাদের যদি আরও কোনো বিষয়
জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমরা তার উত্তর দিয়ে সেই বিষয় টি আপনাকে জানিয়ে দেবো। আমরা
বিদেশের ব্যাপারে সব সময় সব ধরনের তথ্য দিয়ে থাকি। তাই আপনারা যারা বিদেশের ব্যাপারে তথ্য জানতে চান তারা অবশ্যই
আমার এই সাইট থেকে জানতে পারবেন। নিম্নে আরও কিছু লেখার লিংক আপনাদের সাথে শেয়ার করা হল। প্রয়োজন মনে করলে
পড়তে পারেন। আশা করি কাজে লাগবে। ধন্যবাদ সবাইকে আজকে আমার এই সুইজারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লেখা টি
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনযোগ সহকারে পড়ার জন্য। ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
একই জাতীয় আরো লেখা :
- দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত?
- দুবাই হাউজ ড্রাইভার নিয়োগ ২০২৩
- দুবাই সিকিউরিটি গার্ড কোম্পানি ২০২৩
- দুবাই যেতে কত টাকা লাগে?
- দুবাই যেতে কত বছর বয়স লাগে ২০২৩?
- দুবাই কাজের সন্ধান
- দুবাই কাজের ভিসা ২০২৩
- দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত?
- দুবাই বা আরব আমিরাতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
- কুয়েত খাদেম ভিসা।
- কুয়েত কোম্পানি ভিসা ২০২২।
- কুয়েত জব ভিসা।
- কুয়েত হোটেল ভিসা।
- কুয়েত মসজিদের হারেজ ভিসা।
- কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি।
- মালয়েশিয়া কলিং ভিসা এজেন্সি
- মালয়েশিয়া কাজের ভিসা-২০২২
- মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে
- সৌদি ভিসা প্রসেসিং
- সৌদি আরব ভিসা চেকিং
- সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি
- কাতারে কোন কাজের চাহিদা বেশি।
- সিংঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি।
- কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি।
- মালয়েশিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি
- সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার
- কুয়েত মাজরা ভিসা।