আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা,আশা করি সকলেই ভালো আছেন।আজকে আমরা কথা বলবো সুইজারল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে।
তাই আপনারা যারা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে সুইজারল্যান্ডে যেতে চান ,আজকে তাদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা কি কি প্রয়োজন সব বিষয়
নিয়ে আলোচনা করব এই লেখাটিতে। আপনারা যারা স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই আমার এই লেখা টি পড়ুন।
এটি একটি সুন্দর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যমূলক লেখা। এই লেখা টি থেকে আপনারা আরও জানতে পারবেন, স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনের
যোগ্যতা এবং স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।এই বিষয় গুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো।তাই আপনারা যারা
স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে সুইজারল্যান্ডে যেতে চান তারা অবশ্যই আমার এই সুইজারল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা লেখা টি প্রথম থেকে শেষ
পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
সুইজারল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা
সুইজারল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা: ইউরোপের মধ্যে অবস্থিত কিন্ত ইউরোপ ইউনিয়নের সদস্য নয়। কিন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ
সুইজারল্যান্ড।এটি সেনজেনভুক্ত একটি দেশ। এ দেশের যেমন রয়েছে ,সুইস ব্যাংক,রয়েছে ট্রেন ,চকোলেট ও ঘড়ির বিশাল বিশাল
ইন্ডাস্ট্রি, তেমনি রয়েছে আপ্লস পর্বতমালা ধারা বেষ্টিত অপরূপ সুন্দর্য্য। অপার্থীব পরিবেশ শুধু নয়, বিজ্ঞান- গবেষণা ও
অপেক্ষাকৃতার জনক আইনস্টাইনের নাম ও এই দেশের সাথে জড়িত। বিশ্ব বিখ্যাত সার্ন ল্যাবরটরি এই দেশেই রয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের মহিমা কতটা বিশাল বুঝতেই পারছেন ।তাই এই দেশে পড়াশোনা করার সুযোগ পেলে আপনার ক্যারিয়ারের আসবে
অগ্রগতি -শুধু তাই নয়, সঙ্গে মিলবে সম্মান ও অর্থ। তাই উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য সুইজারল্যান্ড হতে পারে আপনার জন্য সবচেয়ে
উত্তম স্থান।তাই সুইজারল্যান্ড এ পড়তে গেলে আপনি বিশেষত ইন্টার্নেশনাল মানেজমেন্ট ফাইনান্স,হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ট্যুরিজম
ম্যানেজমেন্ট এছাড়াও আরো অন্যান্য বিষয় গুলো বাছাই করতে পারেন।এই কোর্স গুলোর খ্যাতি রয়েছে সুইজারল্যান্ডে।এছাড়া
অন্যান্য কোর্স যেমন- ইকোনমিক্স, ল’, সোশ্যাল ওয়ার্ক, একাউন্টিং, ব্যাংকিং, ক্রিমিনোলজি, আর্কিটেকচার, সাইকোলজি ,সংস্কৃতি
,হেলথ কেয়ার ,ভাষাতত্ত্ব, মিডিয়া বিজনেস ,ম্যাথমেটিক্স, জার্নালিজম, থিওলজি, ফিলোসফি,সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিদ্যার্জনের সুযোগ
রয়েছে সুইজারল্যান্ডে।
স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনের যোগ্যতা
স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনের যোগ্যতা: সুইজারল্যান্ডে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্ত্বশাসিত- অর্থাৎ, প্রতিটি ভার্সিটিতে ভর্তির মানদণ্ড
ভিন্ন ভিন্ন। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সঠিক ও যথার্থ তথ্য পাবেন আপনি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে। আর যদি কোন
বিভ্রান্তি কিংবা সংশয় থাকে তবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। সুইজারল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়
গুলোতে ব্যাচেলর্স ডিগ্রী ৩ থেকে ৪ বছর মেয়াদী ,মাস্টার্স প্রোগ্রাম ১.৫বছর মেয়াদি এবং পিএইচডি প্রোগ্রামে ৫ বছর মেয়াদি হয়ে
থাকে।আপনি ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য কোন সুইস বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে চাইলে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে এইচএসসি বা
সমমান পরীক্ষায় সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হতে হবে।আর ভাষাগত দক্ষতার দিক থেকে আপনাকে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ভাষায়
পড়ানো হয় সেই ভাষার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। মাস্টার্স প্রগ্রামে আবেদন করার জন্য আপনাকে কমপক্ষে ১৬ বছরের শিক্ষা
জীবন মানে (স্কুলিং) থাকতে হবে ।এবং ভাষাবিষয়ক দক্ষতাও থাকতে হবে।এজন্য আইইএলটিএস -এর স্কোর আপনার ৬.৫ থেকে
৭.০০ থাকতে হবে । এখানে উল্লেখ্য যে বেশ কিছু সুইচ বিশ্ববিদ্যালয়ে জিআরই চাইতে পারে।আর একটা মজার বিষয় হলো,
বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় ইংরেজি. ফরাসি .জার্মানি এবং ইতালিয় ভাষায়। তাই আপনি বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে
জার্মান ভাষায় বা ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করে আবেদন করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে, একটু বলে দিতে চাই সুইজারল্যান্ড
বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল দেশ। তাই শিক্ষার খরচও অনেক বেশী ।এই খরচ বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে কম বেশী হয়ে থাকে।এক জন
শিক্ষার্থীকে প্রতি বছর ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য প্রায় ৮ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ করতে হয় এবং মাস্টার্স ডিগ্রির কমপ্লিট করার
জন্য প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ থেকে ১৪ লাখ টাকা এর মত গুনতে হয়।
স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
সুইচ এম্বাসি বাংলাদেশ থাকার কারনে আপনি অনেক সুবিধা পাবেন সুইজারল্যান্ডে আবেদন করার ব্যাপারে ।আপনি সুইজারল্যান্ডে
ভিসার জন্য আবেদন করতে চাইলে , আবেদনের জন্য নিম্নোক্ত প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র প্রয়োজন হবেঃ
- আবেদন ফর্ম সাথে ছয় মাসের পুরনো ছবি সংযুক্ত
- পাসপোর্ট (পুরাতন সহ যদি থাকে)
- সিভি ও মটিভেশন লেটার
- সকল একাডেমিক কাগজপত্র
- অফার লেটার সুইচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সত্যায়িত
- ঘোষণা পত্র যে আপনি পড়াশোনা শেষে নিজ দেশে ফিরে আসবেন
- স্পন্সার কর্তৃক হলফনামা
- আয়ের উৎস হিসেবে ১২ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট। ইনকাম ট্যাক্স পেপার, ফিক্সড জামানত ইত্যাদি এবং যদি ব্যাংক লোন হয় তাহলে ব্যাংককে নিশ্চিত পত্র ইস্যু করতে হবে তা প্রমাণের জন্য।
- কমপক্ষে এক বছরের টিউশন ফ্রি পরিষদের প্রমাণ কপি
- বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা পরীক্ষায় পাশের নিশ্চিত পত্র
- সাম্প্রতিক আইইএলটিএস পরীক্ষার সনদ
এছাড়াও অন্যান্য ডকুমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে যদিও তার সম্ভাবনা নিতান্তই কম।
সুইজারল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা এর শেষ উক্তি
পরিশেষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি আজকের সুইজারল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা লেখা টি। এটি সুন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ
তথ্যমূলক লেখা। আশা করি লেখা টি পড়লে আপনারা অনেকেই উপকৃত হবেন ।এর পরেও যদি আপনাদের আরো কোন বিষয়
জানার থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমরা তার উত্তর দিয়ে আপনাকে সেই বিষয়টি জানিয়ে দিব। আমরা বিদেশের
ব্যাপারে সব সময় তথ্য দিয়ে থাকি। তাই যারা বিদেশের ব্যাপারে তথ্য জানতে ইচ্ছুক তারা আমার এই সাইট থেকে জানতে পারবেন।
নিচে আরও কিছু লেখার লিংক আপনাদের সাথে শেয়ার করা হল। প্রয়োজন মনে করলে সেগুলো পড়তে পারেন। আশা করি কাজে
লাগবে। ধন্যবাদ সবাইকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সুইজারল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা লেখা টি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। ভুলত্রুটি
ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
একই জাতীয় আরো লেখা :
- দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত?
- দুবাই হাউজ ড্রাইভার নিয়োগ ২০২৩
- দুবাই সিকিউরিটি গার্ড কোম্পানি ২০২৩
- দুবাই যেতে কত টাকা লাগে?
- দুবাই যেতে কত বছর বয়স লাগে ২০২৩?
- দুবাই কাজের সন্ধান
- দুবাই কাজের ভিসা ২০২৩
- দুবাই সর্বনিম্ন বেতন কত?
- দুবাই বা আরব আমিরাতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
- কুয়েত খাদেম ভিসা।
- কুয়েত কোম্পানি ভিসা ২০২২।
- কুয়েত জব ভিসা।
- কুয়েত হোটেল ভিসা।
- কুয়েত মসজিদের হারেজ ভিসা।
- কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি।
- মালয়েশিয়া কলিং ভিসা এজেন্সি
- মালয়েশিয়া কাজের ভিসা-২০২২
- মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে
- সৌদি ভিসা প্রসেসিং
- সৌদি আরব ভিসা চেকিং
- সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি
- কাতারে কোন কাজের চাহিদা বেশি।
- সিংঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি।
- কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি।
- মালয়েশিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি
- সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার
- কুয়েত মাজরা ভিসা।