নিউজিল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা

আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো নিউজিল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা  বিষয় টি নিয়ে। আপনারা যারা

নিউজিল্যান্ডে পড়াশোনা করতে যেতে ইচ্ছুক তারা আমার এই লেখা টি পড়ুন।এই লেখার মধ্যে নিউজিল্যান্ড

ভিসার সবকিছু জানতে পারবেন ।যেমন- নিউজিল্যান্ড ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য,স্টুডেন্ট ভিসা

প্রসেসিং এর সম্ভাব্য সময়, স্টুডেন্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ,ভিসা আবেদনের জন্য ছবি

ও আরো কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য।এ সকল বিষয় নিম্নে আলোচনা করা হল। আপনারা যারা স্টুডেন্ট ভিসা

নিয়ে নিউজিল্যান্ড যেতে চান তাঁরা অবশ্যই আজকে আমার এই নিউজিল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা লেখা টি

প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

নিউজিল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা

নিউজিল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা

 

নিউজিল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা: নিউজল্যান্ড তাসমান সাগর জুরে অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার

পূর্বে এবং নিউ ক্যালেডোনিয়া ,টোঙ্গা এবং ফিজি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশ গুলির প্রায় ১০০০

কিলোমিটার দক্ষিণে।নিউজিল্যান্ড এ অধ্যায়নের সময় আপনার যদি চাকরি থাকে তাহলে আপনি

সেমিস্টারের প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন। নির্ধারিত ছুটির সময় ,আপনি পুরো- টাইম

কাজ করতে পাবেন।তারা সাধারণত এমন ছাত্রদের ভিসা দেয় যারা নিউজিল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয় বা

কলেজে  অধ্যায়নের জন্য অনুমতি পেয়েছে।আপনারা কি নিউজিল্যান্ডে পড়াশোনা করার কথা চিন্ত

করছেন ,কিন্ত নিউজিল্যান্ডে কি ভাবে আবেদন করবেন জানেন না ।তাই আপনাদের জন্য বলছি

,বাংলাদেশে কোন হাই কমিশন না থাকায় ভারতেন মুম্বাই বা কোলকাতায় অবস্থিত নিউজিল্যান্ড ভিসা

প্রসেসিং অফিস যাবতীয় বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয় গুলো দেখাশোনা করে। তাই বাংলাদেশ থেকে যদি কেউ

স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে চান, তাহলে ভারতের মুম্বাই অথবা কলকাতায় অবস্থিত

নিউজিল্যান্ডের ভিসাসংক্রান্ত অফিস এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

নিউজিল্যান্ডের ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য

ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য:আপনারা যারা নিউজিল্যান্ডের জন্য ভিসা আবেদন করতে চান

তাদের জন্য নিম্নে কিছু তথ্য উল্লেখ করা হলো-

১. আবেদনকারীর মূল পাসপোর্ট।

২.আবেদনের সময় ভিসা আবেদনের সেন্টারে পাসপোর্ট হ্যান্ডলং ফি এবং যদি অন্য আরও কোনো ধরনের

চার্জ প্রয়োজ্য হয় তবে তার রিসিপ জমা দিতে হবে।

৩. অনলাইনে ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদন করার পর যদি নিশ্চিত করে তাহলে ওয়েব-সাইট থেকে ওই

পেইজের প্রিন্ট কপিটি সংরক্ষণ করতে হবে।

৪. আবেদনকারীর মোবাইল নাম্বার, ইমেইল এড্রেস, ভিসা প্রসেসিং এর কাজ শেষ হওয়ার পর কাগজ পত্র

যে ঠিকানায় পাঠানো হবে তার ঠিকানা সঠিক ভাবে দিতে হবে।

স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এর সম্ভাব্য সময়

স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এর সম্ভাব্য সময়: স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এর জন্য সাধারণত দুই থেকে চার

সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। ভিসা প্রসেসিং এর জন্য কতদিন সময় লাগতে পারে তা আবেদন কারীর

তথ্য যাচাই এবং তথ্য মূল্যায়নের উপর নির্ভর কবে। তবে সাধারণত কত দিনের মধ্যে ভিসা প্রসেসিং এর

কাজ শেষ হতে পারে তা আবেদনের সময় জানিয়ে দেওয়া হয়।আশা করি বুঝতে পারছেন যে ভিসা আবেদন

এর সময় কি ভাবে জানানো হয়।

স্টুডেন্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ

স্টুডেন্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ: আপনাদের স্টুডেন্ট ভিসা করার জন্য যে সকল

কাগজ পত্র লাগবে তা নিম্নে দেওয়া হল-

১. নিউজিল্যান্ডে পড়তে যাবার মতো আর্থিক অবস্থা আছে তার প্রমাণ পত্র লাগবে।

২.আবেদনকারীর পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট লাগবে।

৩. জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট লাগবে।

৪. একাডেমিক সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট ,সুপারিশ পত্র, কলেজের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হলে তার প্রমান পত্র দিতে হবে।

৫. নিউজিল্যান্ডে পড়তে যাবার জন্য আইইএলটিএস স্কোর অবশ্যই সর্বনিম্ন ৬ হতে হবে। তবে কিছু কিছু ভার্সিটিতে ৫.৫০ ও গ্রহণযোগ্য । কিন্তু এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা খুব কম।

৬. অনলাইনে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে চাইলে নিউজিল্যান্ড অভিবাসন বিষয়ক অফিশিয়াল পেজে গিয়ে আপনি কোন ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করতে চান সংশ্লিষ্ট সব তথ্যই পাবেন।

ভিসা আবেদনের জন্য ছবি

ভিসা আবেদনের জন্য ছবি:  আপনাদের  ভিসা করার জন্য যে ধরণের ছবি লাগবে তা নিম্নে আলোচনা

করা হলো –

১. পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙ্গিন ছবি জমা দিতে হবে। ছয় মাসের বেশি পুরনো হওয়া চলবে না। ছবিতে

কোন ধরনের পরিবর্তন করা যাবে না ও আবেদন কারীর চেহারা স্পষ্টভাবে বুঝা যেতে হবে।

২. ছবির পটভূমি সাধারণ এবং হালকা রঙের হতে হবে কিন্তু সাদা রঙের পটভূমি হওয়া চলবে না।

৩. মুখমন্ডল ও চোখের উপরে কোন চুল থাকা যাবে না।চোখ স্পষ্ট ভাবে বোঝা যেতে হবে।

৪. ছবি তোলার সময় কোন সানগ্লাস, লেন্স ব্যবহার করা যাবে না ।যদি আবেদনকারীর চশমা ব্যবহার করেন

তবে তাকে চশমা ছাড়া ছবি তুলতে হবে ভিসা আবেদনের জন্য।

৫. মাথায় কোন প্রকার টুপি অথবা মাথায় বাঁধার ফিতা অথবা কাপড় থাকা যাবে না। শুধুমাত্র ধর্মীয় ক্ষেত্রে

এবং চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট কারণে মাথায় কাপড় দেওয়া যেতে পারে।

৬. অনলাইনে আবেদনের সময় ছবির জিপিজি অথবা জেপিইজি ফরমেটে হতে হবে। ৫০০ কিলোবাইট

থেকে ১০ মেগাবাইট এর মধ্যে হতে হবে।

আরো কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য

আরো কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য: স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের যেকোনো বয়সী শিক্ষার্থীই করতে পারে।

স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে নিউজিল্যান্ড পড়তে গেলেও আপনি পড়ার ফাঁকে কাজ করার অনুমতি পাবেন। প্রতি

সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা করে স্টুডেন্টদের জন্য কাজ করার অনুমতি দেওয়ার নিয়ম আছে নিউজিল্যান্ডে।

নিউজিল্যান্ড এ কাজ করতে হলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জমা দিতে হবে। সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ইতিহাস আছে

এমন কারো জন্য নিউজিল্যান্ডের ভিসা দেওয়া হয় না। ভিসার জন্য শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক

সুস্থতার প্রধান পত্র হিসেবে মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিতে হতে পারে। ভিসা হয়ে যাবার পর যেকোন

সময় আপনি নিউজিল্যান্ড প্রবেশ করতে পারবেন। ভিসার মেয়াদ সাধারণত কোর্সের মেয়াদ কতদিন

ততদিন জন্য দেওয়া হয়। কোর্সের মেয়াদ কোন কারনে বর্ধিত হলে আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট অফিসে গিয়ে

রিনিউ করে নিতে হবে। কোর্সের মেয়াদ শেষ হলে যদি আরও কিছুদিন থাকতে চান তবে সব শর্ত পূরণ করে

রেসিডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। অবশ্যই হেলথ ইন্সুরেন্স থাকতে হবে যতদিন আপনি

শিক্ষার্থী হিসেবে নিউজিল্যান্ড থাকবেন।বেআইনি কোন কিছু করলে পরবর্তীতে নিউজিল্যান্ড প্রবেশ করার

সমস্ত অধিকার হারাতে হতে পারে।

নিউজিল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা এর শেষ উক্তি

পরিশেষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি আজকের নিউজিল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা  লেখা টি।এটি

সুন্দর একটি তথ্যমূলক লেখা। আশাকরি এই লেখা থেকে আপনারা অনেকেই উপকৃত হইবেন। আপনাদের

যদি আরো কোন বিষয়ে জানার থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের বলবেন। আমরা তার উত্তর দিয়ে সে বিষয়

টি আপনাদের জানিয়ে দেবো। আমরা বিদেশের ব্যাপারে সবসময় তথ্য দিয়ে থাকে। তাই আপনারা কোন

বিষয়ে জানতে চাইলে আমাদের মাধ্যমে জানতে পারেন। আশা করি কাজে লাগবে।নিম্নে আপনাদের সাথে

আরও কিছু লেখার লিংক শেয়ার করা হল। প্রয়োজন মনে করলে পড়তে পারেন। আশা করি কাজে লাগবে।

ধন্যবাদ সবাইকে আজকের এই নিউজিল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ

সহকারে পড়ার জন্য। ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

একই বিষয়ে পড়তে পারেনঃ

অস্ট্রেলিয়া যেতে কত সময় লাগে

সরকরিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায়

অস্ট্রেলিয়া শ্রমিকের বেতন

কাতারে কোন কাজের চাহিদা বেশি।

সিংঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি।

কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি।

মালয়েশিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি

সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার

সুইজারল্যান্ড সংবিধান ও জনপ্রিয় স্থান

সুইজারল্যান্ড ভাষা এবং প্রশাসন

সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা

সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ ভিসা

সুইজারল্যান্ড নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়

নিউজিল্যান্ড দেশের পরিচিতি ও জনসংখ্যা কত?

নিউজিল্যান্ড ভিসা ও বেতন কত?

নিউজিল্যান্ডের মুদ্রার নাম ও মান কত?

About 24 Favor

Check Also

কসোভো থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়

কসোভো থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় বা গেম

কসোভো থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় বা গেম : সবাই স্বাগতম জানাচ্ছি নতুন একটি বর্তমান সময়ে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *