আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আপনাদের সাথে সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে
আলোচনা করব । সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে আপনারা যারা সুইডেন কাজ করার জন্য যেতে চান তারা
এই লেখার মাধ্যমে বিস্তারিত ভাবে সব কিছু জানতে পারবেন। আপনি কাজের ভিসা নিয়ে গেলে সেই দেশে
কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন। তাই আজকে এই লেখার মাধ্যমে আপনাদের সুইডেন এর ওয়ার্ক
পারমিট ভিসা বা কাজের ভিসা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আপনাদের জানানোর জন্য বর্ণনা করতেছি। অন্য সব
লেখার মত এই লেখাও বিস্তারিত ভাবে সকল তথ্য দিতে চেষ্টা করব। আর এছাড়াও আপনারা আমার এই
লেখা থেকে জানতে পারবেন সুইডেন কাজের বেতন কত , সুইডেন যেতে কত টাকা লাগে, সুইডেন যেতে
কি কি কাগজপত্র লাগবে এই বিষয় গুলো জানতে পারবেন। এ সকল বিষয় নিম্নে আলোচনা করা হল ।
আপনারা যারা বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তারা আমার এই সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লেখা টি
মনোযোগ সহকারে পড়ুন । আপনাদের জন্য নিম্নে বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হল –
সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা : আপনারা যারা বিদেশ গিয়ে কাজ করে উপার্জন করতে চাচ্ছেন তাদের
জন্য সুইডেন হতে পারে অন্যতমানের একটি দেশ। আপনারা যারা কাজ করার জন্য সুইডেন যেতে চান
তাদের আজকে জানাবো সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে। আপনারা যারা সুইডেন
ভিসা নিয়ে কাজ করতে যাবেন তাদের যাওয়া আগে অবশ্যই ধারণা রাখতে হবে যে , আপনাদের কি কি
সুযোগ সুবিধা থাকবে সুইডেন এর সরকার এর কাছে থেকে । আপনারা সুইডেন গিয়ে রেস্টুরেন্টে কাজ
করতে পারবেন। আপনার যদি রেস্টুরেন্ট এর কাজের অভিজ্ঞাতা থাকে তাহলে আপনি সুইডেন থেকে
উপার্জন করার সুযোগ পারবেন। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর সুইডেন রেস্টুরেন্ট এর কাজ করার জন্য
অনেক শ্রমিক গ্রহন করেন। আর এছাড়াও সুইডেন এ আছে প্রচুর পরিমানে সুপার শপ আর এই সুপার শপ
গুলোতে তারা বিভিন্ন মেয়াদে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকেন। তাই আপনি যদি আপনার
এজেন্ট এর মাধ্যমে সঠিক ভাবে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন তাহলে এই শপ গুলোতে বিভিন্ন ধরণের কাজ করতে
পারবেন। আবার সুইডেন অনেক ছোট ছোট ফ্যাক্টরি আছে সেই ফ্যাক্টরিতে কাজ করার জন্য অন্য দেশ
থেকে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকেন। আর আপনারা যারা কম্পানি ভিসায় যেতে চান তারা এই ভিসা নিয়ে
যেতে পারবেন। তাই আপনি কোন ধরনের ভিসা নিয়ে যাবেন সেই ভিসার উপর আপনার অবশ্যই নজর
রাখতে হবে। আপনাদের আরও জানাই যে , বিভিন্ন ধরনের মাল্টি শপ সেক্টরে আপনি যদি সুযোগ খুঁজেন
তাহলে কাজ করতে পারবেন। কারন এখানে প্রতি বছর অনেক শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকেন।
সুইডেন যেতে কত টাকা লাগে ?
সুইডেন যেতে কত টাকা লাগে ? : আপনারা যে দেশেই যান না কেনো যাওয়ার আগে অবশ্যই জানতে
চান যে যেতে কত টাকা লাগবে তাই আপনারা যারা এই কথা জিজ্ঞাস করে থাকেন তাদের জন্য আজকে এই
লেখার মাধ্যমে জানাবো যে যেতে কত টাকা লাগে। আপনারা যারা কাজ করার জন্য যেতে চান তাদের
অবশ্যই একটি ওয়ার্ক পারমিট লাগবে। কোন কোম্পানি যদি আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট দেয় তাহলে আপনি
সুইডেন যেতে পারবেন। কিন্ত বর্তমান সময়ে সুইডেন সরকার একটি নতুন ভিসা চালু করেছেন। এই ভিসার
মাধ্যমে বিশ্বের যেকোন দেমের নাগরিকরা সুইডেন যাওয়ার বা থাকার সুযোগ পাবেন। আপনাদের জন্য
সুইডেন সরকার ৯ মাসের জন্য জব সিকার ভিসা চালু করেছে। এই ভিসায় গিয়ে আপনি ৯ মাস থেকে কাজ
খুজতে পারবেন। আর এই ৯ মাসের মধ্যে আপনি কাজ খুজে চাকুরি নিয়ে পরে আপনার পরিবারকেও নিয়ে
যেতে পারবেন। কিন্ত আপনাদের সাথে এখন আমরা আলোচনা করব সুইডেন যেতে কত টাকা লাগে।
আপনি যদি সুইডেন যেতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে ৯০০ সুইডিশ ক্রোনা। আর এছাড়াও প্রতি বছর
টিন ফ্রি লাগবে ১ লাখ ৩০ হাজার ক্রোনা। আর সব মিলিয়ে আমাদের বাংলদেশের টাকায় খরচ হবে ১২ লাখ
টাকার মত। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
সুইডেন কাজের বেতন কত ?
সুইডেন কাজের বেতন কত ? : আপনারা অনেকেই ভাবেন যে এতো টাকা দিয়ে বিদেশ যাওয়ার থেকে
দেশে ব্যবসা করা অনেক ভালো এই রকম অনেকেই ভাবেন। কিন্ত যখন দেশে থাকে তখন এই চিন্ত করে
না। কারন এই কথা দেশে থাকতে চিন্তা করলে তাহলে আর বিদেশ যেতে পারতো না। আর আপনারা যারা
বিভিন্ন ধরণের ভিসা নিয়ে সুইডেন যাবেন তারা যাওয়ার আগে অবশ্যই জেনে যাবেন আপনি যে কাজে
যাচ্ছেন সেই কাজের বেতন কত। আপনাদের জানাই যে বর্তমানে যারা সুইডেন কাজে নিয়োজিত আছে
তাদের সর্বনিম্ন বেতন হল ৬০ হাজার টাকা আর সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বাংলাদেশি টাকায় ।
আপনারা যদি সঠিক পথে এবং সঠিক কম্পানিতে যেতে পারেন তাহলে অবশ্যই এই পরিমান টাকা উপার্জন
করতে পারবেন। আমরা আপনাদের বেতন সম্পর্কে ধারণা দিয়ে দিলাম এখন আপনারা অবশ্যই নিজের
সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারবেন আশা করি।
সুইডেন যেতে কি কি কাগজপত্র লাগবে
সুইডেন যেতে কি কি কগজপত্র লাগবে : আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে সুইডেন যাবেন তাদের যে
কাগজপত্র লাগবে তা আপনাদের জন্য নিম্নে উল্লেখ করা হল –
- আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে যার মেয়াদ থাকতে হবে নিম্নে ছয় মাস।
- আপনার পাসপোর্ট এর পেজ ফাঁকা থাকতে হবে ।
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি লাগবে সদ্যতোলা।
- আপনার এনআইডি কার্ডের বা জন্ম নিবন্ধন এর সনদ লাগবে।
- ভিসা আবেদন ফরম লাগবে।
- হেলথ ইন্সুরেন্স লাগবে।
- আপনার কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট লাগবে।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর সার্টিফিকেট লাগবে।
- করোনা টিকা কার্ড লাগবে ।
উপরোক্ত কাগজপত্র গুলো দরকার হবে। তাই আপনাদের যার এই সমস্ত কগজপত্রে কোন সমস্যা আছে
তারা আগে থেকেই ঠিক করে নিবেন। আর এছাড়াও যদি কোন কাগজপত্র লাগে তা আপনার এজেন্সি
আপনাকে আগে থেকেই জানিয়ে দিবে।
সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এর শেষ কথা
আপনারা যারা এই লেখা টি পড়েছেন তারা সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে জানতে পারবেন। এটি
একটি তথ্য মূলক লেখা । আশা করি আপনারা এই লেখা টি পড়ে অনেক তথ্য জানতে পেরেছেন।
আপনাদের যদি আরও কিছু জানার থাকে তাহলে আপনারা কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা উত্তর দিয়ে
আপনাকে সেই বিষয় টি জানিয়ে দিব। আজকের মত আপনাদের সবার সুস্থ্যতা কামনা করে এখানেই শেষ
করছি লেখা টি। আল্লাহ হাফেজ।