আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আজকে আপনাদের সাথে বেলজিয়াম স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আলোচনা
করব। আপনারা যারা ইউরোপের এই দেশটিতে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তারা আজকে আমার এই
লেখা থেকে বিস্তারিত ভাবে সব কিছু জানতে পারবেন। আমরা এর আগেও আপনাদের সাথে অনেক দেশের
স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আলোচনা করেছি। আজকে আবার আরও একটি নতুন দেশের স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে
আলোচনা করতে যাচ্ছি। আপনারা যারা পড়া শুনা করার জন্য বিভিন্ন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান
তারা আমার ওয়বসাইট এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই আপনারা
যারা স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কে জানতে চান তারা আমার ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করলে বিদেশের
ব্যাপারে সব ধরণের তথ্য জানতে পারবেন। আসুন তাহলে আপনারা যারা বেলজিয়াম স্টুডেন্ট ভিসা
সম্পর্কে জানতে চান তারা আজকের লেখা টি মন দিয়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ি –
বেলজিয়াম স্টুডেন্ট ভিসা
বেলজিয়াম স্টুডেন্ট ভিসা : যারা পড়াশুনা করার জন্য বেলজিয়াম যেতে চান তাদের জানাই যে, সেখানে
বিশ্বমানের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। আর এখানে পড়া শুনার মাধ্যম হল ডাচ। আর এই দেশে ব্যাচেওর
প্রোগ্রাম সাধারণত ডাচ ভাষাতেই পরিচালিত হয়। কিন্ত মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রাম ইংরেজিতে অফার
করা হয়ে থাকে। আর এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল, পরিবেশ বিজ্ঞান,
মেডিকেল সাইন্স সহ ব্যবসায় প্রশাসনের বিভিন্ন কোর্স অফার করা হয়ে থাকে। আর তাই আপনাকে আগে
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইট খুজে বাছাই করে নিতে হবে আপনার পছন্দের কোর্স। আপনারা যারা এই
সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করার জন্য যাবেন তাদের কিছু যোগ্যতা লাগে আর আপনাদের সাথে আমরা
সকল বিষয় ধাপে ধাপে আলোচনা করব। আসুন তাহলে আমরা জেনে নিই আমাদের আরও কি কি বিষয়
গুলো লাগবে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য।
ভাষাগত যোগ্যতা
আপনারা যারা পড়াশুনা করার জন্য যাবেন তাদের অবশ্যই ভাষাগত যোগ্যতা লাগবে। আপনারা যারা এই
সকল বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পড়তে চান তাদের আইইএলটিএস পরীক্ষা দিতে হবে। আর আপনার
আইইএলটিএস এর স্কর করতে হবে নিম্নে ৬.০ থেকে ৬.৫ । আপনারা যারা ৬.৫ পাবেন তাদের আবেদন
সহজেই গৃহীত হবে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে যদি আপনার ডিগ্রী যেমন ব্যাচেলর এ আপনার মিডিয়াম
অফ ইন্সট্রাকশন যদি ইংরেজি হয় তাহলে আপনি আইইএলটিএস ছাড়াই আবেদন করতে পারবেন। আশা
করি আপনারা যারা পড়াশুনা করার জন্য যাবেন তারা বুঝতে পেছেন ভাষাগত যোগ্যতা কত টুকু দরকার
হবে। আপনারা যারা এই ভিসা নিয়ে যাবেন তাদের আর একটি জিনিস প্রয়োজন তা হল কাগজপত্র গুলো
সত্যায়িত করতে হবে। আর এই সত্যায়িত করতে হবে যথা ক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় ও বেলজিয়াম এম্বাসির কনস্যুলেট দ্বারা। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কোথা থেকে
সত্যায়িত করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া : যারা পড়াশুনা করার জন্য এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান তাদের
প্রথমে যে কাজ টি করতে হবে তা হল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট থেকে এডমিশন অফিসে যোগাযোগ
করে মেইল এর মাধ্যমে সকল তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। আর সেই অনুসারে কাগজপত্র গুছিয়ে নিতে হবে
আর আবেদন করতে হবে। আর এর আগে জানিয়েছি যে সকল কাগজপত্র সত্যায়িত করতে হবে আর সে
সকল সত্যায়িত কাগজপত্র জমা দিতে হবে। আর যদি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো অনলাইন আবেদন গ্রহণ করে
তাহলে আর কোন সমস্যাই নেই স্ক্যান করে ডকুমেন্টস দিয়ে আবেদন করে ফেলবেন। আর আপনার সব
কাগজপত্র ঠিক থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে লেটার পাঠিয়ে দিবে। তারপরে ডাচ ভাষা সেন্টার এ
আবেদন করতে হবে যদি আপনি ডাচ মাধ্যমে পড়তে চান । আর ডাচ ভাষা শেখার জন্য আপনাকে ২৫০০
থেকে ৪০০০ ইউরো খরচ করতে হবে। আর ডাচ ভাষা সেন্টার থেকেও আপনাকে একটি লেটার পাঠাবে।
আর যদি ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে পড়াশুনা করতে চান তাহলে আইইএলটিএস এর কপি দিলেই চলবে। আর
এই দুইটি একসেপ্টেন্স লেটার পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে ব্যাংক একাউন্টস নাম্বার দিবে টিউশন
ফ্রি প্রধান করার জন্য। আর তারপরেই আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
বেলজিয়াম স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে ?
বেলজিয়াম স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে ? : যারা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে বেলজিয়াম যাবেন
তারা যাওয়ার আগে এই বিষয় জানতে চান। তাই আপনাদের জন্য আজকে আমরা এই ভিসা সম্পর্কে
আলোচনা করতেছি। আপনি যদি সরকারি ভাবে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে পারেন তাহলে আপনার খুব
সীমিত খরচ হবে। আর আপনারা যারা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যাবেন তারা মাসে ১৫-২০ ঘণ্টা পাটটাইম কাজ
করতে পারবেন। আপনাদের থাকা খাওয়া ভাবত মাসে ৪৫০ থেকে ৬৫০ টাকা খরচ হতে পারে। আপনারা
পাঁচ বছর থাকার পরে কিছু শর্ত মেনে স্থায়ী ভাবে থাকার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
শেষ মন্তব্য
আপনাদের সাথে আজকে বেলজিয়াম স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কথা বলেছি । আপনারা অনেকেই স্টুডেন্ট
ভিসা সম্পর্কে জানতে চান তারা আমার ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারবেন। আমরা সব সময় বিদেশের
ব্যাপারে সব ধরনের তথ্য দিয়ে থাকি। তাই আপনারা যারা এই তথ্য গুলো জানতে চান তারা আমার সাইট
থেকে জেনে নিতে পারবেন। আপনাদের জন্য নিম্নে আমার কিছু লেখার লিংক শেয়ার করলাম। প্রয়োজন
মনে করলে পড়তে পারেন। আশা করি কাজে লাগবে। লেখা টি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে
আজকের মত এখানেই শেষ করছি।