আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আশা করি সকলেই ভালো আছেন । বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
আজকের আলোচনা। আপনারা যারা এই বিষয় জানতে চান তারা আমার এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানতে
পারবেন। আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব ইউরোপ এর একটি দেশ বেলজিয়াম এর ওয়ার্ক
পারমিট নিয়ে । আপনার এই লেখার মাধ্যমে জানতে পারবেন কাজের বেতন সম্পর্কে আর বেলজিয়াম
যেতে কত টাকা লাগে এই বিষয়ে। আপনারা যারা ইউরোপ এর এই দেশটিতে যেতে চান তারা আমার
আর্টিকেল টি প্রথশ থেকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ুন । কারন আপনাদের জন্য এই সকল বিষয় নিম্নে
বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হল। তাই আপনারা যারা বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তারা আমার লেখা টি
শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আর জানতে থাকুন –
বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা : আপনারা অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ভিসা নিয়ে বিভিন্ন দেশে গিয়ে
থাকেন বা যেতে চান তারা যাওয়া আগে জানতে চান যে কি ভাবে জাবেন কোন ধরনের ভিসা নিয়ে যাবেন ।
ইতিপূর্বেও আপনাদের সাথে অনেক দেশের ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে আলোচনা করেছি। আর আজকে আর
একটি নতুন দেশ ইউরোপ এর বেলজিয়াম এর ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে আলোচনা করব। আপনারা যারা
বেলজিয়াম কাজে যেতে চান তাদের প্রথমে একটি কাজের ব্যবস্থা করতে হবে ওই দেশে। আপনি যদি ওই
দেশে কাজ পেয়ে যান তাহলে বসবাস করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বেলজিয়াম তার গতিশীল
শ্রমশক্তির কারণে আন্তর্জাতিক ব্যবসার জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য হয়ে উঠেছেন। কিন্ত আপনি একজন
শ্রমিক হিসেবে বেলজিয়াম যেতে চান , সেই ক্ষেত্রে আপনাকে বৈধভাবে কাজ করার জন্য একটি ওয়ার্ক
পারমিট ভিসা বা উপযুক্ত ভিসা অর্জন করতে হবে। আর আপনার এই স্বপ্ন পূরণ করতে আপনার দরকার
হল বেলজিয়ামের একটি কর্মসংস্থান ভিসা। আর আপনারা যারা এই ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে বেলজিয়াম যেতে
চান তারা বাংলাদেশ দূতাবাস এর মাধ্যমে যোগাযোগ করে ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। বাংলাদেশে বিভিন্ন
ধরনের এজেন্সি রয়েছে যাদের মাধ্যমে আবেদন করে আপনি ভিসা নিতে পারবেন। আর আপনারা একবার
ভিসা পেয়ে গেলে সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারবেন আর পরবর্তীতে নিজের পরিবার কে নিয়ে যেতে
পারবেন।
বেলজিয়াম যেতে কত টাকা লাগে ?
বেলজিয়াম যতে কত টাকা লাগে ?: যারা বিভিন্ন ধরনের ভিসা নিয়ে বেলজিয়াম যেতে চান কারা
অনেকেই যাওয়ার আগে জানতে চান যে কত টাকা খরচ হবে। আর আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে
আমরা আজকের এই পোষ্ট টি লিখলাম। আপনারা অনেকেই স্বপ্ন দেখেন যে ইউরোপ যাবেন আর তাই
আপনারা যারা ইউরোপ এর বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে যেতে চান তারা জেনে নিন যে কত টাকা খরচ
হবে। বেলজিয়াম যেতে চাইলে আপনার খরচ হবে প্রায় ৯ লাক্ষ টাকা থেকে ১১ লাক্ষ টাকার মত। এই
পরিমান টাকা খরচ করলে আপনি বেলজিয়াম যেতে পারবেন। আর আপনারা যারা ইউরোপ এর এই দেশে
যেতে চান তাদের প্রথমত নিজস্ব নামের একটি একাউন্টের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে। আপনারা যারা
ইউরোপ যেতে চান তাদের বলে রাখি যে আপনি ইউরোপ এর যে দেশেই যান না কেনো আপনাকে অবশ্যই
ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে। আপনাদের আর একটি কথা বলে রাখি যে আমরা আপনাদে যে টাকার
পরিমান জানিয়েছি তা অনেক সময় এজেন্সি ভেদে কম বা বেশি হতে পারে। আশা করি আপনারা আমার
এই লেখা থেকে তথ্য গুলো বুঝতে পেরেছেন।
বেলজিয়ামের কাজের বেতন কত ?
বেলজিয়ামের কাজের বেতন কত ? : আপনারা যারা বেলজিয়াম এর বিভিন্ন ধরনের কাজের বেতন
সম্পর্কে জানতে চান তারা ঠিক ওয়েবসাইটে এসেগেছেন। আপনারা যারা বিভিন্ন ধরনের কাজের ভিসা নিয়ে
বেলজিয়াম যাবেন তারা একেক কাজের জন্য একেক রকম এর বেতন পাবেন । আপনারা যারা ড্রাইভিং
ভিসা নিয়ে গিয়ে থাকের সে ক্ষেত্রে আপনার কাজের বিনিময়ে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে
পারবেন। আর আপনাকে এই পরিমানে আয় করার জন্য প্রতি দিন ৯ থেকে ১২ ঘন্টা কাজ করতে হবে।
আর এর পাশাপাশি যদি পার্টটাইম কাজ করেন তাহলে বাড়তি আরও ভালো ইনকাম করতে পারবেন। আর
আপনারা যারা হোটেল বা রেস্টুরেন্টে এর কাজে যাবেন তারা আয় করতে পারবেন ৭০ হাজার থেকে ২ লাখ
টাকা পর্যন্ত প্রতি মাসে । আর এখন বর্তমান সময়ে বেলজিয়ামে হোটেল কর্মী আর ড্রাইভিং কাজের চাহিদা
সব থেকে বেশি। আর আপনারা যারা বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে যাবেন তারা অবশ্যই হোটেল কর্মী বা
ড্রাইভিং এর অভিজ্ঞতা অর্জন করে তারপরে যাবেন। আপনারা যদি অভিজ্ঞতা অর্জন করে যান তাহলে
আপনি প্রতি মাসে ২ টাকার মত আয় করতে পারবেন।
বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এর শেষ মন্তব্য
আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে । আপনারা যারা
এই লেখা টি পড়েছেন তারা সকল বিষয় তথ্য জানতে পেরেছেন আশা করি। আপনাদের আরও জানার
থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন । আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।