হ্যালো বন্ধুরা, দেশ এবং দেশের বাইরে যে যেখান থেকে পড়ছেন সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। আজকে
আমার এই লেখাটিতে আপনাদের যানাবো পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও কোন কাজের চাহিদা
বেশি। লেখা টি আপনাদের জন্য সুন্দর একটি লেখা। আপনারা যারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে পর্তুগাল
যেতে চান তারা অবশ্যই এখান থেকে তথ্য পাবেন তাই লেখাটি পড়ুন। এই লেখা থেকে আপনারা আরো
জানতে পারবেন,পর্তুগাল কোন কাজের চাহিদা বেশি,পর্তুগাল কাজ করতে হলে কি কি দক্ষতা
লাগবে,পর্তুগালে কি কি ধরনের কাজের সুযোগ সুবিধা রয়েছে,পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কিভাবে
আবেদন করবেন ও পর্তুগাল এম্বাসি। এ সকল বিষয় নিম্নে আলোচনা করা হল ।আপনারা যারা পর্তুগাল
ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান তাঁরা আজকে আমার এই পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও কোন
কাজের চাহিদা বেশি লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। নিম্নে বিস্তারিত সম্পর্কে
বলা হলো-
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা: আপনারা যারা পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চান তারা আমার
এই লেখা টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগসহকারে পড়লে সব বুঝতে পারবেন ।পর্তুগাল ওয়ার্ক
পারমিট ভিসা কিভাবে পাবেন। যদিও বাংলাদেশে পর্তুগালের কোন এম্বাসি নেই। তাই আপনি চাইলে দিল্লির
এম্বাসিতে গিয়ে পর্তুগাল যেতে পারেন। তাছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো আছে সে দেশগুলো থেকে আপনারা
পর্তুগালে যেতে পারেন ।সেখান থেকে এম্বাসির মাধ্যমে আবেদন করে আপনারা পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট
ভিসা নিয়ে পর্তুগাল কাজ করতে পারবেন।
পর্তুগাল কোন কাজের চাহিদা বেশি
পর্তুগাল কোন কাজের চাহিদা বেশি:আমরা প্রথমে যে বিষয়ে আলোচনা করব সেটা হচ্ছে পর্তুগাল কোন
কাজের চাহিদা বেশি আছে। পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যে কাজ গুলো সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে,
তার মধ্যে অন্যতম হলো হোটেলের বিভিন্ন রকমের কাজ।হোটেলে বিভিন্ন রকমের কাজের সুযোগ রয়েছে,
যেমন- ওয়েটারের কাজ, সেফ এর কাজ ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেফ এর কাজ। বিভিন্ন রকমের কাজ রয়েছে
পর্তুগালের হোটেলগুলোতে। এই কাজগুলোর ভালো পরিমাণে চাহিদা এবং ডিমান্ড রয়েছে পর্তুগালে।তাই
আমরা যারা পর্তুগালে যাই তারা এই সমস্ত কাজি বেশি করে থাকি।তাই আপনি চাইলে পর্তুগালে গিয়ে এই
কাজগুলো করতে পারেন। আমরা বাংলাদেশ থেকে যেসকল মানুষ পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাই
তারা এ সমস্ত কাজই বেশি করে থাকি।আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন যে পর্তুগাল কোন কাজের
চাহিদা বেশি রয়েছে।
পর্তুগাল কাজ করতে হলে কি কি দক্ষতা লাগবে
পর্তুগাল কাজ করতে হলে কি কি দক্ষতা লাগবে: পর্তুগালে আপনি যদি ওয়েটারের কাজ করতে চান
তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভালোমতো ইংরেজি না হলে পর্তুগিজ জানাতে হবে। তাহলেই আপনি ওয়েটার
হিসেবে কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও অনেক ধরনের ফ্যাক্টরি রয়েছে যেমন -ফুট প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি ও
মাংস প্যাকেজ করার জন্য বিভিন্ন রকমের ফ্যাক্টরি।সুপার শপ, মাল্টি শপ ক্লিনিং এ ধরনের বিভিন্ন শপ
রয়েছে যেগুলোতে কাজের চাহিদা রয়েছে প্রচুর পরিমানে।যাদের ভালো এডুকেশন কোয়ালিফিকেশন
আছে। যারা কম্পিউটার সফটওয়্যার, গ্রাফিক্স ডিজাইন এ ধরনের কাজগুলো যারা জানেন তারা চাইলে
এখানে এসে ঐ কাজগুলো করতে পারেন। যেটা অন্যান্য কাজ গুলো থেকে আরামদায়ক এবং বেশি
ডিমান্ডিং।
পর্তুগালে কি কি ধরনের কাজের সুযোগ -সুবিধা রয়েছে
পর্তুগালে কি কি ধরনের কাজের সুযোগ সুবিধা রয়েছে: পর্তুগালে কাজের মূলত সুযোগ-সুবিধা
সিস্টেম হচ্ছে ,আপনি যদি লিগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করে যেতে পারেন তাহলে অনেক ধরনের সুযোগ-
সুবিধা পাবেন। হয়তোবা আপনার স্যালারি পরিমাণটা একটু কম হলেও ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায়
এখানে আপনারা একটু বেশি ফ্যাসিলিটিজ পাবেন। আপনি যদি পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে ঢুকতে
পারেন তাহলে একটা সময় আপনি ঐ খানে টিয়ার পাবেন। আর টি আর পেলে আপনি পাসপোর্ট এর জন্য
আবেদন করতে পারবেন। আপনার সেলারি পরিমাণটা হয়তো ৫০০ থেকে ৭০০ ইউরোর কাছাকাছি হবে।
আপনি যখন টিয়ার পাবেন তখন আপনি চাইলে আপনার ফ্যামিলিকে নিয়ে যেতে পারবেন। এছাড়া যারা
পর্তুগাল বিজনেস করতে চান তারা যেতে পারেন কারণ এখানে বিজনেস করার জন্য ভালো সুযোগ -সুবিধা
রয়েছে। যেহেতু এই খানে খুব তাড়াতাড়ি কাগজপত্র হয় তাই যদি আপনার এখানে ইনভেসমেন্ট করার
মতো ক্যাপাবিলিটি থাকে তাহলে বিজনেস শুরু করতে পারেন।এই সুযোগ-সুবিধা গুলো আপনি মূলত
ঐ দেশে গিয়ে পাবেন। অন্যান্য দেশে থাকে একটু আলাদা এবং বেশি সুযোগ- সুবিধা দিয়ে থাকে পর্তুগাল।
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন: জব পাওয়ার জন্য তিনটা মাধ্যম
রয়েছে। আপনি লোকাল যেগুলো এজেন্সি রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে ম্যানেজ করতে পারেন।সেক্ষেত্রে
আপনার খরচ একটু বেশি পড়বে। যদি আপনি লোকাল এজেন্সির মাধ্যমে যান সে ক্ষেত্রে পর্তুগাল ওয়ার্ক
পারমিট ভিসার জন্য আপনার খরচ হবে প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মত।পর্তুগাল যদি আপনার কোনো
আত্মীয়-স্বজন থাকে তাহলে তাদের মাধ্যমে আপনি কাজের সুযোগ পেতে পারেন। তারা আপনার জন্য
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করে দিতে পারে।যাদের আত্মীয়-স্বজন নেই বা এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে যাওয়ার জন্য
সময় দিতে পারবে না।তাদের জন্য বলছি যে আপনারা পর্তুগালের ওয়েবসাইটে গিয়ে সুন্দরভাবে সাজিয়ে
গুজিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন ।পর্তুগাল ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি যদি কাজের খোজ করেন
তাহলে কাজ খুজে পাবেন।পর্তুগালের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার সিভিটা সুন্দরভাবে ইউরোপিয়ান স্টাইলে
সাজিয়ে-গুছিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। একটা ক্যান্ডিডেটের এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকে
আগে একটা জব অ্যারেঞ্জ করতে হবে।বিদেশ বা বাইরের কান্ট্রিতে যাওয়ার জন্য একজন প্রবাসীর মূল
চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জব অ্যারেঞ্জ করা। আপনারা বিভিন্ন কোম্পানিতে আবেদন করতে পারেন। মনে করুন
আপনার যদি ওয়েটারের কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকে,তাহলে আপনি ওয়েটার রিলেটেড কোম্পানিগুলোতে
যে কাজ রয়েছে সেগুলোতে এপ্লাই করতে পারেন।কোন প্রতিষ্ঠান যদি আপনার ছবিটা পছন্দ করে। তাহলে
তারা আপনার অনলাইন ইন্টারভিউ নিবে। তারা যদি ইন্টারভিউ নেওয়ার পর মনে করে আপনি তাদের
রেস্টুরেন্টের জন্য সঠিক লোক তাহলে তারা আপনাকে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ব্যবস্থা করে দিবে ।
এরপর পর্তুগাল থেকে আপনাকে একটা কন্ডিশনার লেটার দেবে। এখানে থাকবে আপনি পর্তুগাল গিয়ে কি
কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন এছাড়াও স্যালারি পাবেন সকল বিস্তারিত তথ্য দেওয়া থাকবে।এ সকল
কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর পর্তুগাল লেবার মিনিস্ট্রি থেকে আপনার জন্য একটি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বের
হবে। তারপর তার আপনাকে কিছু ডকুমেন্টস দেবে।পরে আপনাকে আপনার যে বেসিক ডকুমেন্টসগুলো
প্রয়োজনে রয়েছে যেমন-ছবি, পাসপোট, অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম এগুলো নিয়ে আপনাকে এম্বাসিতে যোগাযোগ
করতে হবে ভিসার জন্য। সরকার থেকে যে ডকুমেন্টস দিবে এবং আপনার ডুকুমেন্ট গুলো রয়েছে
সেগুলো দিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
পর্তুগালের এম্বাসি
পর্তুগালের এম্বাসি: এখানে একটা কথা বলতে চাই পর্তুগালের এম্বাসি কিন্তু বাংলাদেশে নাই। তাই যেসকল
ভাইরা মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছে বিশেষ করে সিঙ্গাপুর ,মালয়েশিয়া ,কাতার ,সৌদি আরব ও দুবাই যে সব দেশেই
রয়েছে না কেন তাদের জন্য ভালো অপরচুনিটি হচ্ছে তারা সে সকল দেশ থেকে পর্তুগালের এম্বাসি ভিসার
জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাই যারা পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যেতে চাচ্ছেন বা যাবেন তারা এই
নিয়ম গুলো ফলো করে যেতে পারেন।আজকে আমরা যে কাজগুলো সম্পর্কে বলাম এছাড়াও আপনারা
অনেক অনেক রকমের কাজ পাবেন।
শেষ অংশ
পরিশেষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি আজকের পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও কোন
কাজের চাহিদা বেশি লেখা টি ।এটি সুন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ লেখা। এ লেখা থেকে আপনারা অনেকেই
উপকৃত হবেন। আপনাদের যদি আরো কোন বিষয়ে জানার থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমরা
তার উত্তর দিয়ে সেই বিষয় টি আপনাকে জানিয়ে দেবো। আমরা বিদেশের ব্যাপারে সবসময় সব ধরনের
তথ্য দিয়ে থাকি। তাই যারা বিদেশের ব্যাপারে তথ্য পেতে চান তারা আমার এই ওয়েবসাইট থেকে জানতে
পারবেন। নিম্নে আপনাদের জন্য আরো কিছু লেখার লিংক শেয়ার করা হল। প্রয়োজন মনে করলে পড়তে
পারেন। ধন্যবাদ সবাইকে আজকে আমার এই পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও কাজের চাহিদা বেশি
লিখাটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনযোগ সহকারে পড়ার জন্য। আজকের মত এখানেই বিদায়।
একই বিষয়ে পড়তে পারেনঃ
- অস্ট্রেলিয়া যেতে কত সময় লাগে
- সরকরিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায়
- অস্ট্রেলিয়া শ্রমিকের বেতন
- কাতারে কোন কাজের চাহিদা বেশি।
- সিংঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি।
- কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি।
- মালয়েশিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি
- সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার
- সুইজারল্যান্ড সংবিধান ও জনপ্রিয় স্থান
- সুইজারল্যান্ড ভাষা এবং প্রশাসন
- সুইজারল্যান্ড কোন মহাদেশে অবস্থত
- সুইজারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা
- সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ ভিসা
- সুইজারল্যান্ড নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়
- নিউজিল্যান্ড দেশের পরিচিতি ও জনসংখ্যা কত?
- নিউজিল্যান্ড ভিসা ও বেতন কত?
- নিউজিল্যান্ডের মুদ্রার নাম ও মান কত?