আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা , গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা
করব । আপনারা যারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে গ্রিস যেতে চান তারা আমর এই পোষ্ট থেকে বিস্তারিত
ভাবে জানতে পারবেন। বর্তমান সময় আমাদের বাংলাদেশের অনেক লোক প্রবাস জীবন যাপন করছেন।
আর তাই আাজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব গ্রিস কেন যাবেন এই বিষয় টি নিয়ে । আপনারা যারা
গ্রিস যেতে পারবেন তারা বিষেশ কিছু সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। আপনারা যারা বিদেশ যান তারা
বেশি টাকা আয় করার জন্যই গিয়ে থাকেন । আর গ্রিসে সেই আশা পূরণ করার মত সুযোগ রয়েছে গ্রিসে
আপনি উচ্চ বেতন পাবেন। আপনি যদি গ্রিসে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে একবার যেতে পারেন আর সেখানে
গিয়ে ভালো মত কোনো কম্পানিতে কাজ পান তাহলে আপনার বেতন অন্য দেশের চেয়ে অনেক বেশি
হবে। আর এই ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে যারা বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তারা আমার এই লেখা টি পড়তে
থাকুন আর জানতে থাকুন –
গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা : আপনারা যারা ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে গ্রিস যেতে চান তারা আমার এই পোষ্ট
এর মাধ্যমে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। আসুন আমরা বিস্তারিত ভাবে জেনে নিই। আপনারা যারা
কাজ করার জন্য বিভিন্ন দেশে গিয়ে থাকেন তাদের জন্য আজকে জানাব গ্রিস এর কাজের বিষয়। আপনারা
যারা গ্রিসে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে একবার যেতে পারবেন তারা অনেক বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনি যদি নির্দিষ্ট একটি কম্পানিতে ভিসা নিয়ে যেতে পারেন তাহরে অনেক বেশি টাকা বেতন পাবেন।
আর গ্রিসে এমন অনেক কম্পানি আছে যারা যাওয়ার শুরু থেকে যত খরচ হয়েছে সব খরচ বহন করবে ।
যেমন , আপনাদের ভিসা করতে যা খরচ হয়েছে এবং বিমান ভাড়া সহ সকল খরচ । আর তারপরেও সেই
খানে যখন কম্পানিতে কাজ করবেন তখন অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন। আর একটি আন্দদের বিষয়
হল যে আপনি যদি গ্রিসে পাঁচ বছর থাকেন তাহলে সেই দেশে বসবাস করার জন্য আবেদন করতে
পারবেন। আর আপনার এই আবেদন যদি একবার গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে আপনি সেই দেশের নাগরিক এর
সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। আপনারা এখন বাংলাদেশ থেকেই আবেদন করে গ্রিসের ভিসা পাবেন
আবর অনলাইন এর মাধ্যমেও আবেদন করতে পারবেন। তাই আপনারা যারা গ্রিসে যেতে চান তারা এখন
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকেই যেতে পারবেন।
গ্রিস যেতে কত টাকা লাগবে ?
গ্রিস যেতে কত টাকা লাগবে ? : যারা ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে গ্রিসে যেতে চান তারা যাওয়ার আগে অবশ্যই
এই কথা জানতে চান তাই আপনারা যারা এই কথা জানতে চান তাদের জন্য আমার এই পোষ্ট এর মাধ্যমে
জানাব কত টাকা লাগে। আমরা উপরে পড়ে জানতে পেরেছিযে গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট সম্পর্কে । আর এখন
জানব যেতে কত টাকা খরচ হতে পারে। আমরা যদি স্বাভাবিক ভাবে গ্রিসের ভিসা করতে চাই তাহলে
আমাদের খরচ হবে ৬ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত। আর আপনি যদি ইন্ডিয়া থেকে ভিসা করেন তাহলে
আপনার খরচ একটু বেশি হবে কারন বর্তমানে যারা ইন্ডিয়া থেকে ভিসা করে তাদের খরচ ১০ লাখ এর বেশি
হয়। আর তাই আপনারা যারা গ্রিস যেতে চান তাদের জন্য বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সুযোগ রয়েছে তাই
আমার মতে আপনারা বাংলাদেশ থেকেই গ্রিসে যাওয়ার জন্য আবেদন করবেন বাংলাদেশ এর দূতাবাস
থেকে। তাই আপনার জামেলা কম হবে আর সেই সাথে আপনাদের খরচও অনেক কম হবে। আপনাদের
আর একটি কথা বলে রাখি যে গ্রিস যাওয়ার জন্য যে টাকার কথা উপরে বলেছি তা আপনাদের একটি ধারণা
দিয়েছি । আপনাদের কত টাকা খরচ হবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনি কোন ধরণের ভিসা নিয়ে কোন
কম্পানিতে যাচ্ছেন তার উপর। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
গ্রিসে কাজের বেতন কত ?
গ্রিসে কাজের বেতন কত ? : আপনারা যারা ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে গ্রিসে যান তারা যাওয়ার আগে কোন
কম্পানিতে কি কাজে এবং তার সাথে এই কথাও জিজ্ঞাস করেন যে বেতন কত হবে। তাই আপনাদের জন্য
আজকে জানাব গ্রিসে কাজের বেতন কত । আপনারা যে দেশেই যান না কেনো যাওয়ার আগে অবশ্যই
বেতন সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। উপরে আপনাদের বলেছি যে গ্রিসে অনেক বেশি বেতন হয়ে থাকে তাই
এর জন্য আপনাদের কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আর আপনার যদি কাজের দক্ষতা থাকে
তাহলে আপনি প্রথমে গিয়েই ১ থেকে ১.৫ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। আবার অনেক কাজের ক্ষেত্রে
কাজের উপর ভিত্তি করে ২ থেকে ২.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বেতন দিয়ে থাকেন। আপনারা যারা গ্রিসে ওয়ার্ক
পারমিট নিয়ে যাবেন তারা বেতন সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন আশা করি।
গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এর শেষ কথা
আজকের পোষ্ট এর মাধ্যমে আপনাদের জানালাম গ্রিস ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে । এটি একটি তথ্য
মূলক লেখা। আপনারা এই লেখার মাধ্যমে উপকৃত হইবেন আশা করি। আপনাদের জন্য আরও কিছু লেখার
লিংক নিম্নে শেয়ার করলাম। প্রয়োজন মনে করলে পড়তে পারেন আশা করি কাজে আসবে। সবাইকে
ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।