কুয়েতে যেতে বয়স সময় ও টাকা কত লাগে- এই লেখাটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে
বিশেষ করে যারা মধ্যপ্রাচ্যের কুয়েত দেশটিতে যারা যেতে চান নিম্নোক্ত বিষয়গুলো তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কারণ আমরা
অনেকেই জানিনা সেই দেশটিতে যেত কত বয়স লাগে ।আর সর্বোচ্চ কত বছর পর্যন্ত যাওয়া যায়, অথবা কত বয়স থেকে কত
বছর পর্যন্ত যেতে পারবেন। এছাড়াও আরো জানতে পারবেন এই দেশটিতে যেতে কত দিন লাগে এবং কত টাকা লাগে। কারণ
অনেক সময় দেখা যায় আমরা বিদেশ যাওয়ার সময় প্রতারণার শিকার হয়ে থাকি। যে পরিমাণ টাকা দিয়ে বিদেশ যাচ্ছি সেটা
টাকা আয় করতে পারি না। তার জন্য অনেক সময় লেগে যায় সেই টাকা তুলতে । আপনি যদি এই কাজের জন্য এই দেশটিতে
যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি কুয়েতে যেতে বয়স সময় ও টাকা কত লাগে লেখাটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়া উচিত।
কুয়েতে যেতে বয়স কত লাগে
অনেকেই কুয়েতে যেতে চান বা কেউ কেউ তাদের ছেলেকে পাঠাতে চান। কিন্তু বয়স না হওয়ার কারণে অনেক সময় কুয়েত
যেতে পারেন না, বা পাঠাতে পারেন না। ঐদেশের সরকার সাধারণত সকল বয়সের লোকদের তাদের দেশে নেয় না। যার কারণে
কাজের জন্য সবাই সেই দেশে যেতে পারেনা। সাধারণত যাদের বয়স ২১ উপরে এবং যাদের বয়স ৩৫ এর মধ্যে তারাই সাধারণত
এই দেশের ভালো কম্পানিতে আসতে পারেন। তবে অল্পকিছু কম্পানি আছে যারা এর উপরে বয়সের লোকদের নিয়োগ দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত সময় লাগে?
অনেক সময় দেখা যায় বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা তার সেই দেশে যেতে কত সময় লাগবে তার উপরও নির্ভর করে, অর্থাৎ সে
দেশটিতে যাওয়ার জন্য আপনার কতদিন লাগবে বা কত সময়ের মধ্যে আপনি সেই দেশে যেতে পারবেন । এক্ষেত্রে আপনি যদি
কোন এজেন্সি দালাল কে জিজ্ঞেস করেন আমি কুয়েত যেতে চাই তবে কতদিন লাগবে? তারা আপনাকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে
প্রতারিত করবে। আর তাই তারা যেন আপনার সাথে কোন প্রকার প্রতারণা করতে না পারে তার জন্য আমরা এখানে
সময়ের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করবো। যদি আপনি বৈধভাবে ভালো কোম্পানি দেখে কুয়েত যেতে চান তবে আপনার কত
সময় লাগবে। যেহেতু বর্তমানে এই দেশটির ভিসা প্রদান বন্ধ তাই একটু বেশি সময় লাগছে। তা নাহেল ৪৮ ঘন্টা থেকে ৭ দিনের
মধ্যেই সকল কাগজ প্রস্তুত হয়ে যেত। অনেক সময় দেখা যায় কাজের অনুমোধন পত্রটি সেই দেশের শ্রম মন্ত্রনালয় থেকে
অনুমোধন করার পর তা আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় বিশেষ অনুমোদনের জন্য। যার ফলে কাজের একটু ধীর গতি হয়ে
থাকে। তবে কেউ যদি তার কম্পানিকে ঠিক মত সকল কাগজ জমা দেয় আর কম্পানির যদি কোন প্রকার সমস্যা না থাকে তবে
দেখা যায় ৭ দিন থেকে ৩ মাসের মধ্যেই সকল কাগজ পত্র প্রস্তুত হয়ে যায়।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে?
যেহেতু বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশ যায় তার বড় একটি অংশ হলো মধ্যভিত্ত বা গরীব শ্রেনীর । যার ফলে বিদেশে যেতে যখন
অনেক বেশি পরিমাণে টাকার প্রয়োজন হয় তখন তাদের কাছে এটা কষ্টের বিষয় হয়ে দাড়ায়। যার ফলে অনেক সময় আমরা না
বুঝেই বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে এজেন্সির মাধ্যমে, বা দালালদের দ্বারা প্রতারিত হয়ে থাকি। বিদেশ যেতে যে পরিমাণ টাকা লাগার
কথা তার থেকে কয়েক গুণ বেশি টাকা নিয়ে থাকে আমাদের কাছ থেকে। যার ফলে বিদেশ গিয়ে আমরা লাভবান হতে পারি না,
মূল টাকা রোজগার করতে আমাদের ২ থেকে ৩ বছর লেগে যায়। আর তাই অনেক সময় আমাদের কাছে অনেকেই এই ধরনের
প্রশ্ন করে থাকেন যে আমি বিদেশ যেতে চাই তাহলে কত টাকা হলে আমি এই দেশটিতে যেতে পারবো। আপনার মনেও যদি এই
ধরনের প্রশ্ন থাকে তবে শুনে রাখুন আপনি যদি এই দেশটিতে আসতে চান তবে বেশ কয়েকটি কাজের উপর তারা অনুমোধন
দিয়ে থাকে তাছাড়াও আপনার কোম্পানির সুযোগ সুবিধা যদি ভাল থাকে তবে সে ক্ষেত্রে আপনি বেশি টাকা লাগবে । আর
কোম্পানির সুযোগ সুবিধা যদি কম থাকে ,এবং বেতন কম থাকে তবে আপনার কম টাকা লাগবে। তাই মোটামুটি ধরে নেওয়া যায়
কোম্পানির সুযোগ সুবিধার উপর ভিত্তি করে চার লক্ষ থেকে ছয় লক্ষ টাকার মত লাগবে।
কুয়েতে যেতে বয়স সময় ও টাকা কত লাগে এর শেষ উক্তি
আমরা চেষ্টা করেছি উপরোক্ত কুয়েতে যেতে বয়স সময় ও টাকা কত লাগে এই সকল বিষয়ে পরিপূর্ণ একটি ধারণা দিতে।
এরপরেও যদি আপনাদের কোন বিষয়ে প্রশ্ন থাকে তবে আমাদের সাইটটি ভিজিট করতে পারেন। যেখানে কুয়েতের ব্যাপারে
পর্যাপ্ত তথ্য দেওয়া আছে, এবং অনেকগুলো বিষয়ের উপর উত্তর দেওয়া আছে। সেখান থেকে আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন। যদি
কুয়েতে যেতে বয়স সময় ও টাকা কত লাগে লেখাটি ভালো লেগে থাকে তবে সবার সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।
ধন্যবাদ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত লেখাটা পড়ার জন্য। ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন।
One comment
Pingback: মিলনের সময় তেল থুথু ব্যবহার ও মেয়েরা ব্যথা পায় কেন