আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা , আজকে আপনাদের সাথে কথা বলব ইরাকের কাজের ভিসা বেতন এই
বিষয় নিয়ে। আপনারা যারা কাজের ভিসা নিয়ে ইরাক যেতে চান তারা আমার এই লেখা থেকে অনেক তথ্য
পাবেন । ইরাক হল মধ্য প্রাচ্যের একটি দেশ । আর এই দেশের রাজধানীর নাম হল বাগদাদ। সারা বিশ্বে এ
দেশ অনেক পরিচিত। আর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে সেখানে গিয়ে থাকেন।
আমাদের বাংলাদেশ থেকেও অনেক মানুষ গিয়ে থাকেন কিন্ত আমাদের বাংলাদেশ থেকে যে সকল মানুষ
যায় তারা সাধারণত কাজ করে আয় করার জন্য গিয়ে থাকেন। আর কোনো দেশে যাওয়ার আগে সেই দেশ
সম্পর্কে ভালো করে জেনে শুনে যাওয়া ভালো। আর আপনারা যা জেনে শুনে যাবেন তা হল ইরাক বেতন
কত হবে, ইরাক যেতে কত টাকা লাগে আর ভিসা সম্পর্কে সব কিছু বিস্তারিত ভাবে। আর আপনাদের সথে
নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হল , যারা জানতে ইচ্ছুক তারা লেখা টি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন –
ইরাকের কাজের ভিসা
ইরাকের কাজের ভিসা : আপনারা যারা ইরাক এর কাজের ভিসা সম্পর্কে জানতে চান তারা আমার এই
লেখার মাধ্যমে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন । আপনারা বাংলাদেশ থেকে অনেকেই কাজ করার জন্য
ইরাক যেতে চান কিন্ত যেতে কত টাকা লাগে এবং যাওয়ার পরে বেতন কত হবে তা অনেকেই জানেন না ।
তাই আপনারা যারা জানেন তারা তো জানেনি আর যারা না জানেন তারা আমার এই লেখার মাধ্যমে জানতে
পারবেন। বার্তমান সময় বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজে শ্রমিক নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। আর যাদের নেওয়া
হবে তাদের নিরাপদে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে। আর ইরাক বর্তমানে ৫০ হাজার শ্রমিক নিবে বলে
একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি করেছেন। আর শ্রমিকদের বাসস্থান ও নিরাপদ সম্পর্কে খবর রাখবেন বাংলাদেশের
বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী । আর তাই বর্তমান সময়ে যারা ইরাক যাবেন তাদের জন্য সুযোগ সুবিধা বেশি
দেওয়া হবে। বর্তমানে ইরাকের আইন – শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে । আর সেই হিসেবে বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়োগ
করা হবে বলে জানা গেছে।
ইরাক যেতে কত টাকা লাগে ?
ইরাক যেতে কত টাকা লাগে ? : যারা ইরাক কাজের ভিসা নিয়ে বা অন্য যে কোনো ভিসা নিয়ে যাবেন
তারা সকলেই এই প্রশ্ন টি করে থাকেন । আর তাই আপনারা যারা এই প্রশ্ন করেন তাদের জন্য আমার এই
লেখার মাধ্যমে জানাব যে কত টাকা লাগে। আপনারা ইরাক কাজের ভিসা নিয়ে গেলে খরচ হবে ৫০ ডলার ।
আর এর পাশাপাশি বিমান ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সহ এজেন্সি ফ্রি হিসেবে আরও খরচ হতে পারে।
আপনাদের খরচ নির্ভর করবে সম্পূর্ণ আপনি কোন ধরনের ভিসা নিয়ে যাবেন আর কোন এজেন্সির মাধ্যমে
যাবেন তার উপর। কারন বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে আর একেক ভিসার একেক রকম খরচ তাই আপনি
কোন ভিসা নিয়ে যাবেন তার উপরো নির্ভর করবে যে খরচ কত হবে। আপনারা যারা ইরাক যাবেন তারা যে
এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন তাদের কাছ থেকে ক্লিয়ার ভাবে জেনে নিবেন যে আপনার যেতে কত টাকা
লাগবে। কারন এজেন্সি ভেদে টাকা কম বেশি হয়ে থাকে তাই। আর কোন ভিসা নিয়ে যাবেন তা না জানলে
আমরা সঠিক করে বলতে পারবো না যে আপনারা কত টাকা খরচ হতে পারে। আশা করি আপনারা বুঝতে
পেরেছেন।
ইরাক কাজের বেতন কত ?
ইরাক কাজের বেতন কত ? : যারা কাজের ভিসা নিয়ে ইরাক যান তারা যাওয়ার আগে জিজ্ঞাস করে
থাকেন যে বেতন কত হবে। তাই আপনারা যারা এই কথা জানতে চান তারা আমার এই লেখার মাধ্যমে
জেনে নিন। বাংলাদেশ থেকে কাজ করার জন্য আপনি যদি ইরাক যান তাহলে আপনার বেতন হবে মাসে
প্রায় ১৪০০ থেকে ১৫০০ ডলার পর্যন্ত। আপনারা যারা ইরাক কাজের ভিসা নিয়ে যাবেন তাদের ওভারটাইম
সহ ১২ ঘণ্টা ডিউটি। আর ওভারটাইম কোনো কোনো কম্পানিতে করা বাধ্যতামূলক। আবার কোনো কোনো
কম্পানিতে ওভারটাইম নিজের ইচ্ছামত করা যায়। আপনারা যদি ওভারটাইম সহ ডিউটি করেন তাহলে
মাসে ২ হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। যারা বাংলাদেশ থেকে কাজ করার জন্য ইরাক এর ভালো
কোনো কম্পানিতে যান তাদের জন্য সৌদি আরব এর মত নির্ধারিত কাজ করা ইরাক বাধ্যতামূলক নয়।
আপনারা ইরাকে কাজের ফাঁকে ফাঁকে আপনি অন্য কাজ করার সুযোগ পাবেন। আর তা থেকে আপনি
আলাদা টাকা আয় করতে পারবেন।
ইরাকের কাজের ভিসা বেতন এর শেষ কথা
ইরাকের কাজের ভিসা বেতন আরও যেতে কত টাকা লাগে এ সকল বিষয় আপনাদের সাথে আলোচনা
করলাম । আপনারা লেখা টি পড়বেন কাজে লাগবে। এটি একটি তথ্য মূলক লেখা। আপনাদের সাথে
বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনারা ভূলত্রুটি গুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
লেখাটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।