সবাইকে স্বাগতম জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি লেখা আমেরিকা যাওয়ার উপায় । যে লেখাটা পড়লে আশাকরি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে । বিশেষ করে যারা আমেরিকার মতো
উন্নত দেশটিতে যাওয়ার জন্য ইচ্ছা পোষণ করছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় তথ্য না জানার কারণে সে দেশটিতে যেতে পারতেছেন না। তাদের জন্য এই লেখাটি হতে যাচ্ছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি লেখা। এই লেখাটি
পড়লে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে আমেরিকা যাবেন? ইউরোপে বর্তমানে যারা বসবাস করছেন তারা কিভাবে আমেরিকা যেতে পারেন, এবং বাংলাদেশ টু আমেরিকা যাওয়ার পদ্ধতি গুলো কি রয়েছে এই সকল
বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশা করি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমেরিকা যাওয়ার উপায় পড়লে সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আমেরিকা যাওয়ার সহজ উপায় ২০২৩
আমেরিকা যাওয়ার সহজ উপায় ২০২৩– আমেরিকা যাওয়ার সহজ উপায় কথাটি শুনে অনেকেই হয়তবা অবাক হবেন। তবে সত্যিই আজকে আমি এমন কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা করবো যে মাধ্যমে
অনেকেই খুব সহজেই আমেরিকা গিয়েছেন। আর সামনের দিন গুলোতেও তারা এই মাধ্যমে যেতে পারবেন। আর সেই সকল মাধ্যম গুলো নিম্নোক্ত বিস্তারিত আলোচনা করবো-
ডি ভি লটারির মাধ্যমে আমেরিকা যাওয়া
ডি ভি লটারির মাধ্যমে আমেরিকা যাওয়া- এই মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বহু সংখ্যক লোক সেখানে গিয়েছে। যদিও ২০১২ সালের পর থেকে তা বন্ধ আছে। ধারণা করা হচ্ছে সামনের দিনগুলোতে আবার এই
পদ্ধতিতে লোক নেয়া শুরু করবে। কারণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হতে এখনও এই পদ্ধতিতে লোক নেয়া প্রচলিত আছে। তাই যে সকল দেশ হতে এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লোক নেয়া হচ্ছে সেই দেশ অনেক
ভাগ্যবান। তবে আপনি আমার এই সাইট নিয়মিত ভিজিট করবেন । যখন ডিভি নতুন চালু করবে সাথে সাথে আমরা জানিয়ে দিব।
ইমিগ্রান্ট বা স্পন্সর ভিসার মাধ্যমে আমেরিকা যাওয়া
ইমিগ্রান্ট বা স্পন্সর ভিসার মাধ্যমে আমেরিকা যাওয়া– আমেরিকা যাওয়ার দ্বিতীয় যে সহজ মাধ্যমটি হচ্ছে ইমিগ্রান্ট, বা স্পন্সর ভিসার মাধ্যমে। যদি কারো নিকট আত্নীয় স্বজন সেই দেশে থেকে থাকে তবে খুব
সহজেই তাদের দেয়া স্পন্সর এর মাধ্যমে আপনি এই দেশটিতে যেতে পারবেন। কারণ এই ক্ষেত্রে পরিবারের যারা নিকট যেমন স্বামী বা স্ত্রী , বাবা,মা, ভাই,বোন এদের নেয়ার বিষয়ে খুব সহজেই তারা ভিসা
প্রদান করে থাকে। তবে সেই ক্ষেত্রে একটু সময় লাগে । এটাকে সাধারণত চেইন মাইগ্রেশন বলা হয়ে থাকে।
স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা
স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা– যাদের আত্নীয়-স্বজন আমেরিকায় নেই তাদের জন্য এই দেশটিতে আসার সহজ মাধ্যম হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসা। আপনি যদি এই ধরনের ভিসার মাধ্যমে আসতে চান তবে সাধারণত তিন ধরনের শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য এখানে আসতে পারবেন। আর এই গুলো হলো-
- প্রথমত যে প্রোগ্রামটি রয়েছে তাহলো ব্যাচেলর প্রোগ্রাম।
- আর এই ভিসার দ্বিতীয় হলো মাস্টার্স ।
- সর্বোচ্চ যে ডিগ্রি রয়েছে তাহলো পিএইচডি প্রোগ্রাম।
স্কিল ওয়ার্কার বা দক্ষ শ্রমিক হিসেবে আমেরিকা
স্কিল ওয়ার্কার বা দক্ষ শ্রমিক হিসেবে আমেরিকা– যদি আপনি কোন একটি কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে থাকেন, বা থেকে থাকেন তবে আপনি এই দেশে আশার জন্য আবেদন করতে পারেন। কারণ
এই দেশের সরকার কাজকে খুব মূল্যায়ন করে থাকে। যদি আপনি কোন একটি কাজের উপর দক্ষ হয়ে থাকেন তবে সেই কাজের জন্য আমেরিকার বিভিন্ন কম্পানিতে চাকুরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সে ক্ষেত্রে তারা যদি আপনাকে নির্বাচিত করে তবে সেখানে চাকুরির জন্য আপনি খুব সহজেই যেতে পারবেন। আর এই ভিসাকে ইভি ভিসা বলে থাকে।
বিনিয়োগ কারী হিসেবে আমেরিকা বা বিজনেস ভিসায়
বিনিয়োগ কারী হিসেবে আমেরিকা ,বা বিজনেস ভিসায়-কারো যদি অনেক বেশি টাকা থেকে থাকে তবে সে খুব সহজেই সেখানে ব্যবসায়িক ভিসায় সেখানে গ্রিন কার্ডসহ পরিবার নিয়ে যেতে পারবেন।
আপনি যদি সখানে গিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে ১০ জন আমেরিকার মানুষকে নিয়োগ প্রদানের সক্ষমতা রাখেন তবে সেখানে যাওয়া আপনার জন্য খুব সহজ বিষয়।
ইউরোপ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
ইউরোপ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়- অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন আমি ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাস করি এখন কোন কাজে, বা বেড়ানোর জন্য আমেরিকা যেতে চাই কিন্তু কিভাবে যাবো, বা যেতে
পারবো কিনা? তাদের উদ্দেশ্য বলা আপনি ইচ্ছে করলেই আমেরিকা যেতে পারবেন তবে আপনার যে বিষয়গুলো থাকতে হবে তাহলো –
- আপনার পূর্বের ভালো ট্রাভেল হিস্টরি থাকতে হবে। অর্থাৎ আপনি বিভিন্ন সময় বিশ্বের কয়েকটি দেশে বেড়াতে গিয়েছেন।
- আপনার ইনকাম ভালো থাকতে হবে। যাতে করে আমেরিকার এম্বাসি বুঝতে পারে আপনি সেখানে গিয়ে থাকবেননা।
- কোন ধরনের ভূল তথ্য উপস্থাপন করা যাবেনা।
- যত টুকু সম্ভব ভ্রমনের সময় কম দিনের জন্য ভিসার আবেদন করবেন। এতে করে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ টু আমেরিকা
বাংলাদেশ টু আমেরিকা-যারা বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যায় তারা অনেক সময় আমাদের
কাছে প্রশ্ন করে থাকে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার দূরুত্ব কত? এই দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার জন্য কত
সময় লাগে? কোন কোন বিমানে যাওয়া যায় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে অনেক বেশি প্রশ্ন করা হয়। আর তাই
এখানে এই সকল বিষয় গুলোর বিষয় ধারণা দেয়া হলো যাতে করে আপনি খুব সহজেই সেখানে যেতে
পারেন। আর যখন বুঝবেন বাংলাদেশ থেকে ইউকের দূরত্ব ও বিমানের সময় তখন আপনি আপনার
ভ্রমনের জন্য পরিকল্পনা করতে সহজ হবে। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার দূরুত্ব হলো- ১৩২১৯
কিলোমিটার। আর এই পথ বিমানে পাড়ি দিতে অনেক সময় ১৬ ঘন্টা থেকে ৪২ ঘন্ট পর্যন্ত সময় লেগে
যেতে পারে। বিভিন্ন বিমানের যাত্রার সময় সূচি দেখার জন্য আমাদের এই ( আমেরিকা যেতে কত সময় লাগে? ) লেখাটি পড়তে পারেন।
আমেরিকা যাওয়ার উপায় শেষ মন্তব্য
পরিশেষে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করতে চাচ্ছি আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ লেখা আমেরিকা
যাওয়ার উপায় লেখাটিতে। আশা করি উপরোক্ত তথ্যগুলো আপনাদের অনেক কাজে লাগবে, এবং
আমেরিকায় যাওয়ার বিষয়ে আপনাদেরকে সহায়তা করবে। এছাড়া আমেরিকা বিষয়ক আমাদের আরো
অনেক গুরুত্বপূর্ণ লেখা আছে । আপনি সেই লেখাগুলোও পড়তে পারেন। আপনাদের সুবিধার জন্য
নিচের লেখাগুলোর লিংক শেয়ার করে দেওয়া হলো । আমার এই লেখাটি ভাল লাগলে সবার সাথে শেয়ার
করবেন। আর খারাপ লাগলে কমেন্ট করে আমাদেরকে জানাবেন। ধন্যবাদ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত
আমেরিকা যাওয়ার উপায় লেখাতে ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখাঃ
আমেরিকা ভিজিট ভিসা প্রেসিসিং ধাপ সমহ
আমেরিকা ভিজিট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
আমেরিকা ভিজিট ভিসা পেতে কি কি কাগজ পত্র বা ডকুমেন্ট লাগে